Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্বিগ্ন জেমি ডে

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ মার্চ, ২০২০, ৯:২৫ পিএম

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস আতঙ্কে সবাই। সর্বশেষ বাংলাদেশেও তিনজন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ফিফা-এএফসি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ স্থগিত করে দেওয়া যায় কিনা, সেটি নিয়ে ভাবছে। এরইমধ্যে ভারত-কাতার ম্যাচ স্থগিত হয়েছে। আগামী ২৬ মার্চ বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচও রয়েছে গভীর পর্যবেক্ষণে। তবে যা-ই হোক না কেন বাংলাদেশে দলের ইংলিশ কোচ জেমি ডে তার কাজ করে যাচ্ছেন। তিনিও অপেক্ষায় আছেন ফিফা শেষপর্যন্ত কী রায় দেয় সেটি জানার।

ইংল্যান্ড থেকে ফিরে প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের ম্যাচ দেখা শুরু করেছেন ডে। কুমিল্লাতে গিয়ে মোহামেডান-বসুন্ধরা ম্যাচ দেখেছেন। রবিবার বাফুফের মাঠে মেয়েদের প্রদর্শনী ম্যাচও দেখেছেন। সেখানেই এক ফাঁকে তিনি বলেছেন, ‘সারাবিশ্ব করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্বিগ্ন। ফিফাও এ নিয়ে  ভাবছে। তারা খেলোয়াড় ও দর্শকদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিচ্ছে। ফিফা যদি মনে করে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচ এখন খেলা উচিত হবে না। তাহলে আমরা খেলবো না। তখন খেলার নতুন তারিখ নিয়ে ভাবতে হবে। আসলে আমি নিজেও উদ্বিগ্ন। কখন যে কী হয়।’

এবারের লিগে শীর্ষ সব দলই পয়েন্ট হারিয়েছে। গতবারের চেয়ে যা ব্যতিক্রম। জেমির দৃষ্টিতে, ‘শীর্ষ সারির দলগুলো ভুগছে। এর অন্যতম কারণ হলো ভালো খেলোয়াড়েরা ঠিকমতো বিশ্রাম পায়নি। কিছু খেলোয়াড়কে ক্লান্ত মনে হয়েছে। এখন বসুন্ধরা কিংস এএফসি কাপে কতটুকু কী করতে পারে তা দেখার আছে।’

তবে লিগে মোহামেডানের খেলা জেমিকে বেশ মুগ্ধ করেছে। তার কথায়, ‘মোহামেডান অনেক ভালো করছে। তাদের খেলা দেখে আমার ভালোই লাগছে। কঠিন পরিশ্রম করছে। ৯০ মিনিট লড়াই করছে। ঢাকা আবাহনী, সাইফ, চট্টগ্রাম আবাহনীও ভালো করছে। এছাড়া অন্য দলগুলোও খারাপ করছে না।’

জাতীয় দলে ফরোয়ার্ড-লাইন নিয়ে তার কণ্ঠে আবারও হতাশা ঝরলো, ‘বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা ক্লাব ফুটবলে ফরোয়ার্ড জোনে খেলতে পারছে না। ভারতেও একই সমস্যা। যদি তারা ঘরোয়া ফুটবলে ঠিকমতো খেলতে না পারে তাহলে তাদের জাতীয় দলে খেলাও কঠিন হয়ে পড়বে। আমাদের এই জায়গাতে পরিবর্তন আনা জরুরি।’

জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স দেখে তার মিশ্র প্রতিক্রিয়া, ‘ইব্রাহিম লিগে ভালো করছে। সে দুই গোল করেছে। জাতীয় ও ক্লাবে একই পজিশনে খেলছে। জীবনও গোল পাচ্ছে, এটা ভালো দিক। মতিন ইনজুরিতে। বিপলু ইনজুরি থেকে ফিরেছে। জামাল ইনজুরিতে, যা চিন্তায় ফেলে দিচ্ছে। রবিউল-সুফিল খেলতে পারছে না। সুশান্তও ইনজুরড। এখন তারা যদি নিয়মিত খেলতে না পারে তাহলে আমার পক্ষে খেলোয়াড় বাছাই করা কঠিন।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