মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পর্তুগালের শহরময় অসংখ্য বিড়াল দিনরাত ঘুরে ঘুরে নিঃশব্দে রাজ্যের সব অপকর্ম করে বেড়ায়। অথচ ইঁদুরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ লিসবন শহরবাসী ফাঁদ পেতে কিংবা বিষটোপ দিয়েও কোনো ফল পাচ্ছে না। তাদের নেই রূপকথার হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালাও। এ অবস্থায় পর্তুগালের রাজধানীর প্রায় ছয় কোটি ইঁদুর শায়েস্তা করতে অভিনব এক উদ্যোগ নিয়েছে ‘স্ট্রিট অ্যানিমেল অ্যাসোসিয়েশন’ নামের একটি প্রাণী অধিকার সংগঠন। সংগঠনটি শহরের বেওয়ারিশ ও বাউন্ডুলে সব বিড়ালকে প্রশিক্ষণ দিয়ে ইঁদুরের বিরুদ্ধে কাজে লাগাতে চাইছে। এ জন্য সংগঠনটির সদস্যরা শহরবাসীর মধ্যেও সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্ট্রিট অ্যানিমেল অ্যাসোসিয়েশনের কর্মী আনা ডুয়ার্তেই মূলত এই উদ্যোগের কেন্দ্রে আছেন। বেওয়ারিশ বিড়াল ধরে সেগুলোর পুনর্বাসন করার কাজে সব ধরনের সহায়তা করছেন তার সহকর্মীরা। নিজেদের এই উদ্যোগের বিষয়ে আনা ডুয়ার্তে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘বিড়াল শিকারি প্রাণী। বিড়ালের গন্ধ পেলে ইঁদুর পালিয়ে যায়। আমরা বিড়ালের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করে ইঁদুর দূরে রাখছি। সে লক্ষ্যেই লিসবনে “বিড়াল পেট্রোলিং বাহিনী” গড়ে তোলার উদ্যোগ।’
তবে বেওয়ারিশ বিড়ালগুলো পোষ মানানো সহজ নয়। এককভাবে কোনো বিড়াল আকৃষ্ট হয় না। তাই আনা ডুয়ার্তেরা বিকল্প পথ বেছে নিলেন। তারা বিড়ালের আস্ত দলকে বন্দি করার সিদ্ধান্ত নিলেন। তিনি বলেন, ‘বিড়াল সহজেই বন্ধু খুঁজে নেয়। এই প্রাণী একই সঙ্গে ঘুমায়, খেলা করে। ফলে বিচ্ছিন্নভাবে না করে একসঙ্গে সব বিড়ালের পুনর্বাসন করা অনেক সহজ।’
লিসবন শহরের কেন্দ্রস্থলে একটি স্কুল এমনই একঝাঁক বিড়ালের নতুন কলোনি হয়ে উঠেছে। সারাক্ষণ বিড়াল ঘোরাফেরা করছে। সহকারী প্রিন্সিপাল ও শিক্ষিকা হিসেবে আঙ্গেলা লোপেস মনে করেন, এ ক্ষেত্রে সঠিক শিক্ষা অত্যন্ত জরুরি। তিনি বলেন, ‘আমার মতে, প্রাণীদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ শেখাও জরুরি। আমরা ভালো নাগরিক সম্পর্কে অনেক কথা বলি। প্রাণী সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির এটা ভালো উপায়।’
আনা ডুয়ার্তেও এ বিষয়ে সম্পূর্ণ একমত। তার মতে, ‘ক্যাট পেট্রোলিং’ এই উদ্যোগ প্রাণীদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ শেখাতে ভূমিকা রাখতে পারে।
এ বিষয়ে একমত পৌর র্কর্তৃপক্ষের প্রাণীসংক্রান্ত কর্মকর্তা ‘ক্যাট পেট্রোল’ প্রকল্পের সহ-উদ্যোক্তা মারিসা কারেশ্মা দোসও। তার মতে, এটা ইঁদুর নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রাকৃতিক পদ্ধতি। বিড়ালের ভয়ে ইঁদুর আর দেখা যায় না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।