পেঁয়াজ এখনও সাধারণের নাগালের বাইরে। মাছের দামও চড়া। চিনি, ডাল, তেলসহ ভোগ্যপণ্যের দাম উর্ধ্বমুখী। কেবল স্বস্তি মুরগি আর সবজিতে। শীতের বিদায়বেলায় এসে দাম কমছে শীতকালীন সবজির। গতকাল শুক্রবার নগরীর কাঁচাবাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে বাজারভেদে দামেরও তারতম্য রয়েছে।
প্রতিকেজি মুলা ১৮-২৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫-৩০ টাকা, আলু ১৮-২০ টাকা, দেশি আলু ৩০-৩৫ টাকা, টমেটো ২০-২৫ টাকা, পেঁপে ৩৫-৪০ টাকা, শসা ৪৫-৫০ টাকা, তিতা করলা ৮০-১০০ টাকা, কচুর লতি ৪০-৪৫ টাকা, ক্ষিরা ২৫-৩০ টাকা, লাউ ২৫-৩৫ টাকা, ফুলকপি ২০-২৫ টাকা, শিম জাতভেদে ৩০-৪০ টাকা, গাজর ২৫-৩০ টাকা, বাঁধাকপি ২০-২৫ টাকা, ঢেড়স ৮০-১০০ টাকা, বরবটি ৭০-৮০ টাকা, চালকুমড়া ৮০-৯০ টাকা এবং পেঁয়াজ পাতা প্রতিকেজি ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে পেঁয়াজের দাম এখনও সাধারণের নাগালের বাইরে। দেশি পেঁয়াজ ১০০-১২০ টাকা, মিশরের পেঁয়াজ ৮০ টাকা, নেদারল্যান্ডের পেঁয়াজ ৯০ টাকা এবং মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। রসুন ২০০-২২০ টাকা, আদা ১৫০-১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মুরগির ডিম প্রতিডজন ৯০-৯৫ টাকা, হাঁসের ডিম ১৪০-১৫০ টাকা, দেশি মুরগি প্রতিকেজি ৩৮০-৪০০ টাকা, ফার্মের মুরগি ১১০-১১৫ টাকা, সোনালিকা ২০০-২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গরুর গোশত হাড়ছাড়া ৬৫০-৭০০ টাকা, হাড়সহ ৫৫০-৬০০ টাকা, খাসি ৮০০-৮৫০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিয়ে, পিকনিকসহ নানা সামাজিক অনুষ্ঠান বেড়ে যাওয়ায় খাসি ও গরুর গোশতের দাম বেড়েছে।
এর প্রভাব পড়েছে মাছের বাজারেও। রুপচাঁদা প্রতিকেজি ৮০০-১০০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০-৮০০ টাকা, বড় সাইজের ইলিশ ১০০০-১২০০ টাকা, রুই মাছ ৩০০-৩২০ টাকা, কাতল ২৮০-৩০০ টাকা, পোয়া মাছ ৩০০-৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০০-১৬০ টাকা, কালিবাউশ ২৬০-৩০০ টাকা, লইট্টা ১৪০-১৫০ টাকা, কোরাল ৬০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।