পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগুন নিভেছে। কিন্তু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে দিল্লির এখনও কতদিন লাগবে, তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই। এমনকি থামছে না মৃত্যুমিছিলও। এখনও পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৪২-এ পৌঁছেছে। দিল্লি কিছুটা শান্ত হতেই সরিয়ে দেয়া হচ্ছে পুলিশ কমিশনারকে। তদন্তে গঠিত সিটের আধিকারিকরা গতকাল সকালেই হাজির হন অভিযুক্ত আপ নেতা তাহির হুসেনের বাড়িতে। ওই বাড়ি থেকেই হিংসায় মদদ দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে তাহির বলেছেন, ওই দিন তিনি বাড়িতেই ছিলেন না। অশান্তির আশঙ্কায় ছেড়ে দিয়েছিলেন নিজের বাড়ি। উত্তর-পূর্ব দিল্লির মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলোর অধিকাংশ মানুষই দরিদ্র। বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া এবং নিরাপত্তাহীনতার কারণে প্রাণপ্রিয় দিল্লি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে চলে যাচ্ছেন হিন্দু-মুসলিম সব ধর্মের মানুষই। বিশেষ করে হিন্দু অধিবাসীদের ঘোর কাটছে না কোনভাবেই। কারা, কোথা থেকে এসে এত মানুষকে গুলি করে হত্যা এবং বাড়িঘর-ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে ছাড়খার করে দিয়ে গেল। গোটা উত্তর-পূর্ব দিল্লি এখন যেন ধ্বংসস্ত‚পের চেহারা নিয়েছে। থমথমে চারিদিক। এখনও ঘর থেকে বেরোতে ভয় পাচ্ছেন অনেকেই। স্বজনহারা মানুষ মাথা গোঁজার ঠাঁই নিশ্চিত করতে না পেরেই অভুক্ত ও নির্ঘুম বসে রয়েছেন প্রিয়জনের লাশ পাবার আসায় মর্গের সামনে। স্বজনহারা নারী-শিশুদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে দিল্লির বাতাস। ক’দিন আগে যাদের ভোট দিয়ে নেতা নির্বাচন করা হয়েছে তারাও পাশে এসে দাঁড়াননি স্বান্তনা দিতে।
পুলিশ সূত্রে খবর, দিল্লির হিংসায় ইতিমধ্যেই ১২৩টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৬৩০ জনকে। এমনকি প্ররোচনা থেকে দিল্লিবাসীকে দূরে রাখতে প্রতি মুহ‚র্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় মনিটরিং করা হচ্ছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা জানানো হয়েছে ৪২, তবে, দিল্লিতে মৃত্যুর আসল সংখ্যাটা অনেক বেশি। কারণ, উপদ্রæত এলাকাগুলিতে বহু মানুষের খোঁজ মিলছে না। রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি হয়েছে সংঘর্ষ-কবলিত অঞ্চলের পরিত্যক্ত নালা-নর্দমা থেকে চারটি ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধারের পর। এর মধ্যে শুধু আইবি কর্মী অঙ্কিতের দেহ শনাক্ত করা গেছে। বাকি তিনটি দেহের মধ্যে একটি দেহ অ্যাসিড দিয়ে এমন ভাবে জ্বালানো হয়েছে যে, তা শনাক্ত করা প্রায় অসম্ভব। আবার উপদ্রæত এলাকাগুলির অনেক অলি-গলি-মহল্লায় পুলিশ ঢুকতেই পারেনি এখনও। ফলে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।
খোদ পুলিশের তথ্য বলছে, চার দিনের সংঘর্ষে গুলি চলেছে প্রায় ৫০০ রাউন্ড! মৃতদের অধিকাংশের শরীরেই রয়েছে বুলেটের ক্ষত। আহতদের মধ্যে ৭০-৭২ জনই গুলিবিদ্ধ। হিংসা-বিধ্বস্ত এলাকায় যে দিকে চোখ যাচ্ছে শুধুই গুলির চিহ্ন আর খালি কার্তুজের খোল। এ যেন যুদ্ধক্ষেত্র! কোথা থেকে এল এত গুলি? কারা-ই বা চালাল? এই প্রশ্নই এখন ভাবাচ্ছে দিল্লি পুলিশের কর্তাদের।
