মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কয়েক বছর আগেও মধ্যপ্রাচ্যে একক আধিপত্য ছিল ইসরায়েলের। কিন্তু সেই অবস্থা এখন আর নেই। শুধু মধ্যপ্রাচ্যের বিশ্লেষকরাই নন, ইউরোপ ও আমেরিকার বিশ্লেষকরাও এটি স্বীকার করেন। ইরান ক্রমাগত শক্তি বৃদ্ধি করায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে ইসরায়েল।
গত কয়েক বছর ধরে তেল আবিব যখনই কোনো ধরনের আগ্রাসন চালিয়েছে তখনই কোনো না কোনোভাবে তার জবাব দিয়েছে তেহরান। ইরানের সবচেয়ে বড় সফলতা হলো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে নিজেদের সমর্থিত বেশ কয়েকটি শক্তিশালী বাহিনী গড়ে তোলা। এতে ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষে জড়াতে হচ্ছে না ইরানের। বরং তেহরানের সমর্থনে ওই বাহিনীগুলোই ইসরায়েলের ওপর বিভিন্নভাবে হামলা চালিয়ে আসছে। এতে ইসরায়েল ব্যস্ত থাকছে হামাস, হিজবুল্লাহ ও ইসলামিক জিহাদের মতো সংগঠনগুলো নিয়ে। আর এই সুযোগে নিজেদের আরও শক্তিশালী করছে ইরানের সামরিকবাহিনী।
সর্বশেষ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র ভান্ডার ইরানের। বিভিন্ন পাল্লার অত্যাধুনিক সব ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে তাদের, যেগুলো সহজেই ইসরায়েলে আঘাত হানতে সক্ষম।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষমতা সম্পর্কে এরই মধ্যে ধারণা পেয়েছে সারা বিশ্ব। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশের অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ফাঁকি দিয়ে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে মার্কিন ঘাঁটিতে। এতে ওই ঘাঁটি লন্ডভন্ড হয়ে যায়। মূলত তখনই ইরানের ক্ষমতা সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের টনক নড়ে।
এছাড়া সর্বশেষ সামরিক শক্তি নিয়ে করা বৈশ্বিক প্রতিবেদনগুলোতে ইরানের নৌশক্তিকেও ‘প্রচণ্ড শক্তিশালী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ক্ষেপণাস্ত্র ফোর্সের মতো নৌবাহিনীতেও মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে শক্তিধর দেশ ইরান। বিশেষ করে তাদের সাবমেরিন ফোর্স সবচেয়ে ভয়ংকর। শক্তির দিক থেকে নৌবাহিনীতে বিশ্বের চার নম্বর অবস্থানে আছে ইরান।
ক্ষেপণাস্ত্র ও নৌবাহিনীতে এরই মধ্যে শীর্ষস্থানে আছে ইরানের সামরিকবাহিনী। চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে চীন ও রাশিয়া থেকে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান কেনারও কথা রয়েছে তাদের। সঙ্গে চলছে পারমাণবিক বোমা তৈরির কাজ। এ বছরের শেষের দিকে সেই বোমা তৈরির কাজ শেষ হবে। অবশ্য কারও কারও মতে, এরই মধ্যে ইরানের কাছে পারমাণবিক বোমা রয়েছে। সেগুলো হয়তো উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে কিনেছে তারা।
সামরিক ক্ষেত্রের সবগুলো বিভাগে সর্বোচ্চ উন্নতির লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে ইরান। ফলে ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের শক্তির ব্যবধান কমেছে অনেক। এমনকি কোনো কোনো দিক দিয়ে তেল আবিবের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে তেহরান, যা নিয়ে দিশেহারা ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দ্য জেরুজালেম পোস্ট জানায়, ইরানকে রুখতে গত কয়েকদিনে পুরনো অনেক নীতি থেকে বের হয়ে এসেছে ইসরায়েল। এতদিন তারা ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস ও ইসলামিক জিহাদ এবং লেবাননের সংগঠন হিজবুল্লাহকে নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও এখন থেকে ইরানের প্রতিই পূর্ণ মনোযোগ দেবে। এজন্য ইরান কমান্ড নামে নতুন একটি ফোর্সও গঠন করতে যাচ্ছে ইসরায়েল।
সবমিলিয়ে কিছুতেই ইরানকে রুখার পথ খুঁজে পাচ্ছে না ইসরায়েল। অন্যদিকে বার বার তেল আবিবকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছে তেহরান, যা ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের জন্য হয়ে উঠেছে দুঃস্বপ্ন। সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।