পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
পাকিস্তানের জন্য সামরিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সুবিধা চালু করতে কংগ্রেসের কাছে তহবিল চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর। মঙ্গলবার প্রকাশিত এক নথিতে এ কথা বলা হয়েছে। ২০২১ অর্থ বছরের জন্য বাজেট অনুরোধে পররাষ্ট্র দফতর তার আন্তর্জাতিক সামরিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ (আইএমইটি) কর্মসূচির জন্য ১০৪.৯ মিলিয়ন ডলার চেয়েছে। এতে কংগ্রেসকে বলা হয় যে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা লক্ষ্য হাসিল ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য সামরিক জোট ও আন্তর্জাতিক মিত্রতা শক্তিশালী করতে আইএমইটি একটি কার্যকর হাতিয়ার।
১০৪.৯ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে পররাষ্ট্র দফতর দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া অঞ্চলের সামরিক অফিসারদের প্রশিক্ষণের জন্য ১২.৭ মিলিয়ন ডলার চেয়েছে। এর মধ্যে পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩.৫ মিলিয়ন ডলার।
বাজেট প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয় যে, আঞ্চলিক অংশীদারদের প্রতিরক্ষা বাহিনীতে পেশাদারিত্ব বৃদ্ধির উপর মনযোগ প্রদান, পেশাদার সামরিক প্রশিক্ষণের জোর দেয়া, আইন, মানবাধিকার ও সেনাবাহিনীর উপর বেসামরিক নিয়ন্ত্রণের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে আইএমইটি কর্মসূচি দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ায় ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলকে সহায়তা করবে।
এই সুবিধার মধ্যে ইংরেজি ভাষা প্রশিক্ষণ দেয়া হবে যাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করার জন্য অংশীদার পরিষেবার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। প্রস্তাবে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করা হলেও পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশ ও নেপালকে অগ্রাধিকারম‚লক গ্রহীতা হিসেবে শ্রেণীভুক্ত করা হয়।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ট্রাম্প প্রশাসন পাকিস্তানের জন্য সামরিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সুবিধা পুনরায় চালু করা অনুমোদন করে। বলা হয় যে দেশটি দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ও অভিন্ন অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রে অগ্রগতি করেছে।
আইএমইটি কর্মসূচি পরিচালনা করে পররাষ্ট্র দফতর। এর ফলে পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ তাদের সেনা অফিসারদের মার্কিন প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য পাঠাতে পারবে।
একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, প্রশাসন পাকিস্তানের জন্য আইএমইটি কর্মসূচি চালুর অনুমোদন দিয়েছে। তবে এটা কংগ্রেসে পাস হতে হবে।
২০১১ সালে আল-কায়দা নেতা ওসামা বিল লাদেনকে ধরতে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানে অভিযান চালানোর পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে। ইসলামাবাদকে না জানিয়েই আবোত্তাবাদে অভিযান চালিয়ে লাদেনকে হত্যা করে মার্কিন স্পেশাল ফোর্স। সূত্র : ডন
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।