পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গুলিস্তানে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার থেকে নামতে গিয়ে প্রতিটি যানবাহনকে ভয়াবহ যানজটে পড়তে হয়। কারণ ফ্লাইওভারের র্যাম্পর মাথায় রাস্তা দখল করে রেখেছে হকাররা। যানবাহন চলতে না পারায় রাতদিন এ অবস্থা লেগেই থাকে। এখান থেকে কয়েকগজের মধ্যেই সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্স। রাস্তায় ডিউটিরত পুলিশও আছে পর্যন্ত। কিন্তু মানুষের ভোগান্তি তাদের চোখে পড়ে না।
শুক্রবার দুপুরে হোটেলে খাবার খাচ্ছিলেন কদমতলীর পাটেরবাগের বাসিন্দা শুক্কুর আলী। ছুটির দিনে হোটেলে খাওয়ার কারণ হিসাবে তিনি বলেন, বিকালের আগে গ্যাস আসে না। সে জন্য দুপুরে বাইরে খেতে হয়। শুধু পাটেরবাগ নয় যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর, কদমতলী, ডেমরা, সুত্রাপুর, কোতয়ালী থানাসহ রাজধানীর অনেক এলাকায় দিনের প্রথমাংসে গ্যাস থাকে না। ভুক্তভোগিদের প্রশ্ন- কার কাছে বলবো এ সমস্যার কথা।
রামপুরা সড়কে রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করেছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। গত বছরের মাঝামাঝিতে হাতেগোনা কয়েকদিন বলবৎ ছিল এই নিষেধাজ্ঞা। এরপর নিয়ম উল্টে ‘অনিয়মই’ নিয়মে পরিণত হয়ে পুরো সড়কে রিকশার রাজত্ব মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিয়েছে। অথচ কেউ খবর রাখেনি।
নানা সমস্যায় জর্জরিত রাজধানী ঢাকা জঞ্জালের শহরে পরিণত হয়েছে। সমস্যার পাহাড় জমে নাগরিক দুর্ভোগ অনেকটা দুর্যোগে রুপ নিয়েছে। অপরিকল্পিত নগরায়ণ, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন-রাস্তা, পরিবেশের বিপর্যয়ে ঢাকাবাসীর জীবন শঙ্কিত। তার উপর চলতে পথে যানজট, অনিয়ম, দখল, গ্যাস স্বল্পতায় টিমটিম চুলা, পানির জন্য হাহাকার, ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধময় রাস্তাঘাট, নগরজুড়ে রাস্তার খোড়াখুঁড়ি, উন্নয়নের ধকল, পানিবদ্ধতা, যানবাহন সংকট, রিকশার রাজত্ব, ভাড়া নিয়ে হট্টগোলসহ ঘর থেকে বেরুলেই আরো শতেক জঞ্জাল-যন্ত্রণার মুখোমুখি হতে হয়। সবমিলে ঢাকার জীবন এখন বিপন্ন হওয়ার দশা।
বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আবারও শীর্ষ অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা ৪৬ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ঢাকার স্কোর ছিল ৪১২, যার অর্থ হচ্ছে এ শহরের বাতাসের মান ঝুঁকিপূর্ণ। মাত্রাতিরিক্ত মানুষের বসবাসের নগরী ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বাতাসে দূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। বর্ষাকালে কিছুটা উন্নতি হতে দেখা গেলেও গ্রীষ্ম ও শীতকালে শহরটিতে বায়ু দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়।
