Inqilab Logo

শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আলোচনায় সালমান শাহর মৃত্যু নিয়ে পিবিআইয়ের রিপোর্ট

শাহেদ নুর | প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৮:৩৬ পিএম

জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যাকান্ডের শিকার হন নি, তিনি পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেছিলেন বলে জানিয়েছে তদন্ত সংস্থা পিবিআই। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদার এমনটাই জানান। পিবিআইর এই রিপোর্টের প্রতিবাদ জানিয়ে তা প্রত্যাখান করেছেন সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী। অন্যদিকে সালমান শাহর সাবেক স্ত্রী সামিরার পরিবার এই রিপোর্টে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

পিবিআইয়ের রিপোর্টে মৃত্যুর পাঁচ কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। তার মধ্যে চিত্রনায়িকা শাবনূরের সাথে সালমান শাহর অন্তরঙ্গ সম্পপর্কের কথা বলা হয়েছে। এই বিষয়টির তিব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন শাবনূর।

পিবিআইয়ের এই রিপোর্ট নিয়ে ইতোমধ্যে ফেইসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা সমালোচনা।

প্রিয় নায়ক সালমান শাহর ছবি শেয়ার করে চিত্রনায়ক কায়েস আরজু তার ফেইসবুকে লিখেন, ‘ভাইয়া এই পারে তোমার হত্যার বিচার পাবো না জানতাম! তবে ওপারে নিশ্চয়ই পাবো। আল্লাহ তোমাকে বেহেশত নসিব করুক ভাইয়া, আমিন।’

চলচ্চিত্র বিষয়ক অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট রহমান মতি লিখেন, ‘অসুস্থ কয়েকদিন ধরে। পিবিআইর 'সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছে' বলে দেয়া রিপোর্ট দেখে মনটা আরও খারাপ হয়ে গেলো। কিছুই বলার নেই। হয়তো আরও আপিল হবে, কিন্তু প্রিয় নায়ককে আর ফিরে তো পাবো না। সে সব চাওয়া-পাওয়ার উর্ধ্বে চলে গেছে, শুধু সে-ই জানে আসলেই তাঁর সাথে কী ঘটেছিল।’

‘আস্থার জায়গা পিবিআইও সালমান শাহের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলেই প্রতিবেদন দিলো। পিবিআই এর বক্তব্যে একটি কথা বার বার উঠে আসলো, সেটি হলো শাবনূরের সাথে অত্যাধিক মেলামেশা করা। এই কথাটি ১০মিনিটে ১০০বার বলেছে পিবিআই। কিছুদিন আগেই যারা বললো তদন্তে তেমন অগ্রগতি নাই, তারাই কিভাবে হঠাৎ এতো সুক্ষভাবে প্রতিবেদন দিলো সেটাই বুঝলাম না!’ - তানজিম আরফিনের মন্তব্য।

হতাশা প্রকাশ করে ওলি আহমেদ লিখেন, ‘এক সময় খুব চাইতাম, অম্বর সেনের অন্তর্ধান রহস্যের মত কোন একজন ফেলুদা আসুক, এসে সালমান শাহর অন্তর্ধান রহস্য বের করে ফেলুক। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, মিসির আলীর অমিমাংসীত রহস্যের মত জগতের কিছু রহস্য অমিমাংসীত থাকাই ভালো। এই ঘর এই সংসারে কিছু কিছু সত্যের মৃত্যু হোক, কিছু সত্য বেঁচে থাকুক কেয়ামত থেকে কেয়ামত পর্যন্ত!’

আমজাদ হোসেন পাবেল এক দীর্ঘ স্ট্যাট্যাসে লিখেন, ‘হে ক্ষণ জন্মা মহানায়ক, ক্ষমা করে দিও। এই দেশে তোমার হত্যার ন্যায় বিচার হলো না, আমরাও জানতে পেলাম না কি তোমার অপরাধ ছিলো! কারা তোমাকে হত্যা করলো! কেনই বা হত্যা করলো! আজ মনে হচ্ছে, তোমার জন্ম এদেশে হয়েছিলো, এটাই তোমার অপরাধ! ............’

উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইস্কাটনে নিজ বাসায় সিলিং ফ্যানের সাথে তাঁর ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। তখৎকালীন পুলিশের পোস্টমর্টেম রিপোর্টে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়। তবে এই মৃত্যুর জন্য তাঁর স্ত্রী সামিরা ও আরও কয়েকজনকে আসামি করে সালমান শাহর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলা ২৪ বছরে বিভিন্ন হাত ঘুরে সর্বশেষ পিবিআইয়ের হাতে আসে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সোশাল মিডিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