পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
পৃথিবী জুড়ে চলছে আবহাওয়া এবং পরিবেশগত ব্যাপক পরিবর্তন। এসব পরিবর্তন আমাদের জন্য কোনো শুভ বার্তা বয়ে আনছে না। এসব হচ্ছে নেগেটিভ বা নেতিবাচক পরিবর্তন। বিশ্ব আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ৮টি দেশের উপকূলীয় এলাকায় বিরূপ পরিবেশগত প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী ইতোমধ্যেই করা হয়েছে। ওয়াশিংটনের আবহাওয়া ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বিশ্ব্যব্যাপী বায়ুমন্ডলে উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে। এতে এসব অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেবে। দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার লাখ লাখ লোক ‘পরিবেশগত উদ্বাস্তুুতে’ পরিণত হবে। তারা অবশ্য এ কথাও বলে আশ্বস্থ করেছেন, উন্নত পরিবেশ, দূষণরোধ প্রযুক্তির দ্রুত ব্যবহারের মাধ্যমে সম্ভাব্য দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি লাঘব হতে পারে।
ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় ৬০ জনের আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ দল এবং ৮টি এশীয় দেশের সরকার এ জরিপ কাজে অংশগ্রহণ করে। জরিপে বলা হয়েছে, উপকূলের ব্যাপক এলাকা সাগরের স্ফীত পানিতে নিমজ্জিত হবে এবং ভূমিধ্বসের সৃষ্টি হবে। মিষ্টি পানির প্রবাহে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করবে। উপকূলীয় ব্যাপক এলাকায় মৎস্য উৎপাদন হ্রাস পাবে এবং ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির প্রকোপও বৃদ্ধি পাবে। দক্ষিণাঞ্চলীয় ৮টি দেশ বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম এবং ফিলিপাইনে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ বসবাস করে। বিশ্বব্যাপী বায়ুমন্ডলের উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট গ্রীন হাউস প্রতিক্রিয়ায় মারাত্মক ক্ষতির শিকার হবে এই দেশগুলো।
‘গ্রীন হাউস এফেক্ট’ এর জন্য বন উজাড়কেই প্রধান কারণ বলে গণ্য করা হয়। একটি দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও পরিবেশকে সুন্দর-সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখতে দেশের মোট আয়তনের শতকরা ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা অত্যাবশ্যক। সেখানে আমাদের দেশে বনভূমির পরিমাণ সরকারি হিসাব মতে, শতকরা ৯ ভাগ। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বনভূমির পরিমাণ ৬ ভাগের বেশি হবে না বলেই পর্যবেক্ষকদের ধারণা। দেশে বনভূমির এই অস্বাভাবিক হ্রাসের কারণে বাংলাদেশের জলবায়ু ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদ কর্তৃক পরিচালিত ‘বাংলাদেশে গ্রীন হাউসের প্রভাব এবং আবহাওয়ার পরিবর্তন শীর্ষক গবেষণা গ্রন্থে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আবহাওয়া ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে। গত শতাব্দীর শেষ দিকের তুলনায় গড় তাপমাত্রা বর্তমানে ০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। এখন আবহাওয়া ঠান্ডা হবার কোন প্রবণতা নেই বলে গবেষণা গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে। এভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকলে আগামী ২০৩১ সাল নাগাদ দেশে বর্তমানের তুলনায় তাপমাত্রা ১ থেকে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ২০৫০ সার নাগাদ ১.৫ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে বলে ধারণা কর হচ্ছে। উচ্চ তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রবণতার সঙ্গে সঙ্গে বর্ষাঋতুও দীর্ঘায়িত হতে পারে। বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদ, নিউজল্যান্ডস্থ ওয়াইক্যাট বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল এন্ড রিসার্চ স্টাডিজ এবং গ্রেট ব্রিটেনস্থ ইস্ট এ্যাংলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাইমেটিভ রিসার্চ ইউনিট কর্তৃক প্রণীত এবং বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদ কর্তৃক প্রকাশিত ৭ খন্ডের গবেষণা গ্রন্থ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এই