মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অধিকৃত কাশ্মীর প্রসঙ্গে বরাবরই ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছেন তিনি। জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপের পর প্রতিবাদপত্রও লিখেছিলেন। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সেই সদস্য ডেবি আব্রাহামসের অভিযোগ, সোমবার ভারতে পা রাখামাত্রই তাকে দেশে ফিরে যেতে বলা হয়েছে। বৈধ ভিসা থাকা সত্ত্বেও তা বাতিল করেছেন বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা। শুধু তা-ই নয়, তার সঙ্গে অপরাধীর মতো ব্যবহার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। যদিও এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গোটা ঘটনায় ক্ষুদ্ধ ডেবি এর বিস্তাররিত বিবরণ দিয়ে একটি লিখিত বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, রোববার সকালে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন তিনি। ব্যক্তিগত কাজে এক সঙ্গীকে নিয়ে দু’দিনের জন্য ভারতে এসেছিলেন। বিমানবন্দরে ঢোকার পর নিয়মমতো ইমিগ্রেশন ডেস্কে নিজের ভিসা এবং অন্যান্য কাগজপত্রও জমা দেন। সে সময় তাকে জানানো হয়, তার ই-ভিসা বাতিল হয়ে গিয়েছে। ডেবির কথায়, ‘অন্য সকলের মতোই ই-ভিসা এবং সমস্ত কাগজ নিয়ে ইমিগ্রেশন ডেস্কে গিয়েছিলাম। আমার ছবি তোলার পর এক জন কর্মকর্তা (কম্পিউটার) স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়তে থাকেন। এর পর জানান, আমার ই-ভিসা খারিজ হয়ে গিয়েছে। এর কিছুক্ষণ পর আমার পাসপোর্ট নিয়ে মিনিট দশেকের জন্য গায়েব হয়ে যান তিনি। এর পর যখন ফিরে এলেন, বেশ রূঢ় ভাবে চিৎকার করে বলেন, আসুন আমার সঙ্গে। তাতে আপত্তি করেছিলাম।’
ডেবির দাবি, গত অক্টোবরে ভিসা করিয়েছিলেন তিনি। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত তার মেয়াদ রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তা বাতিল করে দেয়া হয়েছে। এমনকি, তার সঙ্গে অপরাধীদের মতো ব্যবহার করেছেন বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা। ডেবির কথায়, ‘আমাকে একটা ঘেরা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়, যাতে লেখা ছিল, ‘ডিপোর্ট সেল’। এর পর আমাকে সেখানে বসতে বলেন ওই কর্মকর্তা। আমি তার কথা শুনিনি। কী জানি! ওরা কী করতেন আমার সঙ্গে, কোথায় নিয়ে যেতেন! আমি চেয়েছিলাম, আশপাশের মানুষজন ব্যাপারটা দেখুক।’
ভারতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে দুই দিন থাকতে এসেছিলেন ডেবি। তবে বিমানবন্দরের ওই ঘটনার পর তা যে সম্ভব নয়, বেশ বুঝতে পারছিলেন। এর পর সেখান থেকেই ওই আত্মীয়কে ফোন করেন। এমনকি, ব্রিটিশ হাই কমিশনেও ফোন করেছিলেন তিনি। ডেবি জানিয়েছেন, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে ‘ভিসা অন অ্যারাইভাল’-এর আবেদনও করেছিলেন। তবে তা-ও মেলেনি।
গোটা ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই ক্ষুব্ধ ডেবি। বিবৃ়তিতে তিনি জানিয়েছেন, কেন তার ভিসা খারিজ বলে জানানো হয়েছিল, বিমানবন্দরের কেউই যেন তার আসল কারণ জানতেন না। তিনি লিখেছেন, ‘বিমানবন্দরে দায়িত্বে রয়েছেন বলে মনে হচ্ছিল, এমন এক কর্তাব্যক্তিও এই ঘটনার কারণ জানেন না। শুধু জানান, তিনি সত্যিই দুঃখিত, যে আমার সঙ্গে এমনটা হয়েছে।’ এর পর ডেবির হতাশ মন্তব্য, ‘এখন আমি শুধু ফিরে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি...যদি না, ভারত সরকারের মনের পরিবর্তন হয়! আমার সঙ্গে যে অপরাধীর মতো ব্যবহার করা হয়েছে, তা-ও ভুলে যেতে রাজি আছি। আশা করি, আমার বন্ধুবান্ধব-পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেবেন ওরা।’
গোটা বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও এ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া মেলেনি। ঠিক কী কারণে ডেবি আব্রাহামসের ভিসা খারিজ বলে জানানো হল, তা নিয়ে এখনও অন্ধকারে ডেবির ওই সফরের সঙ্গী হরপ্রীত উপল। তবে অনেকের মতে, এর পিছনে মোদি সরকারের কাশ্মীর নীতির বিরোধিতা করাটাও একটা কারণ হতে পারে। ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপের পরই তার প্রতিবাদে ব্রিটেনে ভারতীয় দূতাবাসে একটি চিঠি লিখেছিলেন ডেবি। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে লেবার পার্টির এই সদস্য ‘অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ ফর কাশ্মীর’-এর প্রধান হিসাবেও কাজ করছেন দীর্ঘদিন। কাশ্মীর নিয়ে মোদি সরকারের নীতির বিরোধিতায় বরাবরই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ করেছেন ডেবি। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।