বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
‘ওসিকে স্যার বলার দরকার নাই’ থানায় নিজের রুমের সামনে লিখে আলোচনায় এসেছেন রাজবাড়ী গোয়ালন্দঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান।
তার এই লেখাটি এরইমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমেও তাকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। এরপর থেকে প্রশংসায় ভাসছেন ওসি আশিক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গোয়ালন্দ ঘাট থানায় ওসি আশিকুর রহমানের রুমের দরজার সামনে একটি ফেস্টুন শোভা পাচ্ছে। সেখানে লেখা রয়েছে- ‘ইহা একজন গণকর্মচারীর অফিস। যে কোনো প্রয়োজনে এই অফিসে ঢুকতে অনুমতির প্রয়োজন নাই। সরাসরি রুমে ঢুকুন। ওসিকে স্যার বলার দরকার নাই’।
সামাজিকমাধ্যমে আশিকের ভিন্নধর্মী এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন নেটিজেনরা।
কাজী ইমরাত হাসান আরেফিন লিখেছেন, ‘প্রতিটা পুলিশ ভাই যদি এমন হতো, তাইলে আর পুলিশের প্রতি মানুষের কোনো অভিযোগ থাকতো না।’
বেলাল চৌধুরী নামের একজন লিখেছেন, ‘শাবাশ আশিক, অনেক শুভকামনা’।
বেলায়েত হোসেন মানিক লিখেছেন, ‘আশিকুর ভাইরা জনগণের প্রকৃত বন্ধু। শ্রদ্ধা ,ভালোবাসা।’
মিজানুর রহমান রুদ্র লিখেছেন, ‘পুলিশের এমন জনবান্ধব হওয়া উচিত। ধন্যবাদ পুলিশ ভাইটিকে।’
আশিকুর রহমান পারভেজ নামের আরেকজন লিখেছেন, ‘এমন পুলিশ দেশের প্রত্যেক থানায় থাকলে আজ বাংলাদেশের চিত্র অন্য কিছু হতে পারত।’
জানা গেছে, ওসি আশিকুর রহমান গত ১১ জানুয়ারি যোগদান করেন গোয়ালন্দ ঘাট থানায়। তারপর থেকেই নিতে থাকেন ভিন্নধর্মী সেবামূলক উদ্যোগ।
গত ২ ফেব্রুয়ারি দৌলতদিয়া পতিতাপল্লীর বয়স্ক এক যৌনকর্মী মারা গেলে তার জানাজা পড়িয়ে দাফনের ব্যবস্থা করেন তিনি। এই উদ্যোগের কারণে ইতিমধ্যেই তিনি সামাজিকমাধ্যম ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন।
পাশাপাশি তিনি ওই যৌনপল্লীর অসহায় নারীদের নানা অভিযোগ ও আইনি সহায়তা প্রদানে সেখানে গড়ে তুলেছেন ‘জনগণের দরবার’ নামে একটি আইনি সহায়তা কেন্দ্র।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।