পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকার যদি মুজিববর্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর বাতিল না করে জনগণ তাকে রুখতে প্রস্তুত রয়েছে। ভারতে মুসিলম গণহত্যা বন্ধে বিশ্বমুসলিমকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে । মোদির ঢাকা সফরের বাতিলের দাবিতে আগামী ১২ মার্চ দেশব্যাপী মানববন্ধন এবং ১৩ মার্চ শুক্রবার মসজিদের মসজিদে দোয়া ও থানা থানায় বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ। বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ সভা সমাবেশে এসব কথা বলেছেন।
সমমনা ইসলামী দলসমূহ : জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর সহসভাপতি আল্লামা আব্দুর রব ইউসূফী বলেন, আমরা জেনে বুঝে শান্তিপূর্ণ আন্দেলনে নেমেছি। জনগণ আমাদের সাথে আছে। সরকার যদি মোদির ঢাকা সফর বাতিল না করে তা হলে জনগণ মোদিকে রুখতে প্রস্তুত রয়েছে। গতকাল শনিবার বাদ আসর পুরানা পল্টনস্থ জমিয়তের কার্যালয়ে আগামী ১২ মার্চ বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি সফলের লক্ষে মানববন্ধন বাস্তবায়ন কমিটির বৈঠক সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা আব্দুর রব ইউসূফী এসব কথা বলেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা মোস্তফা তারিকুল হাসান, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন,সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর প্রচার সম্পাদক মাওলানা জয়নুল আবেদীন ও মাওলানা এ বি এম শরীফুল্লাহ ।
বৈঠকে আগামী ১২ মার্চ ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে গাবতলী এবং সদর ঘাট থেকে টংগী পর্যন্ত মানববন্ধন পালনের জন্য বেশ কয়েকটি স্পট নির্ধারণ করা হয়। আগামী ১০ মার্চ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় মানববন্ধন বাস্তবায়নের জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাথে বৈঠকের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
ইসলামী আন্দোলন : ভারতে মুসলিম গণহত্যা বন্ধে বিশ্বমুসলিমকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম।
তিনি বলেন, ভারতে মুসলিম নির্যাতন, মসজিদে অগ্নিসংযোগ, কুরআনে অগ্নিসংযোগ, মুসলিম নারী পুরুষ ও শিশুদের নিমর্মভাবে হত্যা করে বিশ্বের দেড়শ কোটি মুসলমানের হৃদয়ে প্রতিরোধের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশে তাকে রাষ্ট্রীয় মেহমান করে এনে সম্মানে ভূষিত করার অর্থই হলো মুসলিম গণহত্যায় উসকে দেয়া। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ খুনি মোদিকে গ্রহণ করতে রাজি নয়। তাকে ফিরিয়ে দিয়ে মুসলিম উম্মাহর পক্ষে অবস্থান নিন। মুফতী ফয়জুল করীম আগামী ১৩ মার্চ শুক্রবার সারাদেশে প্রতিটি মসজিদে ভারতে নিহত ও নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য বিশেষ দোয়া এবং খুনি মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে দেশব্যাপী থানায় থানায় বিক্ষোভ সমাবেশ সফলের আহ্বান জানান।
গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর ধোলাইরপাড় হাইস্কুল মাঠে ইসলামী যুব আন্দোলন আয়োজিত ইসলামী মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আলহাজ্ব কেএম আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, নওমুসলিম ডা. সিরাজুল ইসলাম সিরাজী ও রামপুরা জামিয়া কারীমিয়ার সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতী ওয়ালী উল্লাহ।
ইত্তেফাকুল উলামা বংশাল জোন : বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীরে শরীয়ত আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেছেন, ভারতে মুসলিম গণহত্যার নয়ক কসাই মোদিকে বাংলার মাটিতে আসতে দেয়াা হবে না।
পুরোনো ঢাকার আরমানীটোলা মাঠে শুক্রবার রাতে ইত্তেফাকুল উলামা বংশাল জোনের উদ্যোগে আজিমুশশান শানে রেসালাত মহাসম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, সংগঠনের আমীর ও নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইজহার, মুফতি নজরুল ইসলাম কাসেমী, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব শাইখুল হাদিস মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ূবী, মাওলানা হাসান জামিল, নায়েবে আমীর মুফতী শফিকুল ইসলাম কাসেমী, মাওলানা খন্দকার মোশতাক আহমেদ শরীয়তপুরী, মাওলানা মোজাম্মেল হক, মুফতী দিলাওয়ার হোসাইন, মুফতী ইউসুফ আলী, মাওলানা শুয়াইবুর রহমান , মাওলানা মাতলুবুর রহমান ও মাওলানা রাফি বিন মুনির।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।