পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সম্প্রতি ঢাকা শহরের বনানীস্থ তালিমুল কুরআন বয়স্ক মাদরাসায় এক ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ওয়াজ ও দোয়া করেন ওলিয়ে কামিল আল্লামা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান জৈনপুরী পীরসাহেব। হাফেজ ক্বারী মাহমুদুল হাসান (সায়েম) এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মাহফিলে অতিথি ছিলেন, উক্ত মাদরাসার প্রধান উপদেষ্টা জনাব আব্দুস সাত্তার সাহেব এবং মাদরাসার সভাপতি মো. জিয়ারুল ইসলাম মল্লিক। তারা উভয়ে উক্ত মাহফিলে জৈনপুরী তরিকায় বায়াত গ্রহণ করেন এবং উক্ত এলাকায় দ্বীনের সেবা বাস্তবায়নে আব্দুস সাত্তার সভাপতি এবং মো. জিয়ারুল ইসলামকে সম্পাদক নিয়োগ করে জৈনপুরী দরবার শরীফের বনানী শাখা কমিটি গঠন করা হয়।
পীর সাহেব তার বয়ানে বলেন, যারা বয়স্ক হওয়া সত্ত্বেও পবিত্র কুরআনের এলেম শিখছে, তারা যদি কুরআন শিক্ষায় মগ্নাবস্থায় মারা যায় তাহলে তাদের অসমাপ্ত অংশ আল্লাহ তাআলা কবরে ফেরেস্তা পাঠিয়ে সমাপ্ত করাবেন। সুবহানাল্লাহ! এই হাদিস দ্বারা বুঝা গেল যে, কুরআন পাঠকারীদের জন্য কবর মাদরাসা হয়ে যাবে। সুতরাং প্রত্যেক মুমিন, মুসলমানদের উচিৎ যে কোন বয়সেই উপনীত হন না কেন, কুরআন শিক্ষা করা। তাই মুরশিদ বয়স্কদের মাদরাসা দেখে খুবই খুশী হন এবং প্রত্যেক এলাকায় এই ধরনের মাদরাসা তৈরি করে দ্বীন এলেমের সেবা করার জন্য সকলকে উদাত্ত আহ্বান জানান। আগত পবিত্র রমজান শরীফে দ্রব্যমূল্য যাতে বৃদ্ধি না পায় সেজন্যে সরকারকে অনুরোধ জানান এবং সকল হোটেল, রেস্তোরা বন্ধ রাখার ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে বলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।