রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার নবগ্রাম এলাকার কদমপট্টি গ্রামে অসহায় একটি দিনমজুর পরিবারকে পূর্বশত্রুতার জেরে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে।
আর উক্ত হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এবং গ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মিশনবাড়ী নামক স্থানে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে গ্রামবাসী।
গ্রামবাসী ও ভূক্তভোগী পরিবার জানায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর উত্তর চলবল কদমপট্টি গ্রামের প্রশান্ত হালদার, টমেজ হালদার ও দানিয়েল হালদারের বিরুদ্ধে মাদারীপুর কোর্টে একটি হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করে একই এলাকার সজল মন্ডল। মামলাটি তদন্তের প্রেক্ষিতে যখন রায়ের পর্যায়ে এসেছে তখন পুনরায় হয়রানি করতে চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি আরেকটি মামলা করে পূর্বের মামলার বাদী সজল মন্ডলের পিতা সমির মন্ডল।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, তার অন্তঃস্বত্তা পুত্রবধূ মিতালী মন্ডলকে প্রহার করার কারণে তার সিজারে বাচ্চা প্রসাব করা হয়েছে এবং অনেক রক্তক্ষরণ করা হয়েছে এবং সাথের লোকজনদের মারধর করা হয়েছে। ঘটনার স্থান দেয়া হয়েছে কদমপট্টি হেমন্ত হালদারের মাছের ঘেরের পূর্ব পাশে এবং সময় দেয়া হয়েছে এ বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৪ টায়। আর আসামি করা হয়েছে প্রতিপক্ষ টমাস হালদার, প্রশান্ত হালদার, দানিয়েল হালদার, উত্তম হালদার, জীবন মধু , পপি হালদার ও পূর্ণিমা হালদারকে।
কিন্তু ঐ দিন এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি বলে আখ্যাদিয়ে গ্রামবাসী মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। গ্রামবাসী জুলিয়েট বাড়ই, কসুল্লা ঘটক, দেবী তালুকদার, সুবর্না মধু, জলাধর মধু, সিমন মিস্ত্রিসহ ১৫/২০ জন গ্রামবাসী জানায়, মামলায় যেখানে ঘটনাস্থল দেয়া হয়েছে আমরা সেখানের বাসিন্দা এবং প্রতিবেশী। সেখানে এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এটি ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।