গবেষণায় আরও জানা যায়, গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা পানি বিভাজন এলাকাতে ভবিষ্যতে বৃষ্টিপাতের বৃদ্ধিতে সে দেশে বন্যার ভয়াবহতা বাড়বে। অন্যদিকে, বর্ধিত বৃষ্টিপাত নদীর প্রবাহ বাড়িয়ে সমুদ্রপৃষ্ঠ বৃদ্ধির জন্যে উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততার অনুপ্রবেশকে প্রশমিত করতে সাহায্য করতে পারে। তবে যে তথ্যটি সবচেয়ে আশঙ্কাজনক তা হলো, তাপমাত্রা বৃদ্ধিজনিত কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠ বৃদ্ধির ফলে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বা গরান কাঠের বনভূমি সুন্দরবন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আমাদের দেশে সুন্দরবন যেন মরুভূমির মধ্যে শ্যামল মরুদ্যান। দেশের অন্যতম প্রধান এই বনভূমি এখন ধ্বংস এবং বিপর্যয়ের মুখে। সুন্দরবন বাংলাদেশের সমগ্র বনভূমির প্রায় ১৭.৭৩ শতাংশ। মানুষের লোভ আর হস্তক্ষেপের ফলে সুন্দরবন তার সৌন্দর্য হারাচ্ছে। দেশ হারাচ্ছে প্রাকৃতিক ভারসাম্য। ফারাক্কা বাঁধের মরণ ছোবল আমাদের দেশকে শুধু পানি শূন্যই বা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে প্রায় মরুভূমিতে পরিণতই করছে না, আমাদের দেশের সামগ্রিক প্রাকৃতিক পরিবেশকে বিনষ্ট করছে। ফারাক্কার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বনভূমি সুন্দরবন অঞ্চলেও। ফারক্কা বাঁধের প্রতিক্রিয়ার ফলে পদ্মা নদীর পানির সরবরাহ ও নাব্য কমে যায়। ফলে সুন্দরবনে প্রবাহিত শাখা নদীগুলোর মধ্য দিয়ে সমুদ্রের লবণাক্ত পানি অভ্যন্তরভাগে অধিক দূর পর্যন্ত প্রবেশ করে। এর ফলে সুন্দরবনের অন্যতম প্রধান বৃক্ষ কম লবণাক্ততায় টিকে থাকার উপযোগী উদ্ভিদ সুন্দরী গাছ মরে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে সুন্দরী বৃক্ষের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে যাবে। গাছপালা, পশু পাখি, জীবজন্তু ও মাছের মারাত্মক ক্ষতির আশংকা দেখা দিয়েছে।
নানা কারণেই আজ সুন্দরবনসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের বনভূমি মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। আমরাও দিন দিন গ্রীন হাউস এফেক্টের নির্মম শিকারে পরিণত হতে চলেছি। দেশের বনাঞ্চলগুলোর সম্পদের অধিক ও অনিয়ন্ত্রিত আহরণ আজ আমাদের পরিবেশ ও প্রতিরোধের জন্য মারাত্মক হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মানুষই পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ। যেখানে মানুষের উচিত নিজেদের কলুষমুক্ত পরিচ্ছন্ন পবিত্র রাখার জন্য যথাসম্ভব পরিবেশকে রক্ষা করা, সেখানে এই মানুষের কারসাজিতেই বনভূমি উজাড় হচ্ছে। যেখানে সেখানে ইটের ভাঁটি গড়ে উঠছে। বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। পশুপাখি নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। অপরিকল্পিত শহর গড়ার কারণে প্রকৃতির সবুজ শ্যামলিমাকে বিপন্ন করা হচ্ছে। এদিকে উপচে পড়া জনসংখ্যার কারণে দেশে গড় ভূমি বণ্টনের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র সংকুচিত হয়ে আসছে নদী সিকস্তি পরিাবারের সংখ্যা বাড়ছে। এসব ভূমিহীন, বেকার সর্বহারা লোকজন গ্রামের অবারিত সবুজ প্রান্তর ছেড়ে জঠর জ্বালা নিবারণের জন্য শহরে ছুটে আসছে। কোন রকমে একটা কাজ জুটিয়ে বস্তির অপরিসর নোংরা ঘিনঘিনে পরিবেশে ঠাই নিচ্ছে। এতে শহরের পরিবেশ যেমন ক্রমাগত দূষিত হচ্ছে তেমনি এ রকম অস্বাস্থ্যকর দূষিত পরিবেশে থেকে বস্তির মানুষগুলোও দিনে দিনে জীর্ণ-শীর্ণ-রোগাগ্রস্ত হচ্ছে। রাজধানীর মোট ১ কোটি ৭০ লাখ অধিবাসীর মধ্যে ৩০ শতাংশই বস্তিবাসী।
জনসংখ্যা ও সম্পদের বিপুল ফারাক এবং তিস্তাসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নদীর কারণে আমাদের দারিদ্র্য যেমন দূরীভূত হচ্ছে না, তেমনি আমাদের পরিবেশও নানা ধরনের ভারসাম্যহীনতার শিকার হচ্ছে। সুষম এবং পরিমিত জনসংখ্যার গুরুত্ব দেশবাসীকে বোঝাবার দায়িত্ব দেশের শিক্ষিত এবং সচেতন নাগরিকের ওপরই বর্তায়। এ ক্ষেত্রে সচেতন মানুষরা যদি নিজেদের দায়িত্ব এড়িয়ে যান তাহলে পরিবেশের ভারসাম্যহীনতার কারণে যে বিরাট ব্যাপক ধ্বংস নেমে আসবে সে ক্ষতির ভার সবাইকে বইতে হবে।
