আমাদের প্রত্যেক মুসলমানকে সাহাবীদের মতো ঈমানদার হতে হবে নতুবা সত্যিকার অর্থে আমরা এখনো খাঁটি ঈমানদার হতে পারিনি। অথচ কুরআন হাদিসের মানদন্ডে যাদের ব্যপারে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাঃ) চুড়ান্ত পর্যায়ের ঈমানদার এবং সাদিকীন বলে ঘোষনা দিয়েছেন তাঁরা হলেন আল্লাহর রাসুলের প্রতিটি সাহাবী। যাঁরাা ঈমানের পরিচয় দিতে গিয়ে পনের শত বছর পূর্বে নিজেদের জবান, মাল, জানকে কুরবানী করেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমরা বর্তমানে ঈমানের পরিক্ষায় আমরা নিজেদের কোন কিছুই কুরবান করতে পারছিনা। বাংলাদেশে সবচেয়ে জঘন্যতম কুফুরি করে যারা খাতমে নুবুয়্যাতকে অস্বীকার করছে তাদেরকে আমরা কাফের বলছি এবং তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন ও সংগ্রাম করে যাচ্ছি। আপনাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও কিছুদিন পূর্বে শয়তান কাদিয়ানী কাফেরগুলো কওমী মাদ্রাসার ছাত্রদের ওপর হামলা করেছে। এই সম্প্রদায় হচ্ছে কুখ্যাত শয়তান কাফের কাদিয়ানী। অতএব আমরা যদি সকল প্রকার কাফের মুশরিকদের ব্যপারে এখনই যদি সোচ্চার না হই তবে এদেশের নাস্তিক রাম বাম কুখ্যাত কাফের গুলো মুসলমানদের ওপর আরও ভয়ংকর ভাবে কালো থাবা বসাতে পারে। ২৫ ফেব্রুয়ারী বাদ যোহর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর নিশ্চিন্তপুরে দিনের বেলা সোনার মদিনা যুব সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত এক ইসলামি সুন্নী মহাসম্মেলন শুভাগমন করে তাহরিকে খাতমে নুবুয়্যাত বাংলাদেশের আমীর শায়খুল হাদীস মুফতি ড. সাইয়েদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী পীর সাহেব জৌনপুরী এসব কথা বলেন। উক্ত মহাসম্মেলন প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সাংসদ বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম। আলোচনা করেন স্থানীয় উলামায়ে কেরাম। উপস্থিত ছিলেন দৈনিক ইনকিলাবের নাসিরনগর উপজেলা সংবাদদাতা মুফতি মোযযাম্মিল মাছুমী প্রমূখ।