গতকাল শুক্রবার ভোর রাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৬জন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ৪ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বিশ্বরোডের খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাইনুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে তিনটায় এ মহাসড়কের বিজয়নগর উপজেলার রামপুরার ভাটি কালিসীমা এলাকায় ঢাকার নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা একটি মাইক্রোবাস ও সুনামগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা লিমন পরিবহন ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসটিতে আগুন ধরে যায়। এতে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। মাইক্রোবাসে থাকা ১০ যাত্রীর মধ্যে ৬জন নিহত হন। নিহত ছয়জনের নাম পরিচয় জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। তারা হলেন মাইক্রোবাসের চালক সোহান (২০), হারুন মিয়া (৪০), শাকিল মিয়া (২৫), সাগর (২২), রিফাত (১৬) ও ইমন মিয়া (১৯)। গুরুত্বর আহত হন অপর ৪ যাত্রীকে দ্রুত উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। আহতরা হলেন শাহিন (৩০), বিজয় (২২), আবির (৩৫) ও জিসান (২৫)। আহতদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে আনার পর জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। হতাহতরা সবাই নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার চৌপাড়ার দেউলি গ্রামের বাসিন্দা। তারা মাইক্রোবাসে করে মাজার জিয়ারতের উদ্দেশ্যে সিলেটে যাচ্ছিলেন।

হাইওয়ে পুলিশের এসআই প্রেমধন জানান, বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষের পর মাইক্রোবাসটিতে আগুন ধরে যায়। মাইক্রোবাসটিতে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন ধরে বিষ্ফোরণ ঘটে পুরো গাড়িতে আগুন ধরে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে পাঁচজন নিহত হয় এবং হাসপাতালে নেয়ার পথে আরেকজন নিহত হয়। আহত হন আরও চারজন। এ ঘটনায় বাসটি খাদে পড়ে গেলেও বাসের কোনো যাত্রী তেমন আহত হননি। নিহতদের লাশ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। এ দুর্ঘটনার পর মহাসড়কে উভয়পার্শ্বে প্রায় ৬ কিলোমিটার জুড়ে তীব্র জটের সৃষ্টি হয়। সকাল ৮টার দিকে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িটি মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নিলে ফের যান চলাচল শুরু হয়।