পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অল ইন্ডিয়া মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলিমীন দলের নেতা ওয়ারিস পাঠান বলেছেন, ভারতে মুসলমানদের সংখ্যা মাত্র ১৫ কোটির মতো, তবে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের ১০০ কোটি মানুষকে শাসন করার শক্তি রাখেন। সম্প্রতি কর্নাটকের গুলবার্গা নামক এলাকায় একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি।
সরকারের বিরুদ্ধে যেসব মুসলিম সরব হয়েছিলেন তাদের টার্গেট করে আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছে একাধিক হিন্দু সংগঠনের নেতা। তারাই প্রথম হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে, একশো কোটির কাছে ১৫ কোটি মুসলিম কিছু করতে পারবে না। তার প্রেক্ষিতে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন এআইএমআইএম নেতা।
আসামের জাতীয় নাগরিকপঞ্জীতে ১৯ লাখ মানুষের নাম বাদ পড়ার পর এখন পশ্চিমবঙ্গেও শুরু হয়েছে এনআরসি নিয়ে আতঙ্ক। ভিড় জমেছে স্টেট আর্কাইভসে। এমতাবস্থায়, কর্নাটকের গুলবার্গা নামক এলাকায় ওই জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ওয়ারিস পাঠান আরও বলেন, আমরা শুধুমাত্র ১৫ কোটি। কিন্তু, আমাদের শক্তি এদেশের ১০০ কোটি সংখ্যাগরিষ্ঠর থেকে অনেক বেশি। ভারতের বিতর্কিত সংশোধিত নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে নারীরা বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন করছেন সেই বিষয়েরও উল্লেখ করেছেন তিনি। বলেছেন, কেউ কেউ আমাদের বলছেন কেন নারীদের সামনে এগিয়ে দিয়েছি আমরা। আমি তাদের বলতে চাই, শুধুমাত্র সিংহীদের বেরিয়ে আসতে দেখেই আপনাদের ঘাম ঝরছে। তাহলে আপনারা চিন্তা করুন আমরা সবাই যদি একসঙ্গে রাস্তায় বেরিয়ে আসি তাহলে কী হবে।
মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন বিধায়ক আরো বলেন, ‘মনে রাখবেন আজাদি কেউ না দিলে ছিনিয়ে নিতে হয়। আমাদের আজাদি চাই। তাই এক জোট হতে হবে।’
সিএএ বিরোধিতা নিয়ে শাহিনবাগ থেকে শুরু করে একাধিক জায়গায় বারবার মুসলিমদের টার্গেট করেছে বিজেপি নেতারা। দিল্লি বিধানসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন তারা। শাহিনবাগের আন্দোলনকারীদের পাকিস্তানি বলে আক্রমণ করা হয়েছে। সূত্র : এএনআই, ইন্ডিয়া টুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।