মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর শর্তে শনিবার থেকে নেপালের সপ্তোরী জেলার একটি ছোট শহরে শুরু হয়েছে তাবলীগ জামাতের একটি ইজতেমা। নেপাল আর ভারতের নাগরিকদের এই ইজতেমায় আসার অনুমতি থাকলেও তাবলীগ জামাতের প্রধান মৌলানা মুহম্মদ সাদ আল কান্দলভি সেখানে হাজির হবেন, এটা জেনে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকেও অনেকে সেখানে চলে গিয়েছিলেন কিছু মানুষ। নেপাল সরকার তাই ইজতেমা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। শেষে ইজতেমা শুরুর আগে নেপাল সরকারের দেওয়া শর্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ আর পাকিস্তান থেকে সেখানে যাওয়া ব্যক্তিদের দেশে ফেরানো হয়েছে।
ভারত থেকে স্থল সীমান্ত দিয়ে ইজতেমায় অংশগ্রহণকারীদের নেপালে যাওয়াও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। অবশেষে ইজতেমার আয়োজক এবং নেপালের মুসলিম কমিশন অনুমতিপত্রের শর্ত মেনে চলার অঙ্গীকার করেছে।
আয়োজকরা বলছেন, কাউকে নিমন্ত্রণ করা হয়নি, তবে তাবলীগ জামাতের প্রধান মুহম্মদ সাদ আল কান্দলভি ইজতেমায় আসছেন এবং এটাই তার প্রথম নেপাল সফর, এই খবর পেয়েই চারদিক থেকে লাখ দুয়েক মানুষ চলে এসেছেন, যাদের মধ্যে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের কিছু নাগরিক ছিলেন।
ইজতেমার প্রধান আয়োজক মুহম্মদ গোফ্ফুর বিবিসি বাংলাকে জানান, সরকার আমাদের এই শর্তেই অনুমতি দিয়েছিল যে, এখানে নেপাল আর ভারতের মানুষই শুধু আসবেন। কিন্তু মৌলানা মুহম্মদ সাদ আল কান্দলভি আসছেন জেনে বহু মানুষ জড়ো হয়ে যান। সরকার মনে করছিল যে, এত মানুষের ভীড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় কিনা। কারণ, তারাও এই প্রথমবার এমন বড় ইজতেমা দেখছে।
তিনি আরও জানান যে, বাংলাদেশ থেকে ৩০ জন আর পাকিস্তান থেকে ২৫ জনসহ মোট ৫৫ জনকে ফেরত চলে যেতে বলা হয়েছে। তার ভিত্তিতেই ইজতেমার অনুমতি পাওয়া গেছে।
নেপাল স্বরাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র কেদার নাথ শর্মা বিবিসির নেপালি বিভাগকে জানিয়েছেন, জাতীয় মুসলিম কমিশন সরকারের স্বরাষ্ট দপ্তরকে অনুরোধ করেছিল যে, ইজতেমার সময়ে নিরাপত্তার ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে। এবং ওই ইজতেমায় শুধুই নেপাল আর ভারত থেকে মানুষ আসবেন, এটাও বলা হয়েছিল। কিন্তু পরে আমরা জানতে পারি যে, অন্যান্য দেশ থেকে মানুষ চলে এসেছেন। তাই দুদিন আগে ওই ইজতেমা বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মুসলিম কমিশনের চেয়ারম্যান নিশ্চয়তা দিয়েছেন যে, এটি আন্তর্জাতিক জমায়েত নয়, শুধুই নেপাল আর ভারতের মানুষরা থাকবেন, তারপরেই ইজতেমার অনুমতি দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।