পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রথমবারের মত ভারত সফর করে গেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের নেক নজরে আসতে যথাসাধ্য সবকিছুই করেছে নরেন্দ্র মোদির ভারত। বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়ামে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে শুভেচ্ছা আর ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া। এমনকি বিশেষভাবে সমাদৃত হয়েছেন ট্রাম্প কন্যা ইভাঙ্কা ও জামাতা জ্যারেড কুশনারও।
ট্রাম্প এমন সময়ে ভারত সফর করলেন যখন দেশটি বেশ অর্থনৈতিক চাপের মুখে রয়েছে। এছাড়া ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টিকারী সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ও কাশ্মীরসহ আরো বেশকিছু ইস্যুতে অস্বস্তিতে রয়েছে তারা। সর্বশেষ বিশ্বের ক্ষমতাধর ব্যক্তির উপস্থিতিতেই ভারতের স্থ’ূল নিরাপত্তার খোলনলচে বেরিয়ে এসেছে। খোদ রাজধানী দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কমপক্ষে ২৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে বহু বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এমনকি মসজিদও।
ওয়াশিংটন ভিত্তিক থিংক ট্যাংক ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের ভারত বিষয়ের পরিচালক তানভি মাদন বলেছেন, ট্রাম্পের এ সফর মোদিকে রাজনৈতিকভাবে চাঙা করবে। তাকে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তির পাশে দেখা যাবে, যা তার জন্য ভালো সংবাদ তৈরি করবে।
অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগে ট্রাম্পের ভারত সফরের পেছনে অন্যতম কারণ হলো ভারতীয়দের কাছে নিজের একটি ভালো ইমেজ দাঁড় করানো ও জনপ্রিয়তা বাড়ানো। যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৪৫ লাখ ভারতীয় বংশোদ্ভ‚ত মার্কিন নাগরিক রয়েছেন। এ সফর তাদের সমর্থন অর্জনের একটি সুযোগ।
সাধারণত ভারতীয় বংশোদ্ভ‚ত মার্কিন নাগরিকরা ডেমোক্র্যাটদের ভোট দেন। ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি নিয়ে তাদের বিশেষ কোনো আগ্রহ নেই। ন্যাশনাল এশিয়ান আমেরিকান জরিপ অনুযায়ী, ২০১৬ সালের নির্বাচনে মাত্র ১৬ শতাংশ ভারতীয় ভোট দিয়েছেন ট্রাম্পকে।
ভারতের সফরের আগেই ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, দেশটির সঙ্গে এখনই বড়সড় কোনো চুক্তিতে যেতে চান না তিনি। তবুও সফরটির মূলকেন্দ্রে ছিলো সম্ভাব্য একটি বাণিজ্য চুক্তি। গত কয়েক মাস ধরে এ নিয়ে আলোচনাও হয়েছে দু’পক্ষের মধ্যে। কিন্তু বেশ কিছু বিষয়ে উভয় দেশের অনড় অবস্থানের কারণে সেটি বাস্তবায়িত হয়নি।
তবে দুই দেশের মধ্যে একটি লোক দেখানো প্রতিরক্ষা চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় ভারত যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৪টি এমএইচ-৬০ রোমিও সি-হক হেলিকপ্টার ও ৬টি এএইচ-৬৪ই অ্যাপাচে হেলিকপ্টার কিনবে। এ চুক্তি সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, এর মধ্য দিয়ে আমাদের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরো জোরদার হলো। এতে দুই দেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়বে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি ও আমি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে মুক্ত ও ভারসাম্য বজায় রেখে কাজ করতে সম্মত হয়েছি। একটি বিস্তৃত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়েও আমরা সম্মত হয়েছি।
প্রতিরক্ষা চুক্তি ছাড়াও কাশ্মীর প্রসঙ্গ নিয়েও কথা বলেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, কাশ্মীর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিনের সমস্যা। তাই দুই দেশ চাইলে তিনি মধ্যস্থতা করবেন। তবে সীমান্তপারের সন্ত্রাস নিয়ে তার মন্তব্য, ভারত যথেষ্ট শক্তিশালী রাষ্ট্র এবং সন্ত্রাসের মোকাবিলায় সক্ষম। আর পাকিস্তান এখন সন্ত্রাস থামাতে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে। কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে পাকিস্তান যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পক্ষ সে বিষয়টি ট্রাম্পের বক্তব্যে উঠে আসে। সূত্র : ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।