এর সঙ্গে যোগ হয়েছে অ্যাসিড! উত্তর-পূর্ব দিল্লির বিস্তীর্ণ অঞ্চল পরিদর্শন করার পর পুলিশকর্তাদের মাথায় এখন দু’টিই চিন্তা --- গুলি আর অ্যাসিড। তবে সবকিছুর পর এখন একটাই প্রশ্ন, কবে ফের শান্ত হবে দেশের রাজধানী? সেই অপেক্ষাতেই সাধারণ মানুষ।
জ্বলছে দেশের রাজধানী দিল্লি। হিংসাত্মক কার্যকলাপ কিছুটা থামলেও মৃত্যুমিছিল থামার কোনও লক্ষণ নেই। এরই মধ্যে দেখা গেল, দেশের রাজধানীতে নিশানা করা হয়েছে স্কুলকে। হিংসাকামীরা শুধু স্কুলের ক্ষতিই করেননি, পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে প্রায় গোটা স্কুলটাই। ভেঙেচুরে দেয়া হয়েছে সমস্ত আসবাব, বেঞ্চ।
জানা গেছে, দিল্লির যেসব জায়গায় সবচেয়ে বেশি অশান্তি হয়েছিল, তার কাছেই রয়েছে শিব বিহার। সেখানেই রয়েছে ডিআরপি স্কুল। যেখানে পড়ে প্রায় ১০০০ শিক্ষার্থী। সেই স্কুলেই রয়েছে টানা ২৪ ঘণ্টা ধরে আক্রমণ শানানো দুষ্কৃতীরা।
স্কুলের পরিচালন সমিতির এক সদস্যদের কথায়, ‘টানা ২৪ ঘণ্টা ধরে স্কুলটা জ্বলল। কেউ নেভাতে এগিয়েও আসেনি। দমকলও আসেনি। পুলিশ এল তিন দিন পর’। শুধু তাই নয়, দিল্লির করাওলনগর এলাকায় পা দিয়ে দেখা যাবে, একটা গোটা মহল্লা জ্বালানো হয়েছে। এমন একটা বাড়িও দেখা যাচ্ছে না, যেখানে আগুন লাগার চিহ্ন নেই। দোকানপাট সব বন্ধ। ভাঙা কাঁচের টুকরো, হাওয়াই চটি, বিভিন্ন সাইজের পাথর পেরিয়ে এ বাড়ি, সে বাড়ি ঘুরেও কাউকেই দেখা যাচ্ছে না। একটা কুকুর পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না গোটা এলাকায়। চারদিকে পোড়া গাড়ির ধ্বংসাবশেষ, অর্ধেক জ্বলে যাওয়া স্কুটি, বাইক, সাইকেল। আধপোড়া রুটিও চোখে পড়ল জ্বলে যাওয়া বাড়ির সামনের খালি জায়গায়।
রুটিরুজির অবলম্বন টায়ারের দোকান, সবজির রেড়ি, বাইক সারানোর গ্যারাজও জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে নির্বিচারে। প্রশাসনের যাবতীয় সতর্কতা অস্বীকার করে বুধবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল চাঁদবাগ, গোকুলপুরী, করাওলনগর ও বৃজপুরী এলাকা। জাফরাবাদসহ কয়েকটি এলাকা শান্ত থাকলেও বাকিতে দফায় দফায় সংঘর্ষ, পাথর বৃষ্টি হয়েছে। যার থেকে বাদ যায়নি স্কুলও। জ্বালিয়ে দেয়া হয় গোটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটাই।
সোনিয়া-রাহুল-প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বিরুদ্ধে এফআইআর
সোনিয়া-রাহুল-প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বিরুদ্ধেও উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগে এফআইআর দায়েরর আবেদন জমা পড়েছে দিল্লি হাইকোর্টে। এ প্রেক্ষিতে কেন্দ্র সরকারের থেকে জবাব চেয়ে গতকাল নোটিস জারি করেছে দিল্লি হাইকোর্ট। অন্যদিকে, দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া, আপ বিধায়ক আমানাতুল্লা খান, এআইএমআইএম নেতা ওয়ারিস পাঠান ও আকবরুদ্দিন ওয়াইসির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের দাবিতে আদালতে আবেদনপত্র জমা পড়েছে। সেই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, দিল্লি সরকার ও পুলিশকে নোটিস জারি করেছে বিচারপতি ডি এন পটেল ও বিচারপতি সি হরি শঙ্করের বেঞ্চ।
পুলিশ কমিশনার বদল
