Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বঙ্গবন্ধু শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী গড়ার উদ্যোগ নেন

চট্টগ্রামে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম

প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা সত্তে¡ও একটি শক্তিশালী সশস্ত্রবাহিনী গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন। উন্নত ও পেশাদার সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে তিনি ১৯৭৪ সালে যে প্রতিরক্ষা নীতি প্রণয়ন করেছিলেন তারই আলোকেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ দেশ ও দেশের বাইরে এক সম্মানজনক অবস্থায় উন্নীত হয়েছে।
গতকাল রোববার নগরীর হালিশহর আর্টিলারি সেন্টার ও স্কুল প্রাঙ্গণে ১, ২, ৩ ফিল্ড ও ৩৮ এয়ার ডিফেন্স রেজিমেন্ট আর্টিলারির জাতীয় পতাকা প্রদান অন্ষ্ঠুানে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে দেয়া প্রধান অতিথির ভাষণে প্রেসিডেন্ট এসব কথা বলেন। তার আগে প্রেসিডেন্ট প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।

মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ এবং সেনাবাহিনী তথা দেশমাতৃকার সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য রেজিমেন্ট অব আর্টিলারির ইউনিট সমূহকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান করা হয়। সেই সূত্র ধরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১, ২, ৩ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি এবং ৩৮ এয়ার ডিফেন্স রেজিমেন্ট আর্টিলারি জাতীয় পতাকা (ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড) প্রদান অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে এবং প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা গ্রহণ করে।
প্রেসিডেন্ট তার ভাষণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এ সেনাবাহিনীকে একটি প্রশিক্ষিত, সুশৃঙ্খল এবং আধুনিক সাজসজ্জায় সজ্জিত বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে সেনাসদস্যদের অংশগ্রহণ এবং যুদ্ধ পরবর্তীতে দেশ গঠন, বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবেলায় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে সেনাবাহিনীর আত্মত্যাগ ও অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করেন।

সৈনিকদের উদ্দেশে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ বলেন, আবহমানকাল থেকেই যুদ্ধের ময়দানে জাতীয় মর্যাদার প্রতীক ‘পতাকা’ বহন করার রীতি প্রচলিত আছে। পতাকা হলো জাতির স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, সম্মান এবং মর্যাদার প্রতীক। তাই পতাকার মান রক্ষা করা সকল সৈনিকের পবিত্র দায়িত্ব। জাতীয় পতাকা বহনের দুর্লভ সুযোগ সকলের জীবনে আসে না। জাতীয় পতাকা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা যে কোনো ইউনিটের জন্য একটি বিরল সম্মান ও গৌরবের বিষয়। আজ সেই স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক জাতীয় পতাকা আপনাদের হাতে তুলে দেওয়া হলো।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রাক্তন সেনাবাহিনী প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতিকুর রহমান, সংসদ সদস্যবৃন্দ, ঊধর্¡তন সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, রেজিমেন্ট অব আর্টিলারির প্রাক্তন কর্ণেল কমান্ড্যান্টগণ, জাতীয় পতাকা প্রাপ্ত ইউনিটসমুহের প্রাক্তন অধিনায়কবৃন্দ ও সুবেদার মেজরগণ এবং আমন্ত্রিত বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চট্টগ্রাম

৩০ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