পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
জার্মান ডিক্টেটর অ্যাডলফ হিটলার সম্পর্কে কমবেশি সবাই জানেন। হিটলার সম্পর্কে জানতে গেলে খুব বেশি লেখাপড়া লাগে না। তার সম্পর্কে সকলেই মোটামুটি যা জানেন, সেটিই মূল কথা এবং সত্যি কথা। হিটলার মনে করতেন, জার্মানদের শরীরে বইছে আর্য রক্ত। তাই জার্মানরা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতি। আর সেজন্যই জার্মানিকে সমগ্র বিশ্ব শাসন করতে হবে। এটি করতে হলে দেশে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং তার মিলিটারি মেশিনকে বা সামরিক বাহিনীকে প্রচন্ড শক্তিশালী করতে হবে। বাস্তবেও তিনি তাই করেন। দেশের মধ্যে নিষ্ঠুরভাবে রাষ্ট্রশক্তি প্রয়োগ করে সমস্ত বিরোধীদল দমন করেন এবং সামরিক বাহিনীকে দুর্দান্ত শক্তিশালী করেন। তারপর তিনি যখন কনফিডেন্ট হোন যে, জার্মান বাহিনী এখন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সামরিক বাহিনী, তখন তিনি সামরিক আগ্রসী অভিযানে লিপ্ত হন। তিনি প্রায় সমগ্র ইউরোপ দখল করেন। স্ট্যালিনগ্রাডের যুদ্ধে প্রচন্ড ঠান্ডা এবং বরফে আটকে না গেলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস হয়তো অন্যরকম হতো। দেশের মধ্যে তিনি ফ্যাসিবাদের জনক ইটালির শাসক বেনিটো মুসোলিনির অনুকরণে তার চেয়েও লৌহ কঠিন রাজনৈতিক শাসন কায়েম করেন। এটিও ছিল ফ্যাসিবাদ, তবে সেটি ছিল মুসোলিনির ফ্যাসিবাদের চেয়ে কয়েক ডিগ্রি ওপরে। তাই তাঁর রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে বলা হতো নাৎসিবাদ।
দিল্লিতে কয়েক দিন আগে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি মুসলিমবিরোধী তান্ডবে লিপ্ত হলো কেন? সেই কারণটি সর্বাগ্রে বোঝা দরকার। সেটি না বুঝে বাংলাদেশে ‘শান্তি শান্তি, ওম শান্তি’ বললে নরেন্দ্র মোদির মুসলিমনিধন অভিযান থামবে না। হিটলারের পথ অনুসরণ করে দেশ শাসন করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যেভাবে হিটলারের উত্থান হয়েছিল সেভাবেই উত্থান ঘটেছে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ তথা বিজেপির। হিটলার গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করেন। নরেন্দ্র মোদির বিজেপিও তেমনি ধাপে ধাপে এগুচ্ছে। বিজেপি ভারতের লোকসভা নির্বাচনে প্রথমে পায় মাত্র দুটি আসন। তারপর হিন্দুত্বের জয়গান গাওয়া শুরু করে। এইভাবে হিন্দু ধর্মের জিগির তুলে ভারতীয়দেরকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে। ভারতের ১২৪ কোটি মানুষের মধ্যে ৮৪ শতাংশ হিন্দু। ১৪ শতাংশ মুসলমান এবং অবশিষ্ট ২ শতাংশ খ্রিস্টান, শিখ, জৈন, পার্সি ইত্যাদি।
ভারতে হিন্দুত্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ ভারতকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথ থেকে পেছনে টেনে ফ্যাসিবাদ বা নাৎসিবাদের দিকে সুপরিকল্পিত কিন্তু দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে যাচ্ছেন। কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস বা অন্যান্য বিরোধী দলের সাথে বিজেপির পার্থক্য হলো এই যে, ঐসব বিরোধীদল ভোটের স্বার্থে মুসলমানদের দলে টানার চেষ্টা করে এবং সেজন্য মাঝে মাঝে মোদির হিন্দুত্ববাদের বিরোধিতা করে। তবুও ভোটের স্বার্থে যতটুকু তারা মুসলিম বান্ধব ততটুকু মুসলমানদের হেফাজত ও নিরাপত্তায় সহায়তা করে।
কিন্তু বিজেপি সেই সবের তোয়াক্কা করে না। বিজেপির নেতারা মুসলিমবান্ধব হওয়ার বিন্দুমাত্র চেষ্টাও করেন না। তারা মনে করেন যে, ৮৪ শতাংশের ৫০ ভাগেরও বেশি হিন্দু ভোট হাতে থাকলে তারা শুধু সংখ্যা গরিষ্ঠতাই লাভ করবেন না, বরং নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাবেন। এটিই ঘটেছে গত নির্বাচনে। ২০১৪ সালের ভোটে বিজেপি একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েছিল, কিন্তু নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পায়নি। তারপরেও ভারতকে সম্পূর্ণ হিন্দুরাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য মূল ব্লু প্রিন্ট ধরে এগিয়ে যায়। হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার প্রকাশ্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন নেতৃত্বের কোন্দলে আউট হয়ে যাওয়া তৎকালীন বিজেপি সুপ্রিমো লাল কৃষ্ণ আদভানি। আদভানি নির্বাচনের আগে তাদের ভগবান রামের বিশাল ছবি টাঙিয়ে সেই ছবির নিচে নির্মিত মঞ্চ থেকে জনসভায় বক্তৃতা করেন এবং হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার উস্কানি দেন।