২০১৮ সালের ৩ জুলাই বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত ‘টুওয়ার্ড গ্রেট ঢাকা: এ নিউ আরবান ডেভেলপমেন্ট প্যারাডাইম ইস্টওয়ার্ড’ শীর্ষক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, নানামুখী সফলতা থাকলেও ঢাকা শহর খুব ভালো অবস্থায় নেই। এর মূল কারণ তিনটি। এগুলো হলো বন্যা তথা পানিবদ্ধতা, যানজট ও অব্যবস্থাপনা। ঢাকার প্রবৃদ্ধিতে এ তিনটি বিষয় বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। জলবায়ু পরিবর্তন, ভূ-অবস্থান ও নদীর নৈকট্যের কারণে ঢাকায় বন্যা ও পানিবদ্ধতার সমস্যা বাড়ছে। গত তিন দশকে তিনটি বড় বন্যা ছাড়াও সামান্য বৃষ্টিতে পানিবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। ১৯৮৮ সালের বন্যার পর শহরের পশ্চিমাংশে বাঁধ নির্মাণ করা হলেও পূর্বাংশ এখনও অরক্ষিত। এছাড়া অপরিকল্পিত নগরায়ণ এ শহরে বন্যার ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা যে পরিকল্পনায় গড়ে তোলা হয়েছিল বর্তমানে তা অচল। এগুলোর আয়ুষ্কালও পেরিয়ে গেছে, পাশাপাশি ঢাকার দ্রæত জনসংখ্যা বৃদ্ধির চাহিদা পূরণেও এগুলো ব্যর্থ। ঢাকা শহর নদীনালা ও খালবিলবেষ্টিত হলেও ৪৩টি খালের ২৫টির অস্তিত্ব রয়েছে বর্তমানে। তবে দখলের কারণে এগুলোর পানি নিষ্কাশন ক্ষমতা কমে গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকার আরেকটি গুরুতর সমস্যা হলো যানজট। এতে মানুষের কর্মঘণ্টা ও উৎপাদনশীলতা নষ্ট হচ্ছে। পূর্ব-পশ্চিমে সমান্তরাল প্রধান সড়ক না থাকায় উত্তর-দক্ষিণে বেশিরভাগ যানবাহন চলাচল করে। পুরো সড়ক নেটওয়ার্কে এটি সবচেয়ে বড় সমস্যা। এছাড়া ঢাকার চারপাশে বৃত্তাকার কোনো সড়ক নেই। এতে শহরে প্রবেশ করতে ও বের হতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে বসে থাকতে হয়। এ অবস্থায় কার্যকর ট্রাাফিক ব্যবস্থাপনা ও সিগন্যাল ব্যবস্থা গড়ে তোলা কঠিন হয়ে পড়েছে।
১০ বছর আগেও ঢাকা শহরে যানবাহনের গড় গতি ছিল ২১ কিলোমিটার। বর্তমানে তা সাত কিলোমিটারে নেমে এসেছে। যানজট প্রতিদিন এ শহরে ৩২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট করছে। এর অর্থনৈতিক ক্ষতি হাজার কোটি ডলারের বেশি। নগরবাসী ঢাকায় যানবাহনে গড়ে দুই দশমিক ৪০ ঘণ্টা সময় ব্যয় করছে, যার মধ্যে এক দশমিক ৩০ ঘণ্টা অপচয় হচ্ছে যানজটে। বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে কয়েক বছরের মধ্যে ঢাকায় যানবাহনের গড় গতিবেগ চার কিলোমিটারে নেমে আসবে, যদিও মানুষ ঘণ্টায় পাঁচ কিলোমিটার বেগে হাঁটতে পারে।
প্রতিবেদন মতে, ঢাকা শহরের জন্য বর্তমানে তৃতীয় চ্যালেঞ্জটি হলো অব্যবস্থাপনা তথা অপরিকল্পিত উন্নয়ন। এ শহরের প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ বস্তিতে বাস করে। এছাড়া অপরিকল্পিত উন্নয়নের ফলে বায়ু, পানি ও মাটিদূষণ চরম আকার ধারণ করেছে। ১২ লাখের বেশি মানুষ ৮৭টি দূষিত স্থানে বাস করে।
এ তিন সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন সময় পরিকল্পনা নেওয়া হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। আবার এসব সমস্যার পেছনে রয়েছে বিভিন্ন সংস্থার অসমন্বিত পদক্ষেপ। স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষ, সিটি করপোরেশন, ঢাকা ওয়াসা, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ, সড়ক ও জনপথ অধিদফতর, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), গণপূর্ত অধিদফতর ও জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ যে যার মতো প্রকল্প নিয়েছে। এতে সমন্বয়হীনতা তৈরি হয়েছে।
ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট এর তালিকায় ২০১৪ সালে বিশ্বে বসবাসের সবচেয়ে অযোগ্য শহর হিসাবে বিবেচিত হয়েছিল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। এর আগের বছরও এই মন্দ তালিকায় ঢাকার অবস্থান ছিল দ্বিতীয়। দিন যতোই যাচ্ছে অযোগ্য শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ক্রমে পোক্ত হচ্ছে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পুরান ঢাকার ১০টি থানা এলাকাজুড়ে বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে এখনও হাজার হাজার কল-কারখানা ও গুদাম। অতি সরু অলিগলি পেরিয়ে ৭০ ভাগ বাড়িঘর পর্যন্ত পৌঁছে না এ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি। বাসাবাড়ির বারান্দা বা ঠিক গেটের সামনেই বিপজ্জনকভাবে ঝুলে আছে বৈদ্যুতিক তার। জনবহুল রাস্তার মাঝেই খোলা আছে জোড়াতালির বিদ্যুত সংযোগ, ঢাকনাবিহীন ম্যানহোল। এমন হাজারো বিপদ যেন পদে পদে। হাজারীবাগের ট্যানারি সরলেও এখনও দূষণমুক্ত হয়নি বুড়ীগঙ্গা নদী। প্রায় দু’পাশ ঘিরে থাকা বুড়িগঙ্গা নদী এখনও বিষাক্ত কেমিক্যালের আধার। এর সাথে অপরিকল্পিত ও ঝুঁকিপূর্ণ দুই সহ¯্রাধিক ভবন রাজধানীবাসীকে তটস্ত রেখেছে। ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হলেও ওই সব বাড়ি ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভয়াবহ যানজট এখন নগরবাসীর নিত্যসঙ্গী। ভাঙ্গাচোরা রাস্তাঘাট, মেরামতের নামে নগরজুড়ে রাস্তার খোঁড়াখুড়ি, উন্নয়নের নামে বিভিন্ন নির্মাণ কাজের ধকল, যাত্রী তুলনায় যানবাহনের তীব্র সংকট, ভাড়া নিয়ে নিত্য হট্টগোলসহ নানা কারণেই যাত্রী-পথচারীরা প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। দুঃসহ যানজটে রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকা অবরুদ্ধ হয়ে থাকছে। স্থবির হয়ে পড়ছে জীবনযাত্রা। অন্যদিকে প্রভাবশালীদের দখলদারিত্বে গোটা রাজধানীজুড়েই তৈরী হয়েছে হাট-বাজার। পুরান ঢাকার নর্থ-সাউথ রোডের অর্ধেকটা অনেক আগেই দখল করে নিয়েছে সংলগ্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। সিদ্দিকবাজার থেকে ইংলিশ রোডের মোড় পর্যন্ত সড়কে রড-সিমেন্ট, আসবাবপত্রের দোকানের মালামাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা। সেখানে মাত্র ৩/৪ হাত সড়ক ফাঁকা রেখে মালামাল লোড-আনলোডের জন্য পাশেই পার্কিং করা থাকে সারি সারি মিনিট্রাক, ঠেলা গাড়ি। রাস্তা দখল করে রাখার জন্য কোনো যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলতে পারে না। কমলাপুর স্টেডিয়াম থেকে মুগদা-বৌদ্ধমন্দির গেট পর্যন্ত সবচেয়ে ব্যস্ততম বিশ্বরোডে দুই সারিতে গাড়ি রাখা হয়। বিভিন্ন কাউন্টার সার্ভিস বাস, কোচ, ট্রাক, বড় বড় পণ্যবাহী গাড়িগুলো সারিবদ্ধভাবে পার্কিং করে রাখায় ওই চার কিলোমিটার এলাকা দিনভর ভয়াবহ যানজট লেগে থাকে। গুলিস্তান থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নিচের পুরো অংশই বেদদখল হয়ে গেছে। বসেছে বাজারসহ বিভিন্ন দোকানপাট। সাথে গাড়ি পার্কিংতো আছেই। সায়েদাবাদ টার্মিনালের বাইরের পুরো অংশই যেন বিকল্প