হিংসার আবহেই রাজধানী শহরের কমিশনার বদল হয়েছে। আজ অবসর নেবেন দিল্লির পুলিশ কমিশনার অমূল্য পটনায়ক। তার জায়গায় দিল্লির নতুন পুলিশ কমিশনার হবেন এস এন শ্রীবাস্তব। দিন তিনেক আগেই তাঁকে স্পেশাল কমিশনার (আইন-শৃঙ্খলা) পদে নিয়োগ করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবারই হিংসার ঘটনার তদন্তে ২টি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হল। উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে হিংসার ঘটনার দায়িত্বাভার ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে তুলে দেয় দিল্লি পুলিশ। জখমদের নিখরচায় চিকিৎসার বন্দোবস্ত করার ঘোষণা করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার মামলায় কেন্দ্র সরকারকে ৪ সপ্তাহ সময় দিল দিল্লি হাইকোর্ট।
শান্তি ফিরিয়ে আনার আহবান
দিল্লির উত্তরাংশের মসজিদগুলোয় গতকাল শান্তি ফিরিয়ে আনার আহবান জানিয়েছেন ধর্মীয় নেতারা। এক ঘোষণায় মসজিদগুলো জনগণের প্রতি শান্তি রক্ষা করতে ও গুজবে কান না দিতে আহবান জানিয়েছে। এছাড়া, সন্দেহজন ব্যক্তিদের সম্পর্কে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে ঘোষণায়।
এদিকে, গুরু তেজ হাসপাতালে শুক্রবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় দাঙ্গায় জখম হওয়া চার ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪২ জনে। গত এক সপ্তাহে হাসপাতালটি দাঙ্গায় নিহত হওয়া ২৫ জনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়া, আরো ১৩ জন আহত অবস্থায় ভর্তি হওয়ার পর মারা গেছেন। অন্যদিকে লোক নায়েক হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে এমন আরো তিন জনের। জাগ প্রকাশ হাসপাতালে মারা গেছেন একজন।
গতকাল শহরজুড়ে কড়া নিরাপত্তা জারি রেখেছিল পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীগুলো। জুম্মার নামাজ উপলক্ষে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। কিছু এলাকায় জীবনযাত্রা খানিকটা স্বাভাবিক হওয়া শুরু করলেও বেশিরভাগ জায়গায়ই বন্ধ রয়েছে দোকানপাট। বিরাজ করছে চাপা উত্তেজনা। সোমবার নিরাপত্তা রক্ষায় মোতায়েন করা হয় ৭ হাজার আধাসামরিক সেনা।
দিল্লির সহিংসতায় কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও পুলিশের গাফিলতি তীব্রভাবে সমালোচিত হয়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। এ নিয়ে দেয়া এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এসব সমালোচনা ‘ভুল ও অসত্য’। বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও সংগঠনগুলোকে দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য না করতে আহŸান জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, সহিংসতার সময় দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয় থাকার ও কিছু ক্ষেত্রে দাঙ্গাকারীদের সঙ্গে সমম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ ওঠেছে। এই বাহিনীটি দেশের সবচেয়ে সমৃদ্ধ পুলিশ বাহিনী হিসেবে পরিচিত। এটি সরাসরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে জবাবদিহিতা করে। সহিংসতা থামাতে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার জন্য সমালোচিত হয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সভাপতি অমিত শাহও। এছাড়া, দাঙ্গা নিয়ে অগ্রাহ্যতার অভিযোগে নিন্দিত হয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।
স্থানীয় অপরাধীরাই অস্ত্র জুগিয়েছে বলে দাবি পুলিশের
