২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
হাম একটি ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ। এটা একটি মারাত্মক ছোঁয়াচে রোগ যা আক্রান্ত শিশুর সংস্পর্শে অথবা হাঁচি-কাশির মাধ্যমে সুস্থ শিশুর শরীরে ছড়ায়। সাধারনতঃ শিশুরাই এই রোগে বেশী আক্রান্ত হয়। বাংলাদেশে শীতের শেষে ও বসন্তের শুরুতে হামের প্রাদুর্ভাব বেশী দেখা যায়। হাম ভাইরাস শরীরে প্রবেশের ১০ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে হামের লক্ষণ প্রকাশ পায়। হাম হলে শরীরে প্রচন্ড জ্বরের (>১০২ক্ক ফা.) পাশাপাশি সারা দেহে বিশেষ করে বুকে, পিঠে ও কানের নিচে লালচে দানা দেখা দেয়। সময়মতো সঠিক চিকিৎসা না নিলে হামের কারণে শিশুর বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা; যেমন- কান ও শ্বাসনালীর প্রদাহ, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। এক বছরের নিচের শিশুদের ক্ষেত্রে হামজনিত কারণে সৃষ্ট জটিলতায় মৃত্যু ঝুঁকি সবচেয়ে বেশী। এছাড়া অপুষ্টি ও ভিটামিন-এ এর অভাব হাম আক্রান্ত শিশুর আরোগ্য লাভকে বিলম্বিত করতে পারে। এজন্য হামে আক্রান্ত হলে শিশুকে ডাক্তারের পরামর্শক্রমে এক মাত্রা করে পর পর দুই দিন ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে।
হাম টিকা দ্বারা প্রতিরোধযোগ্য একটি রোগ এবং এই রোগ প্রতিরোধে হাম-রুবেলা (এমআর) ও হাম-রুবেলা-মাম্পস (এমএমআর) টিকা প্রদান করা হয়। বাংলাদেশের স¤প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই)-এর নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রমে শিশুর বয়স ৯ মাস পূর্ণ হলে ১ম ডোজ এমআর টিকা এবং ১৫ মাস পূর্ণ হলে ২য় ডোজ এমআর টিকা প্রদান করা হয়। দেশের গ্রাম ও শহরের সকল অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র, উপজেলা, জেলা ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই টিকা প্রদান করা হচ্ছে। আপনার শিশুকে হাম রোগ থেকে মুক্ত রাখতে এবং হামের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে অবশ্যই সময়মতো দুই (২) ডোজ এমআর টিকা দিন। এর পাশাপাশি শিশুকে পুষ্টিকর ও ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে হবে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
সহকারি অধ্যাপক
নিপসম, মহাখালি, ঢাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।