গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বনশ্রী শাখায় ৮ম শ্রেণিতে যেসব ছাত্রী ওড়না পরে গিয়েছিলেন, ক্লাস শুরুর আগে তাদের ওড়না খুলতে বাধ্য করেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষিকা রুবিনা সুলতানা। মঙ্গলবার বোরকা পরে যাওয়া তিন ছাত্রীকে বোরকা পরে না আসার জন্য কড়া সতর্ক বার্তাও দেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে দৈনিক ইনকিলাবে সংবাদ প্রকাশের পর অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। কিন্তু শিক্ষিকা রুবিনা সুলতানার অবস্থানের পরিবর্তন হয় নি। তিনি গতকাল বুধবারও ৮ম শ্রেণির ছাত্রীদের ওড়না খুলে ক্লাসে প্রবেশ করতে বাধ্য করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে তিব্র প্রতিবাদ, ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছে নেটিজেনরা। পাশাপাশি এই শিক্ষিকার বহিঃস্কার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছে তারা।
এই ইস্যুতে ফাহিম আল ইসলাম ফেইসবুকে লিখেন, ‘এইসব সাম্প্রদায়িক শিক্ষিকাদের থেকে কোমল মতি শিক্ষার্থীরা কি শিখবে? যারা নিজেরাই মানুষকে, মানুষের ধর্মকে শ্রদ্ধা করতে জানে না?’
‘ইজ্জত বজায় রেখে চলা সব ধর্মের জন্যই ভালো। এতে মানুষের জীবন সুখের হয়। এতে বাধা দেওয়া অপরাধ। এইসব শিক্ষকদের জন্য কি কোন বিচার নাই?’ - খাইরুল ইসলাম লিটনের প্রশ্ন।
ইসলাম বিরোধী এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আল মাসুদ সম্রাট লিখেন, ‘অনেকেই হয়তো বলবে, তাহলে ছাত্রছাত্রী এই স্কুলে ভর্তি না হলেই হয়, দেশে কি স্কুলের অভাব? তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, এভাবে একটি স্কুল থেকে হিজাব, ওড়না বিতাড়িত করা হলে, কিছুদিন পর অন্য আরেকটি স্কুলেও তাই করা হবে। এভাবেই সমাজ থেকে ইসলামকে দূর করে জাতিকে অশ্লীলতা, নগ্নতা ও অপসংস্কৃতির দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। তাই এখনই সোচ্চার হোন, এইসব ইসলাম বিদ্বেষী পদক্ষেপগুলোর বিরুদ্ধে।’
আবদুল গাফ্ফার লিখেন, ‘আসলে অভিভাবক হলো বোকা, ঢাকা শহরে কি আর স্কুল নেই? সমস্ত ছেলে মেয়েদের অন্য স্কুলে পাঠন। দেখবেন সব রুবিনা পালাবে।’
‘এটা কোন আদালতে আইন পাশ করলো যে, মেয়েদের শরীরের ঊড়না খুলে ক্লাসে ঢুকাতে হবে ? এটা পুরোটাই বেআইনি মেয়েদের পেটে জন্ম হয়ে মেয়েদের অপমান করা, এটা কখনও মেনে নেওয়ার মতো নয়। ’ - রাহা রিয়ার মন্তব্য।
এমডি দেলওয়ার হোসেনের দাবি, ‘এই মহিলাকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হোক। ওর নিজের মেয়ে যদি হতো, তাহলে কি সে এইসব করতে পারতো? এদের থেকে জাতি কি শিক্ষা নিবে? এখন জাতীয়ভাবে ওদেরকে শিক্ষা দিতে হবে।’
‘ভালো জ্ঞানী ঈমানদার অভিভাবক অভিভাবকেরা নিশ্চয়ই আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজকে বয়কট করবেন। এই ধরনের প্রতিষ্ঠান বাচ্চারা পড়াশোনা করলে তার শিক্ষিত তো হবে ঠিক আছে, কিন্তু মানুষ হবে না। ‘ - মনে করেন রবিউল ইসলাম।
ক্ষোভ প্রকাশ করে ইসমাঈল মজুমদার লিখেন, ‘সাধারণ জনগণের স্কুলের সামনে গিয়ে প্রতিবাদ করা উচিৎ এবং শিক্ষিকা নামের ডাইনির বহিঃস্কার দাবি করা উচিৎ।’
শিক্ষিকার শাস্তির দাবি জানিয়ে আমিরুল ইসলাম লিখেন, ‘আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে ওড়না হিজাব ও বোরকা নিষিদ্ধের তীব্র নিন্দা জানাই। এহেন ধর্ম বিদ্বেষী অপকর্মের হোতাদেরকে আইনের আওতাভুক্ত করে কঠোর শাস্তি দাবী করছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।