গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর পুরান ঢাকার গেণ্ডারিয়ায় এনামুল হক এনু ও তার ভাই রুপন ভূঁইয়ার বাসায় র্যাবের অভিযানে নগদ মিললো সাড়ে ২৬ কোটি টাকা। এ যেন টাকার খনি! গণনা শেষে তাদের বাসায়, ২৬ কোটি ৫৫ লাখ ৬০০ নগদ টাকা, ১ কেজি স্বর্ণ, ৫ কোটি ১৫ লাখ টাকার এফডিআর, ৯৬০০ ইউএস ডলার, ১৭৪ মালেয়শিয়ান রিঙ্গিত, ৫৩৫০ ভারতীয় রুপি, ১১৯৫ চাইনিজ ইয়ানসহ আরও কিছু বিদেশি মুদ্রা পাওয়া গেছে। ক্যাসিনোকাণ্ডে বহিস্কৃত এই ২ আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে সোমবার রাতে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে তোলপাড়।
এ ইস্যুতে মাহবুবুর রহমান ফেইসবুকে লিখেন, ‘বর্তমান সরকারি দলের সকল নেতৃবৃন্দ ও সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের বাসা-বাড়িতে তল্লাশি এবং তাদের সম্পত্তির খোঁজ খবর নেয়া উচিৎ। যদি এটা করতে পারেন, তাহলে আমাদের দেশের যে পরিমাণ ঋণ রয়েছে, তার দ্বিগুণ অবৈধ টাকা এদের কাছ থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি।’
‘এদের মতো পাতি নেতাদের কাছে যদি এতো টাকা পাওয়া যায়, তাহলে মন্ত্রী, এমপিসহ ক্ষমতার শীর্ষ পর্যায়ে যারা আছে, তাদের বাড়ি ঘর তল্লাশী করলে না জানি কত বড় খনি পাওয়া যাবে?’ - রিপন রেজার প্রশ্ন।
মুকুল রহমান মনে করেন, ‘এই রকম আর বেশ কিছু অভিযান চালানো হলে, এক বছরের বাজেট ঘোষণা করা যাবে।’
প্রশাসনকে অভিনন্দন কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শফিকুল ইসলাম রাজা লিখেন, ‘র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমসহ এই অভিযানের সাথে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেশবাসীর পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন। আপনারা আপনাদের কাজ চালিয়ে যান। এদেশের মানুষ আপনাদের সাথে আছে। তাই কোন ক্ষমতাশীনের রক্তচক্ষুকে ভয় না পেয়ে অভিযান অব্যহত রাখুন।’
‘বাংলাদেশ সরকার যদি আ'লীগ নেতাদের বাড়ি ঘর এভাবে তল্লাশি চালায়, তাহলে বাংলাদেশ কয়েকটা পদ্মা সেতুর টাকা উঠে যাবে, মেট্রো রেলের জন্য সরকারের ঋণ নেওয়ার কোনো প্রয়োজন হবে না এবং অন্যান্য প্রকল্পও নিজেদের টাকায় বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।’ - লিখেছেন রায়হান আহমেদ।
রবিউল হকের দাবি, ‘ঠিক এই ভাবে দেশের সকল জেলায় এক সাথে অভিযান পরিচালনা করার জন্য সরকারের প্রতি জোরালোভাবে দাবি জানাই।’
‘এই সব অভিযানের কারণে এখন অনেকই টাকা বিদেশে পাচার করার চেষ্টা করবে। প্রশাসনকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’ - উদ্বেগ প্রকাশ করে লিখেন সিরাজুল ইসলাম।
আসলাম হোসেনের মন্তব্য, ‘প্রতিটি থানায় এমন কিছু লোক হটাৎ বড় লোক হইছে। এদের আয়ের উৎস সন্ধানে র্যাব, পুলিশ ও আইনশৃংখলা রক্ষাবাহিনী ও সাংবাদিকরা যদি একযোগে অভিযান করে, তাহলে এমন অনেক এনু-রুপন সারাদেশে পাওয়া যাবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।