তারপর তিনি ভগবান রামের বিশাল ছবি নিয়ে সারা ভারতে রথযাত্রা করেন। আজ ভারতের বিভিন্ন স্থানে বিজেপি ‘জয় শ্রী রাম’ বলে যে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করছে, সেটির উৎস হলো লাল কৃষ্ণ আদভানির ঐ রথযাত্রা। ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার পরিকল্পনা নিয়েই ধ্বংস করা হয়েছিল বাবরি মসজিদ। বিজেপির মিলিট্যান্ট উইং কর সেবকরা যখন বাবরি মসজিদ ভাঙে তখন কিন্তু ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস এবং প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নরসীমা রাও। তাঁর নাকের ডগার ওপর দিয়ে বিজেপির চরমপন্থীরা বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলে। কংগ্রেস সরকার সেখানে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।
দুই
রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (আরএসএস) ভারতের একটি হিন্দু জাতীয়তাবাদী, আধাসামরিক ও বেসরকারী সংগঠন। ১৯২৫ সালে নাগপুর-বাসী ডাক্তার কে. বি. হেডগেওয়ার একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন রূপে আরএসএস প্রতিষ্ঠা করেন। উদ্দেশ্য ছিল ভারতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতা ও মুসলমানদের স্বতন্ত্র আবাস ভূমি তথা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার বিরোধীতা করা। আরএসএস হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন। ব্রিটিশ আমলে এই সংগঠন নিষিদ্ধ ছিল। স্বাধীন ভারতে ১৯৪৮ সালে নাথুরাম গডসে নামে এক প্রাক্তন আরএসএস-সদস্য এম, কে গান্ধীকে হত্যা করলে ভারত সরকার এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করে দেয়। জরুরি অবস্থার সময় (১৯৭৫-৭৮) এবং ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরও এই সংগঠন নিষিদ্ধ হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আরএসএসের নেতারা প্রকাশ্যে অ্যাডলফ হিটলারের প্রশংসা করতেন। হেডগেওয়ারের পরে মাধব সদাশিব গোলওয়ালকার আরএসএসের প্রধান হয়েছিলেন। তিনি হিটলারের মতো উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদে অনুপ্রাণিত হন। কিছু আরএসএস নেতা ইসরায়েলপন্থীও ছিলেন।
আরএসএসের আরেক নেতা ছিলেন বিনায়ক দামোদর সাভারকর। তিনি ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল গঠনের সময় পূর্ণ সমর্থন করেছিলেন। মাধব সদাশিব গোলওয়ালকার। ‘ধর্ম, সংস্কৃতি ও ভাষা’ সমুন্নত রাখার জন্য ইহুদিদের ভূয়সী প্রশংসাও করেছিলেন। লন্ডনে থাকাকালীন সাভারকর ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে যুক্ত হয়ে পড়েন। জ্যাকসন হত্যা এবং লর্ড কার্জন হত্যা প্রচেষ্টায় তিনি জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ব্রিটিশের বিরুদ্ধে অস্ত্র এবং বিস্ফোরক ব্যবহারের ষড়যন্ত্রের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার চক্রান্ত ফাঁস হওয়ায় ব্রিটিশ সরকার তাকে গ্রেফতার করে এবং এস.এস.মোরিয়া জাহাজে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি টয়লেটের জানালা দিয়ে বেরিয়ে সাঁতরে ফ্রান্সে যান। পরে ইংরেজরা ফ্রান্সে তাকে গ্রেফতার করে। ১৯১১ সালে তাকে আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের সেলুলার জেলে পাঠানো হয়। সেখানে বন্দি অবস্থায় চরম অত্যাচারে তিনি কৃপা ভিক্ষা চান।
আরএসএস-এর যাত্রা শুরু হয়েছিল একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসাবে, তবে সব সময়েই সংঘের দর্শনে থেকেছে হিন্দু জাতীয়তাবাদ। আরএসএস মনে করে হিন্দু শব্দটি কোনও জাতিকে বোঝায় না, ভারতে বসবাসকারী সবাইকেই হিন্দু বলা উচিত। তাদের শ্লোগান হলো, ‘ভারত মাতা কি জয়’। আরএসএস-এর দ্বিতীয় সঙ্ঘ চালক (সঙ্ঘ প্রধানকে এই সম্ভাষন করা হয়ে থাকে) মাধব সদাশিব গোলওয়ালকার মনে করতেন ভারতকে একটি মজবুত রাষ্ট্র হিসাবে গড়তে গেলে হিন্দুদের একজোট করা আর পুনরুত্থান ঘটানো জরুরি। অ-হিন্দুদের সমান নাগরিক অধিকার দেওয়ারও বিপক্ষে ছিলেন মি. গোলওয়ালকার। আরএসএসের বর্তমান প্রধানের নাম হলো মোহন ভগত।
তিন
উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের মূল দল বা প্যারেন্ট সংগঠন ছিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ। সংঘ পরিবারের যেসব শাখা ছিল সেগুলো হলো, রাজনৈতিক শাখায় প্রথমে জনসংঘ। জনসংঘ রূপান্তরিত হয় বিজেপিতে। রাজনৈতিক ফ্রন্টে আরও ছিল হিন্দু মহাসভা। অবিভক্ত ভারতের হিন্দু মহাসভার উদগাতা এবং নেতা ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি। এই শ্যামাপ্রসাদের সাথে মিলে শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হক অবিভক্ত বাংলায় একটি মন্ত্রিসভা গঠন করেন। এই মন্ত্রিসভা শ্যামা-হক মন্ত্রিসভা নামে পরিচিতি ছিলো। সেখানে তার প্রধান পার্টনার ছিলেন হিন্দু সভার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি। সংঘ পরিবারের রাজনৈতিক শাখায় আর একটি দল হলো বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। বিজেপির যুব শাখা হলো রজরঙ দল, নারী শাখা হলো দুর্গা বাহিনী এবং রাজনৈতিক স্বেচ্ছা সেবকদের সংগঠন হলো কর সেবক। উইকিপিডিয়া থেকে দেখা যায় যে, নরেন্দ্র মোদি প্যারেন্ট সংগঠন আরএসএস বা সংঘ পরিবারের ৩ নম্বর নেতা। সংঘ পরিবার থেকে তাকে পাঠানো হয়েছে বিজেপিতে। সংঘ পরিবারের অঙ্গুলি হেলনে আদভানিকে আউট করে মোদিকে বিজেপির নেতা করা হয়েছে। মোদি নিষ্ঠার সাথে আরএসএসের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন।
দিল্লিতে মুসলিম নিধন অভিযান ভারতের ইতিহাসে নতুন কিছু নয়। এর আগে নরেন্দ্র মোদি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন তার মুখ্যমন্ত্রিত্বের আমলে গুজরাটে পাইকারি হারে মুসলিমনিধন চলে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার নামে হিন্দুরা একতরফা হত্যাকান্ড চালায় এবং এই হত্যাকান্ডে ২ হাজার মুসলমানকে হত্যা করা হয়। তখন থেকে নরেন্দ্র মোদিকে উপাধি দেওয়া হয় ‘গুজরাটের কসাই’। গুজরাটে যেভাবে ২ হাজার মুসলমানকে হত্যা করা হয়েছিল সেই একই কায়দায় দিল্লিতেও এপর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক ৪৬ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। খোদ ভারতের পত্রিকা হিন্দুস্তান টাইমস সংবাদ শিরোনাম করেছে। এঁৎধঃ গড়ফবষ রহ ঘবি উবষযর. অন্য কথায় গুজরাট মডেল নয়া দিল্লিতে রপ্তানি করা হয়েছে।
ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র বানানোর প্রক্রিয়ায় আরএসএস নেতা নরেন্দ্র মোদি ধাপে ধাপে অগ্রসর হচ্ছেন। এর মধ্যে কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বিলোপ করা হয়েছে। সামরিক বাহিনী এবং বিচার বিভাগের ওপর বিজেপি তথা আরএসএসের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। তারই নজির হিসাবে বাবরি মসজিদ মামলার রায় দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্ট। এই রায়ে বিজেপির বক্তব্যই তুলে ধরা হয়েছে। এর পর করা হয়েছে নাগরিক পঞ্জি। তার পর করা হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ। নাগরিক পঞ্জি এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন মুসলমানদেরকে ভারতে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করেছে। এই ব্যাপারে বিজেপি আর রেখে ঢেকে কথা বলেনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পরিষ্কার বলেছেন যে, মুসলমানদেরকে এই আইনের আওতায় এনে ভারত থেকে উৎখাত করা হবে এবং আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে যেসব হিন্দু ভারতে আসবেন তাদেরকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। ধাপে ধাপে হিন্দুরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার এই পর্যায়ে দিল্লিতে ঘটানো হলো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা।
সেই নরেন্দ্র মোদি চলতি মাসে ১৬ তারিখে ঢাকা আসছেন। ঢাকায় বিভিন্ন মহল থেকে আওয়াজ তোলা হয়েছে নরেন্দ্র মোদিকে আসতে দেওয়া হবে না। নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের অনুরোধ প্রত্যাহার করার জন্য আওয়ামী সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে। ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র বানানোর প্রক্রিয়ায় নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ অতঃপর কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, সেটি দেখার জন্য এই উপমহাদেশের মানুষ ফিঙ্গার ক্রস করে অপেক্ষা করছেন।
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।