পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দিল্লিতে মুসলমানদের ওপর মোদি সরকারের জুলুম-নির্যাতনের প্রতিবাদে ঢাকার রাজপথে মানববন্ধন করেছে জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ মোর্চা। এ সময় বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বিজেপির হিন্দুত্ত¡বাদী নীতির কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, ভারতের দিল্লিতে যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঘটেছে সে জন্য ধিক্কার জানাচ্ছি।
দিল্লিতে ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ মোর্চার ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। ‘সাম্প্রদায়িকতা নয়, চাই মানবিক বিশ্ব’ শীর্ষক এই কর্মসূচিতে বক্তারা মোদি ও বিজেপির কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ভারত উপমহাদেশের শান্তিকামী মানুষের শান্তি-সম্প্রীতি সৌহার্দ্য রক্ষার লক্ষ্যে রাষ্ট্র-রাজনীতির সাথে ধর্ম কোথায় থাকবে তা রাষ্ট্র-রাজনৈতিক পর্যায়ে একাত্ম হয়ে ভাবতে হবে।
মানববন্ধনে রানা দাশগুপ্ত বলেন, বেদনাবিধুর চিত্তে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়েছি। সম্প্রতি ভারতের দিল্লিতে যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঘটেছে আমরা বাংলাদেশের মানুষ কি মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ কি খ্রিষ্টান ঐক্যবদ্ধভাবে এই সহিংসতার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই।
তিনি বলেন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান থেকে ফেরার পথে নয়াদিল্লি বিমানবন্দরে নেমে ইন্দিরা গান্ধীকে পাশে নিয়ে বলেছিলেন, আমাদের সাথে আপনাদের যে সম্পর্ক তা ভ্রাতৃত্ব, আদর্শ ও জনগণের মিল। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে দাঁড়িয়েও লক্ষ্য করছি ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি থেকে রাষ্ট্র-রাজনীতির ক্রমাগত বিচ্যুতি ঘটেছে। সেখান থেকে আমরাও মুক্ত হতে পারিনি।
ধর্মীয় রাজনীতি রেখে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, দিল্লির দিকে তাকিয়েও ভিন্নতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যে ভারতবর্ষের জনগণ মহাত্মা গান্ধীকে জনক হিসেবে মেনে নিয়েছিলেন। সেই মহাত্মা গান্ধীর খুনি নাথুরাম গডসের নামে ভারতে ১৮০ ফুট উচ্চতার ভাস্কর্য নির্মিত হচ্ছে। অর্থাৎ আজকে ভারতে একদিকে মহাত্মা গান্ধী, আরেকদিকে নথুরাম গডসের প্রেতাত্মারা। ভারতের রাজনীতিকে তারা দূষিত করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, দিল্লির ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাতে বাংলাদেশ কেউ সাম্প্রদায়িক সহিসংতা তৈরি করতে না পারে, সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস রাখতে হবে। দিল্লির সহিংসতার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশে যেন ভারতের মতো কোনো সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সেজন্য সবাইকে সজাগ, সতর্ক ও সচেতন ভ‚মিকা রাখার কথা বলায় আলেম সমাজকেও ধন্যবাদ জানান তিনি।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেনের বক্তব্যের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, দিল্লির ঘটনা ভারতের অসাম্প্রদায়িক চেতনার ওপর বড় ধরনের আঘাত। ভারতের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা থাকলেও দিল্লির ঘটনা তার বিপরীত ও অসঙ্গতিপূর্ণ। দিল্লিতে যখন সহিংসতা কম ছিল তখন পুলিশ নির্বিকার ছিল। এটা হয় পুলিশের অদক্ষতা নয়তো উদ্দেশ্যপূর্ণ নীরবতা। যেটাই ঘটুক না কেন ভারতের মতো রাষ্ট্রের জন্য তা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
মোর্চার আহ্বায়ক ব্যারিস্ট্যার তুরিন আফরোজের সভাপতিত্বে ও সমন্বয়ক এফএম শাহিনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য চন্দন সেন, অপরাজেয় বাংলার সভাপতি এইচ রহমান মিলু, মুফতি ফয়জুর রহমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।