হিংসার গ্রাসে রাজধানী শহর। বুলেট ছুটেছে মুড়ি মুড়কির মত। বন্দুকের গুলিতে নিহতের সংখ্যা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখি। কিন্তু, কোথা থেকে এল এত বন্দুক-গুলি? আপাতত তারই খোঁজে দিল্লি পুলিশ। মৃতদের মধ্যে ২১ জনই গুলির আঘাতে নিহত। এর মধ্যেই রয়েছেন দিল্লি পুলিশের হেড কনস্টেবল রতন লালও। পুলিশের তরফে দিল্লি হিংসায় ক্ষতিগ্রস্থ (নিহত-আহত) ২৫০ জনের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। যা থেকে স্পষ্ট যে, ক্ষতিগ্রস্থদের প্রতি তিন জনের মধ্যে একজন বুলেটে জখম।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নিহত ২৯ জনের দেহ সনাক্ত করতে পেরেছেন। গুলিতে জখম ছাড়াও রয়েছে অ্যাসিড আক্রমণ, ছুরি বা তলোয়ারে জখমের ঘটনাও। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এক সিনিয়র পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, ‘হিংসাদীর্ণ দিল্লি থেকে ৩২, ৯, ৩১৫ এমএম কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও খেলনা বন্দুকের কার্তুজও ব্যবহার করা হয়েছে।’
পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে ইঙ্গিত, সাধারণ অপরাধীরা দেশি পিস্তল কার্তুজ মজুত করেছিল। হিংসার সময় যা স্থানীয় বেকার যুবকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অভিযানের সময় পুলিশ বেশ কিছু তলোয়ার, ছুরি উদ্ধার করেছে বলে জানা গেছে।
তদন্তকারী এক পুলিশ অফিসারের থেকে দ্য ইন্ডিয়ার এক্সপ্রেস জানতে পেরেছে যে, ‘অস্ত্র ও বিস্ফোরক বিলোনোর ক্ষেত্রে পুলিশের খাতায় আগে নাম রয়েছে এমনসব স্থানীয় ডাকাত, ছিনতাইকারীদের উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা রয়েছে। পুলিশের কাছে সেই প্রমাণ রয়েছে। তাদের বাড়িসহ নানা জায়গায় খোঁজ চালানো হচ্ছে। তারা অনেকেই এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে।’
শিথিল হচ্ছে বিধিনিষেধ
দিল্লির পুলিশের তরফে জানান হয়েছে যে, উত্তর-পূর্ব দিল্লির বিভিন্ন জেলায় দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা শিথিল করা হচ্ছে। একই পদক্ষেপ করা হবে ভোর ৪টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত।
হিংসা বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবে কংগ্রেস প্রতিনিধি দল
দিল্লিতে হিংসা বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনের জন্য পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল গঠন করলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। উপদ্রæত এলাকা ঘুরে দেখে প্রতিনিধি দল রিপোর্ট জমা করবেন। সিএএ বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আগুন জ্বলছে রাজধানীতে। ক্রমশ বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। গত বুধবারই টুইট করে দিল্লিতে শান্তি বজায় রাখার আবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ‘কেন ৬৯ ঘন্টা পরে নিরবতা ভাঙলেন প্রধানমন্ত্রী?’ তা নিয়ে এদিন প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা কপিল সিবাল। তবে, মোদি টুইটে আর্জি জানালেও এখনও চুপ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সিবাল বলেন, ‘অমিত শাহের হিংসা বিধ্বস্ত এলাকায় যাওয়া উচিত’।
মঙ্গলবার উত্তর-পূর্ব দিল্লির অন্তত তিনটি স্কুলকে টার্গেট বানিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবার ব্রিজপুরীতে একটি স্কুলে আগুন লাগানো হয়। ওই স্কুলে ৩ হাজার শিক্ষার্থী পড়ে। প্রায় চার ঘণ্টা আগুন জ্বলার পর দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছে। পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়াতে কোনও শিক্ষার্থী স্কুলে ছিল না। সূত্র : এনডিটিভি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।