বাস স্ট্যান্ড। শ্রমিকরা জানান, রাস্তার উপর বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রী তোলার জন্য ফাঁড়ি পুলিশকে দিতে হয় গাড়িপ্রতি ৩শ টাকা করে। এ কারণে পুলিশ এই সুযোগ দেয়। মালিক সমিতির এক নেতা বলেন, আগে টাকার পরিমান কম ছিল। এসআই ফারুক ফাঁড়ির দায়িত্ব নেয়ার পর টাকার অঙ্ক বেড়েছে। নিউ মার্কেট ও নীলক্ষেত এলাকার ফুটপাত আর ফুটওভারব্রীজ জুড়ে রয়েছে হকারদের আধিপত্য। দোকান বসিয়ে পুরো ব্রীজকেই বাজার বানিয়ে ফেলা হয়েছে। গাউসিয়া মার্কেটের সামনে রাস্তা সারাক্ষণই ময়লা আবর্জনার স্তুপ পড়ে থাকে। বঙ্গবাজারের সামনে থেকে শুরু করে গুলিস্তান-কাপ্তানবাজার পর্যন্ত রাস্তাটি ডাস্টবিন, বাজার, নাকি টার্মিনাল তা বোঝা মুশকিল।
রাজধানীর সড়ক, ফুটপাথ, অলিগলিসহ পথচারীদের চলাচলের রাস্তাগুলো নানা জঞ্জাল স্তুপ আর নির্মান সামগ্রীতে আটকা পড়ে আছে। কোন কোন রাস্তার বেশিরভাগ অংশই দখল করে মাসের পর মাস পণ্য সামগ্রীর স্তুপ বানিয়ে রাখা হয়েছে। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে হচ্ছে নগরবাসীকে। নগরবাসী আরেক দুর্ভোগের নাম শব্দদূষণ। আবাসিক এলাকার মধ্যেই মিকচার মেশিনে অনর্গল ইট,পাথর,সুরকি ভাঙ্গানো এবং সিমেন্ট, বালু সংমিশ্রনের একটানা ঘর ঘর শব্দে কানে কথা শোনা যায় না। রাতে নির্মাণ কাজের তৎপরতায় ঘুম হারাম হয়ে যায়।
এ ছাড়া নগরীর প্রধান প্রধান রাস্তার উপরে যেন সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে রীতিমত ময়লা-আবর্জনার হাটবাজার বসানো হয়েছে। একেকটি স্থানে ৭/৮টি করে কন্টেইনার টার্মিনাল বসিয়ে অলিগরি, বাসাবাড়ির ময়লা আবর্জনা তুলে এনে সেসব কন্টেইনার ডাস্টবিনে রাখা হচ্ছে। দফায় দফায় বিদ্যুতের লোডশেডিং, তীব্র গ্যাস ও পানি সংকটের সঙ্গে মশার উপদ্রব নগর জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। মশার উপদ্রব বাড়লেও মশা নিয়ন্ত্রণে তেমন কোনো ব্যবস্থা চোখে পড়ছে না। মশা দমন, মশক প্রজননস্থল- যেমন ডোবা, নালা, বিল, ঝিল, নর্দমা ইত্যাদিতে নিয়মিত কীটনাশক ছিটানোর কথা থাকলেও সেসব বিষয় সিটি কর্পোরেশনের মেয়ররা শুধু বক্তৃতা, সেমিনার, প্রতিশ্রæতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছেন।
এ প্রসঙ্গে নগর পরিকল্পনাবিদ প্রফেসর মো. নজরুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর ঢাকা শহরে ৪/৫ লাখ করে নতুন মানুষ যুক্ত হচ্ছে। এই বাড়তি মানুষের কারণে ভৌত অবকাঠামোগত, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, শিক্ষা, আবাসন, পরিবহনসহ সব সেক্টরেই সমস্যা দিন দিন বাড়ছে। এক সাথে এতো সমস্যা মোকাবেলা করা অনেক কঠিন। তারপরও সরকার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে সরকার সফলতার দিকে এগুচ্ছে। প্রফেসর নজরুল ইসলাম বলেন, ঢাকার সমস্যা সমাধানের জন্য রাজউক, সিটি কর্পোরেশন, তিতাস, ওয়াসা, ডেসা, সড়ক ও জনপথসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বিত প্রচেষ্টা দরকার। পরিবহন সেক্টরের উন্নয়নের জন্য কৌশলগত মহাপরিকল্পনা আছে। সেগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা দরকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।