বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর সঙ্গে বিজিবির সংঘর্ষে এক বিজিবি সদস্যসহ ৫ (পাঁচ)জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৩ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার গাজিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, ৪০ বিজিবির সিপাহি শাওন, মাটিরাঙ্গা উপজেলার আলুটিলা বটতলী গ্রামের সাহাব মিয়া (৭০), তার ছেলে মো. আলী আকবর ও মো. আহাম্মদ আলী। এদিকে স্বামী ও দুই সন্তানের মৃত্যুর খবর শুনে আলুটিলা বটতলীর নিজ বাড়িতে স্ট্রোক করে নিহত সাহাব মিয়ার স্ত্রী রঞ্জু বেগম মারা যান বলে জানা গেছে।
মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামছুদ্দিন ভুঁইয়া ৫(পাঁচ)জন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় নিহত বিজিবি সদস্যসহ দুজনের মরদেহ হাসপাতালে রয়েছে। অন্য দুজনের মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে বলে তিনি জানান।
এদিকে ঘটনার পর বিকেল ৩টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সেনাবাহিনীর গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শাহরিয়ার জামান, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, পুলিশ সুপার মো. আব্দুল আজিজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম সারাহ উদ্দিন, মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিভীষণ কান্তি দাশ, মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সামসুল আলম।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বাগান মালিক সাহাব মিয়া সকালে তার নিজের বাগান থেকে বেশকিছু গাছ কাটে। গাছগুলো গাড়িযোগে নেয়ার সময় গাছগুলো অবৈধ দাবি করে বিজিবি সদস্যরা জব্দ করে তাদের হেফাজতে নিতে চায়। এক পর্যায়ে পুরো এলাকাবাসী সমবেত হয়ে বিজিবি সদস্যদের প্রতিহত করার চেষ্টা করলে এলাকবাসীর সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় বিজিবি সদস্যরা জড়ো হওয়া লোকদের নিয়ন্ত্রণে গুলিবর্ষণ করলে ঘটনাস্থলেই বিজিবি সদস্য শাওন, বাগান মালিক সাহাব মিয়া প্রকাশ মুছা (৫৭), সাহাব মিয়ার ছেলে আহম্মদ আলী, এলাকাবাসী মোঃ আলী আকবর হাসপাতালে নিহত হয়। নিজের স্বামী ও সন্তানের মৃত্যু সংবাদ শুনে সাহাব মিয়ার স্ত্রী রঞ্জু বেগম হৃদ যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান।
জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস ও পুলিশ সুপার মো: আব্দুল আজিজসহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকতারা পরিদর্শনে করে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশাস দিয়ে এলাকাবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান।
এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্টেট খন্দকার রেজাউল করিম কে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম এম সালাউদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।