বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজ কিংবা বড় ট্রলার সংস্কারের উদ্দেশে ফরিদপুর সদরের ডিগ্রীচর ইউনিয়নের মদনখালী এলাকায় পদ্মানদীর পাড়ে গড়ে উঠেছে ডক। ডকে অপরিকল্পিত বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে কয়েকশ’ পরিবার ও ওই এলাকা দিয়ে চলাচলকারীরা। যে কোন সময় দুর্ঘটনার শঙ্কায় রয়েছেন তারা। ডক মালিকরা বলছেন বিদ্যুৎ বিভাগ টাকা নিলেও খুটি না দেয়ায় এমন বেহাল অবস্থার মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ নেয়া হয়েছে ডক পর্যন্ত। আর বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা দোষ চাপাচ্ছেন একে অপরের ওপর।
পদ্মা নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ফরিদপুর নদী বন্দর থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে আদমপুরে ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজ সংস্কারের জন্যে গড়ে উঠেছে ১০টি ডক। এসব ডকে সংযোগ দেয়া বিদ্যুতের মিটার ডক থেকে কয়েকশ’ মিটার দূরে জনবহুল এলাকায় এলোমেলোভাবে রাখা হয়েছে। কোথাও কলা বাগানের মধ্যে বাঁশের খুটিতে কোথাওবা বসত ঘরের সাথে ক্ষুদ্রাকার ও নিচু টিনের ছাপড়া ঘর তুলে খোলামেলাভাবে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে পদ্মাতীরের বালুর মধ্যে খোলামেলাভাবেই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রাখা হয়েছে বিদ্যুৎ।
স্থানীয়দের দাবি, অপরিকল্পিতভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার প্রতিবাদ করেও তারা টিকতে পারেননি প্রভাবশালী ডক মালিক ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সামনে। এমন অপরিকল্পিত বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়ার ঘটনায় তারা ক্ষুব্দ পাশাপাশি শঙ্কিতও।
স্থানীয় প্রভাত চন্দ্রসহ স্থানীয়দের দাবি বাড়ি-ঘরের পাশেই এলামেলোভাবে থাকা তারের পাশে খেলাধুলায় ব্যস্ত থাকে আশপাশের পরিবারের শিশুরা। তাই যে কোন সময় দুর্ঘটনার শঙ্কায় শঙ্কিত তারা। একইসাথে ৪২০ ভোল্টের এসব তার বাড়ির পাশ ও বালুচর জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় বড়রাও রয়েছেন দুর্ঘটনার শঙ্কায়। এমনকি বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্তের শঙ্কায়ও রয়েছেন তারা। তাই প্রয়োজনীয় খুঁটির মাধ্যমে নিরাপদভাবে সংযোগ ও এসব তার ডক পর্যন্ত নেয়ার দাবি তাদের।
ডক মালিকদেরও দাবি, খুঁটি সরবরাহ করে নিরাপদভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার। কিন্তু বারবার বলা সত্ত্বেও বিদ্যুৎ বিভাগ খুঁটি দিচ্ছে না বলে দাবি তাদের। ডক মালিক আব্দুল কাদের জানান, বাড়ি-ঘর সংলগ্ন এলাকায় বিদ্যুতের মেইন সুইচবোর্ড রেখে সাইড লাইন নিয়ে কাজ করছেন তারা, যা রাতের বেলা খুলে রাখা হচ্ছে। এমন অপরিকল্পিত বিদ্যুৎ সংযোগের কারণে কোন দুর্ঘটনার দায় নিতে চান না তারা।
অপরদিকে, বিদ্যুতের এমন অপরিকল্পিত সংযোগ নিয়ে একে অপরকে দুষছেন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। ওজোপাডিকোর লাইনম্যান বিল্লাল হোসেন জানান, উপ-সহকারী প্রকৌশলীর নির্দেশে এ লাইন দেয়া হয়েছে। আর ওই অংশের ফিডারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-সহকারী প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন জানান, আমার মিটার সংযোগ দেয়ার কোন ক্ষমতা নেই। নির্বাহী প্রকৌশলীর নির্দেশে সংযোগ দিয়েছি।
বিষয়টি জ্ঞাত স্বীকার করে ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ প্রধান জানান, প্রকল্পের মাধ্যমে খুঁটি দিয়ে নিরাপদভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে আরো দুই থেকে তিন মাস সময় লাগবে। এরই মধ্যে প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।