আগেই বলেছি, গ্রীন হাউস এফেক্ট ও বনভূমি উজাড় করা নিয়ে। প্রকৃতপক্ষে নির্বিচারে গাছ কাটা ও পশুপাখি শিকারের কারণেই সুন্দরবনসহ দেশের অন্যান্য বনাঞ্চল আজ হুমকির সম্মুখীন। শুধু পরিবেশ নয় অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও বনভূমির অপরিসীম গুরুত্ব রয়েছে। দিনে দিনে যে পরিমাণ গাছ কাটা হচ্ছে তার এক-চতুর্থাংশও লাগান হচ্ছে না। গাছ লাগানো হলেও প্রাথমিক পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অসংখ্য চারাগাছ মারা যাচ্ছে। বিশ্ব পরিবেশ বিজ্ঞানীদের অভিমত অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অধিকাংশ এলাকা সমুদ্র গর্ভে তলিয়ে যেতে পারে।
বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য শহরও অব্যাহত পাহাড় কাটার কারণে বৃষ্টির সঙ্গে বালি পড়ছে আবাদযোগ্য জমিতে। পানি নিষ্কাশনের খালগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এতে বন্যা সর্বগ্রাসী রূপ ধারণ করছে। লাখ লাখ মানুষ জলাবদ্ধতার শিকার হচ্ছে। এছাড়াও পাহাড় কাটার পরিণামে ভূমিধসে প্রাণ হারাচ্ছে অনেক ছিন্নমূল মানুষ। নিজেদের প্রয়োজনেই এখন পাহাড় অক্ষত রাখা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। একথা শুধু চট্টগ্রাম নয় দেশের অন্যান্য পাহাড়ী এলাকা যেমন সিলেট, ময়মনসিংহ এবং কুমিল্লার বেশ কিছু অঞ্চলের জন্যও প্রযোজ্য।
সবুজ বুক্ষরাজি এবং শ্যামল প্রকৃতি আমাদের প্রাণীদের বাচিয়ে রাখছে অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং আমাদের উদগীরণকৃত বিষাক্ত কার্বন-ডাই-অক্সইড গ্যাস গ্রহণ করে। নিজেরা নীলকণ্ঠ হয়ে অপরকে অমৃত সরবরাহ করছে সবুজ শ্যামল বৃক্ষরাজি। অথচ আমরা মানুষরা অবিবেচকের মতো এই পৃথিবীর অন্যতম পরিবেশ রক্ষাকারী বৃক্ষরাজি, বনভূমি ও পাহাড় উজাড় করে চলেছি দিনের পর দিন। পরিবেশবিদদের মতে, এক হেক্টর সবুজ বনভূমি ৩.৭ টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে এবং ২ টন অক্সিজেন ত্যাগ করে। অনিয়ন্ত্রিত বৃক্ষ নিধনের ফলে এই কার্বন-ডাই-অক্সইডের পরিমাণ বাতাসে বেড়ে গিয়ে প্রকৃতিকে করছে শুষ্ক ও গরম। যেসব স্থানে কাঠের বিকল্প হিসেবে অন্যকিছু ব্যবহার করা যায় সেখানেও কাঠের ব্যবহার হচ্ছে। যেমন দেশের প্রায় ৪ হাজার ইটের ভাটাতে প্রায় ৩ লাখ মেট্রিক টন কয়লা ব্যবহৃত হতে পারে। কিন্তু তা না হয়ে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে কাঠ। চলছে বৃক্ষনিধনযজ্ঞ। পরিবশ বিজ্ঞানীদের মতে, দেশের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য এই মুহূর্তে জরুরিভিত্তিতে সব রকমের পদক্ষেপ নিতে হবে। ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার মধ্য দিয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। প্রচলিত আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং প্রয়োজনে কঠোর আইন প্রণয়ন করে তা প্রয়োগ করতে হবে। এসব না হলে যেকোন ভয়াবহ দুর্যোগের জন্য জাতিকে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। পরিবেশ ও প্রতিবেশ সমস্যা যেহেতু বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষপটে একটি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়, তাই আমাদের পরিবেশ ভারসাম্যহীনতা এবং বনভূমি উজাড়ের অন্যতম প্রধান সমস্যা হিসাবে ফারাক্কাসহ সামান্য নদীকে চিহ্নিত করে এই সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এ ছাড়াও দেশি-বিদেশি গবেষক দ্বারা পরিচালিত নিরবচ্ছিন্ন ও গঠনমূলক গবেষণা সেল থাকা জরুরি হয়ে পড়ছে। দেশে পাহাড় ও বনসম্পদ আহরণের ক্ষেত্রে আরও নিয়ন্ত্রিত ও পরিকল্পিত ব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে। পরিবেশকে রক্ষা করার কাজে সফলতা অর্জন করতে হলে সময় থাকতে সতর্ক হওয়াই সবচেয়ে জরুরি। শুধু সেমিনার বা সমাবেশই যথেষ্ট নয়, দেশের জনগণকে পরিবেশ সম্বন্ধে যথেষ্ট শিক্ষিত সচেতন করে তোলার পাশাপাশি যুগোপযোগী কঠোর আইন প্রণয়ন করতে হবে। যেহেতু, উন্নত পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ প্রযুক্তি দ্রুত ব্যবহারের মাধ্যমে সম্ভাব্য দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করা সম্ভব, কাজেই, আমাদের অবশ্যই এ কথা মাথায় রেখে ভবিষ্যতে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।