পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিধানসভা নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয়ের পর গতকাল শপথ গ্রহণ করল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বে আপ সরকার। দিল্লির লালকেল্লা সংলগ্ন রামলীলা ময়দানে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন কেজরিওয়াল। শপথ গ্রহণের সময় সেখানে লক্ষাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এ উপলক্ষে গতকাল পুরো দিল্লি জুড়েই ছিল উৎসবের আমেজ।
বিজেপিকে উড়িয়ে দিয়ে তৃতীয়বারের জন্য দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে জয় পেয়ে ইতিহাস তৈরি করেছে আম আদমি পার্টি। নির্বাচনে ৭০ আসনের মধ্যে ৬২ আসন পেয়ে দুরন্ত জয় পেয়েছে তারা। বিজেপি পেয়েছে মাত্র আটটি। ২০১৫ সালেও রামলীলা ময়দানেই শপথ নিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। গতকাল অনুষ্ঠানের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তারপর একে একে শপথ নেন মন্ত্রিসভার ছয় সদস্য। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন দিল্লির বিজেপি সাংসদ বিধায়করা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ৫০ জন বিশেষ ব্যক্তি। তারা কেউ শিক্ষক, কেউ চিকিৎসক, পরীক্ষায় শীর্ষ স্থান অধিকারী, অটো চালক, আবার কেউ শৌচকর্মী। তাদের ‘দিল্লির নির্মাতা› হিসেবে দেখানো হয়। ভোটের ফলাফলের দিন ভাইরাল হয়েছিল ‘বেবি কেজরিওয়াল’-এর ছবি। এদিন শপথে তাকে আমন্ত্রণ জানায় আপ। তবে, শুধু একজন নয়, মাঠে উপস্থিত ছিল অসংখ্য বেবি কেজরিওয়াল। জনতাকে এই জয় উৎসর্গ করে অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, ‘নির্বাচন শেষ। কোনও ব্যাপার নয়, আপনি কাদের ভোট দিয়েছেন। আপনি আমার পরিবারের সদস্য। কোনও কিছুই আমাকে কাজ করা থেকে বিরত করতে পারবে না।’
দুপুরের কিছু আগেই রামলীলা ময়দানে মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে হাজির হন কেজরিওয়াল। স্থানীয় সময় দুপুর বারোটার পরে শুরু হল শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। সেখানে কেজরিওয়াল ও তারপর একে একে ছয় মন্ত্রী শপথ নিলেন। তারা হলেন, মণীশ সিসোদিয়া, সত্যেন্দ্র জৈন, গোপাল রাই, কৈলাস গেহলত, ইমরান হোসেন ও রাজেন্দ্র পাল গৌতম। যদিও উল্লেখযোগ্যভাবে মন্ত্রিসভায় স্থান পেলেন না অতিশি মারলেনা। তার শিক্ষা পরিকল্পনার কথা সকলেই জানেন। তবু তার স্থান হল না কেজরিওয়ালের মন্ত্রিসভায়। সূত্রানুসারে, কেজরিওয়াল তার নতুন পর্যায় শুরু করতে চলেছেন পুরনো দল নিয়েই। অর্থাৎ নতুন সরকারে কোনও নতুন মন্ত্রীকে যোগ করা হচ্ছে না মন্ত্রিসভায়। যদিও জল্পনা রয়েছে, অতিশি ও রাঘব চাড্ডা হয়তো পরে মন্ত্রিসভায় সুযোগ পেতে পারেন।
দিল্লির বিখ্যাত রামলীলা ময়দানেই ৫১ বছরের কেজরিওয়ালের রাজনৈতিক যাত্রার সূচনা হয়েছিল। এখানেই আন্না হাজারের নেতৃত্বে দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। শনিবারই ময়দান সংলগ্ন অঞ্চলে কেজরিওয়ালের ছবি সহ ‘ধন্যবাদ দিল্লি’ লেখা বড় ব্যানার টাঙানো হয়। অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, আপের জয় এক নতুন ধরনের রাজনীতির দিকে ইশারা করছে।
যে ছ’জনকে মন্ত্রী হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে তাদের অন্যতম মণীশ সিসোদিয়া। সাংবাদিকতা থেকে রাজনীতিতে আসা মণীশ কেজরিওয়াল ও আরও কয়েক জনের সঙ্গে এক অবাণিজ্যিক জনস্বার্থ গবেষণা সংস্থা স্থাপন করেছিলেন। সত্যেন্দ্র জৈন স্থাপত্যবিদ্যার স্নাতক। ২০১৩ ও ২০১৫ সালেও কেজরিওয়ালের মন্ত্রিসভায় ছিলেন তিনি। সমাজবিদ্যায় স্নাতকোত্তর গোপাল রাই ২০১৫ সালে প্রথমবার নির্বাচনে জেতেন এবং দিল্লি মন্ত্রিসভায় যোগ দেন। রাজেন্দ্র পাল গৌতম একজন আইনের স্নাতক। ২০১৫ সালে তিনি বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হন। কৈলাস গেহলত আইনে স্নাতকোত্তর। ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি জয়ী হন। ইমরান হোসেন জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া থেকে স্নাতক। তিনিও ২০১৫ সালেই প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হন। সূত্র : আইএএনএস, এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।