Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দৌলতপুরে উপ-সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

দৌলতপর (কুষ্টিয়া) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম পুলক প্রায় এক যুগ ধরে দৌলতপুর উপজেলা প্রকৌশলী অফিসে কর্মরত আছেন। জন্মস্থান নিজ উপজেলায় কর্মরত থাকার কারণে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। সব সময় সরকার দলীয় স্থানীয় জন-প্রতিনিধির আস্থাভাজন হয়ে সরকারি উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে অঢেল সম্পদের মালিকও হয়েছেন তিনি।
দৌলতপুর উপজেলা প্রকৌশলীর তত্বাবধানে দাপ্তরিক কাজ করার নিয়ম ও সরকারি নির্দেশনা থাকলেও আশরাফুল ইসলাম পুলক তার তোয়াক্কা না করে নিজের মত করে কাজ করে থাকেন। নতুন রাস্তা, কালভার্ট, স্কুল, কলেজ, মাদরাসা’র ভবন ও ঈদগাহ নির্মাণে সরকারি বা অবকাঠামো উন্নয়ন সংক্রান্ত কাজে তিনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের কাছ উৎকোচ নিয়ে থাকেন। কোন ঠিকাদার উৎকোচ দিতে অস্বীকার বা রাজি না হলে তাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করা হয় বলে ভূক্তভোগী ঠিকাদারদের অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া তিনি বেনামে দরপত্র সংগ্রহ করে নিজে ঠিকাদারী কাজ করে থাকেন এমন অভিযোগও রয়েছে। সম্প্রতি ফিলিপনগর ইউনিয়নের ইসলামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন দ্বি-তল ভবন নির্মাণে বেনামে দরপত্র দাখিল করে গোপনে সে কাজটি করতে গেলে গুমর ফাঁস হয়ে যায়। পরে কাজটি বন্ধ করা হয়।
দৌলতপুর উপজেলার আল্লারদর্গা চাবনা এলাকার ফারুক হোসেন নামে এক ঠিকাদার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে উপ-সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম পুলকের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বাক্ষর জালের লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি কাজের এস্টিমেট ও সরকারি অবকাঠানো উন্নয়ন কাজের তদারকির জন্য পুলককে মোটা অঙ্কের উৎকোচ দিয়ে কাজ করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন। কোন সময় তাকে অতিরিক্ত উৎকোচ দিতে অস্বীকার করলে তার ফাইল আটকিয়ে দিনের পর দিন হয়রানি করা হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগের পরিপত্রে নিজ উপজেলায় পদায়ন বা কর্মরত থাকার বিধান না থকলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আস্থাভাজন হওয়ার সুবাদে আশরাফুল ইসলাম পুলক অবৈধ পন্থায় দৌলতপুর উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরে উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে দীর্ঘ প্রায় এক যুগ ধরে কর্মরত আছেন। তার বাড়ি দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের চরদিয়াড় গ্রামে।
তৎকালীন বিএনপি দলীয় প্রতিমিন্ত্রী আহসানুল হক পচা মোল্লার মাধ্যমে এলজিইডিতে উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে চাকরি নেন আশরফুল ইসলাম পুলক। বিএনপি সরকারের সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আস্থাভাজন হয়ে বিএনপি সেজে একই ভাবে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেসময় দৌলতপুর থেকে তাকে অন্যত্র বদলি করা হয়। পরে আবারও বর্তমান সরকারের পক্ষের লোক দাবি করে দৌলতপুরে প্রায় এক যুগ ধরে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করে বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আশারাফুল ইসলাম পুলক বলেছেন, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে এসব অভিযোগ করানো হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা মেনে কাজ করতে গিয়ে কতিপয় ঠিকাদারের অসুবিধা হচ্ছে বলে তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দুর্নীতি

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
৩১ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