মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
উত্তর পশ্চিম সিরিয়ায় এক বিমান হামলায় ৩৩ জন তুর্কি সৈন্য নিহত হবার পর একে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ ঘটনার পর পাল্টা হামলা চালিয়ে সিরিয়ার ৩০৯ জন সৈন্যকে 'নির্মূল' করার দাবি করেছে তুরস্ক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধ লাগার আশঙ্কাও করছেন অনেকে। দুদেশের মধ্যকার এই যুদ্ধ পরিস্থিতি উত্তাপ ছড়িয়েছে সামাজিক মাধ্যমেও। প্রতিবেশী দুই দেশের সংঘাত নিয়ে নানা আশঙ্কা, মন্তব্য ও বিশ্লেষণ তুলে ধরেছেন নেটিজেনরা।
গত বৃহস্পতিবার সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশের জাওয়িয়া পাহাড়ের আল-বারা ও বিলিয়োন শহর এলাকায় তুর্কি সেনাদের ওপর হামলা চালায় দেশটির সেনাবাহিনী। হামলায় অন্তত ৩৪ তুর্কি সেনা নিহত হন বলে জানায় লন্ডনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস।
এই ঘটনার পরই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান আংকারায় এক উচ্চপর্যায়ে নিরাপত্তা বৈঠক করেন এবং তুরস্কের বাহিনী সিরিয়ার ২০০টি লক্ষ্যবস্তুর ওপর স্থল ও বিমান হামলা শুরু করে। এতে ৩০৯ জন সিরিয়ান সৈন্যকে 'নির্মূল' করা হয়েছে এবং ৫টি হেলিকপ্টার, ২৩টি ট্যাংক, ২৩টি হাওইটজার এবং দুটি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে বলে তুরস্ক দাবি করছে।
ফেইসবুকে মোহাম্মাদ আবুল মামুন লিখেছেন, ‘‘পৃথিবীতে মুসলমানদের শত্রু অনেক। দুইটা মুসলিম দেশের মধ্যে যুদ্ধ লাগিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক ইসলামবিরোধী শক্তি কাজ করে যাচ্ছে। তাই এই সব ঘটনার ইন্ধনদাতাকে খুঁজে বের করে তার বিরুদ্ধে দুই দেশের যুদ্ধ করা উচিত।’’
তুর্কি-সিরিয়া সংঘাত নিয়ে জাহাঙ্গীর আলম লিখেছেন, ‘‘যুদ্ধ কোন সমাধান নয়, যেহেতু দুটোই মুসলিম রাষ্ট্র সেহেতু সমাধানের রাস্তা খুবই সহজ। শুধু মাত্র দুই দেশের রাষ্ট্র প্রধানের সৎ ইচ্ছাই যথেষ্ট।’’
তামজিদ বিন জাকির লিখেছেন, ‘‘তুরস্কে ৪০লক্ষ মানুষকে জায়গা দিয়েছে এর মধ্যে প্রতিদিন নতুন করে তুরস্কে প্রবেশ করছে। ইদলিব প্রদেশে সিরিয়া যে হামলা করছে তাতে আরো ৪৫ লক্ষ মানুষ রাষ্ট্র হারা হবে। এ মানুষ গুলো কোথায় যাবে। এ্ররা তো সবাই সিরিয়ার নাগরিক। আসাদ মানুষ চায় না জমি চায়। তুর্কিদের কি বা আর করার আছে।’’
আমির আহমেদ লিখেছেন, ‘‘যুদ্ধ হলে তুরস্কের মার খাওয়ার আশংকা বেশি। কারণ সিরিয়ার পক্ষে রাশিয়া ও ইরান সরাসরি সাপোর্ট দিবে। তুরস্কের পক্ষে তেমন কেউ নেই।’’
জিয়ারেদ রহমান লিখেছেন, ‘‘এখানে রাশিয়া দ্বিমুখী অবস্থান করছে, তা ছাড়া রাশিয়া অশ্রু বিক্রি করার জন্য দ্বিমুখী ভাবে যুদ্ধ লাগানোর চেষ্টা করছে। তুরুস্কের যে ৩৩ সেনা মারা গেছে তার জন্য রাশিয়া দায়ী যদি ও তারা ভুল স্বীকার করছে। তবে আমার মতে যুদ্ধ না করাই ভালো।’’
আকরাম বাবু লিখেছেন, ‘‘ট্রাম্প, নেতানিয়াহু এবং মোদির মতো শাষকগোষ্টী মুসলমানদের উপর আঘাত করার সাহস কেমনে পায় এইবার বুঝছেন দর্শকমন্ডলি? রাশিয়ার সাথে ঝামেলা করে তুরস্ক নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারবে।’’
সানা আহমেদ শিবলু লিখেছেন, ‘‘কিছু নির্বোধ আছে যারা এরদোয়ানের সমালোচনা করছে... ইদলিবে লক্ষ লক্ষ মুসলিম বাঁচাতে রাশিয়ার সাথে চুক্তি, এস-৪০০ ইস্যূতে এরদোয়ানের অবস্থান, আমেরিকার সাথে তুরস্কের অবস্থান, কোন বিষয়ে এরা অহংকার দেখলো বুঝলাম না.... নিজের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং ইদলিবের মজলুম মুসলিমদের রক্ষা করা যদি অহংকার হয় তাহলে সেটা সকল মুসলিম নেতাদের করা উচিত..।’’
মামুন আহমেদ উল্লাহ লিখেছেন, ‘‘সিরিয়ার সমস্ত ভেজালের মূলে হচ্ছে সন্ত্রাসী আসাদ। তাকে শেষ করে দিয়ে সিরিয়াতে নতুন সরকার ঘোষণা করতে হবে, না হলে তুরস্ককে সিরিয়া দখল করতে হবে।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।