গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
দেশের ইমামদের বৃহত্তর সংগঠন জাতীয় ইমাম সমাজ বাংলাদেশের উদ্যোগে ভারতের দিল্লিতে কট্টরপন্থী হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী কর্তৃক নিরীহ মুসলিম হত্যা, বাড়িঘর ও দোকানপাট লুট এবং মসজিদে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে ৬ মার্চ ২০২০ ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি পূর্ব সমাবেশ সংগঠনের সভাপতি ক্বারী আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নেতৃবৃন্দ কট্টরপন্থী হিন্দুত্ববাদী ইসলাম ও মানবতার দুশমন মোদি-অমিত শাহ গোষ্ঠী কর্তৃক ইতিহাসের বর্বরোচিত এ হত্যাযজ্ঞের তীব্র ঘৃণা, নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
সভায় বক্তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, আজ ভারতে উগ্রবাদী হিন্দু সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মুসলমানদের পবিত্র রক্ত নিয়ে হোলি খেলায় মেতে উঠেছে। অথচ এ ভারতবর্ষের ইতিহাস-ঐতিহ্য, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও ভারতের অখন্ডতার স্বপক্ষে সর্বাগ্রে মুসলমানদের ভ‚মিকা রয়েছে। আজ বিভিন্ন অবৈধ আইন-কানুন আরোপ করে ভারতে মুসলমানদের কোণঠাসা করার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। ভারতীয় মুসলিম নাগরিকদের সামাজিক, রাষ্ট্রীয়, ধর্মীয় ও সর্বপ্রকার অধিকার আজ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। অন্যায়ভাবে তাদের উপর জুলুম অত্যাচার ও হত্যাযজ্ঞ চালানোর পর আবার এই মজলুম মুসলিমদেরকে বিভিন্ন মামলা হামলা ও দোষারোপ করার ষড়যন্ত্র চলছে। যা প্রমাণ করে যে বর্তমান নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ ও তাদের উগ্রবাদী গোষ্ঠীর নিকট ভারতের মুসলমানের জান-মাল, ইজ্জত-আবরু নিরাপদ নয়। মুসলমান সংঘাত নয় শান্তি চায়, মুসলমান গোলামী নয় আজাদী চায়, মুসলমান বিভাজন নয় সহ-অবস্থান চায়। মুসলমান নিরাপত্তা, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য, শান্তি, সফলতা, উন্নতি, অগ্রগতি, কল্যাণ, উদারতা ও মর্যাদায় বিশ্বাসী। যদি কোন অপশক্তি পাপিষ্ট গোষ্ঠী মুসলমানদের শান্তি, নিরাপত্তা বিনষ্ট করতে চায়, জীবন-জীবিকা নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চায়, অবৈধ অযাচিত আইন কানুনের মাধ্যমে স্বাধীনতা খর্ব করতে চায়, তাহলে তাদের সমুচিত জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে ইনশাআল্লাহ।
বক্তরা আরোও বলেন, যদি মোদি গোষ্ঠী জুলুম অত্যাচার বন্ধ না করে এবং উগ্রপন্থী সন্ত্রাসীদের সর্বোচ্চ বিচারের আওতায় না আনা হয়, দিল্লি ম্যাসাকারের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ প্রদান না করা হয় তাহলে বিদ্বেষ, সহিংসতার এ দাবানল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে ছারখার করে দেবে।
বক্তারা অনতিবিলম্বে বাংলাদেশ সরকার ও পররাষ্ট্র বিষয়ক দায়িত্বরত ব্যক্তিবর্গের নিকট দিল্লিতে পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে মুসলিম গণহত্যার প্রতিবাদ ও তা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহŸান জানান।
ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সভাপতি ক্বারী আবুল হুসাইন, সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওঃ বেলায়েত হোসেন আল ফিরুজী, মহাসচিব মুফতি মিনহাজ উদ্দিন, মাওঃ নুরুদ্দীন লাহোরী, মাওঃ মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মাওঃ জাফর আহমদ, মাওঃ আনোয়ারুল হক, মুফতি তাসলিম আহমদ, মুফতি রহমতুল্লাহ আরাবী, মুফতি শামসুল হক, মুফতি মাহমুদুল হাসান মাহফুজ, মাওঃ হামিদুল হক, মাওঃ আব্দুল কুদ্দুস, মাওঃ যুবায়ের আহমেদ কাসেমী, মাওঃ খালেদ মোশাররফ, মাওঃ শহীদুল আনোয়ার, মাওঃ এমদাদুল হক সাইফী, মুফতি আনিসুর রহমান, মাওঃ হেদায়েতুল্লাহ গাজী, হাজারীবাগ থানার সভাপতি মাওঃ মিজানুর রহমান, চকবাজার থানার সভাপতি মুফতি বশিরুল হাসান, কেরানীগঞ্জ থানার সভাপতি মাওঃ আব্দুল গণি, বংশাল থানার সভাপতি মাওঃ আব্দুল আউয়াল খান, লালবাগ থানার সভাপতি মাওঃ আহমদ হোসেন, ধানমন্ডি থানার সভাপতি মাওঃ ইলিয়াছ হামিদী ও কামরাঙ্গীরচর থানা সভাপতি মাওঃ ইলিয়াছ মাদারীপুরীসহ নেতৃবৃন্দ প্রমুখ উলামায়ে কেরাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।