২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
একুয়ার্ড ইমুওনো ডেফিসিয়েন্সি সিনড্রোম বা এইডস এইচআইভি নামক এক ধরনের ভাইরাসের সংক্রমনেই হয়ে থাকে।
কীভাবে এ রোগ একজনের শরীর থেকে আরেক জনের শরীরে ছড়ায়?
১. HIV দ্বারা সংক্রমিত কোনো রোগীর সঙ্গে যৌন মিলন করলে,
* সংক্রমিত রোগীর সাথে যোনিপথে যৌন মিলন করলে
* Anal Sex পায়ুপথে যৌন মিলন করলে
* Oral Sex মুখে যৌন মিলন করলে
২. HIVদ্বারা সংক্রমিত কোনো রোগীর সিরিঞ্জ ব্যাবহার করলে (Morphine, Pethidine-এ আসক্ত রোগীরা সাধারণত এটি করে থাকেন)।
একই সেভ করার ব্লেড ব্যবহার করলে। দাঁতের বা অন্যান্য অপারেশনের সময় একই যন্ত্রপাতি ব্যবহার করলে।
৩. HIV দ্বারা সংক্রমিত কোনো রোগীর রক্ত বা রক্তজাত কোনো অংশ গ্রহণ করলে। রোগীর কোন অংগ প্রত্যঙ্গ গ্রহন করলে।
৪. HIV দ্বারা সংক্রমিত কোনো মায়ের গর্ভের সন্তান নরমাল ডেলিভারিতে জন্মগ্রহণ করলে (HIV দ্বারা সংক্রমিত কোনো মায়ের সন্তান সিজার করে জন্মগ্রহণ করলে এইডস হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে); ফলে HIV সংক্রমিত কোনো মায়ের সন্তান নরমাল ডেলিভারি না করিয়ে সিজার করাতে হবে।
৫. HIV দ্বারা সংক্রমিত কোনো মায়ের বুকের দুধ পান করলে (HIV সংক্রমিত কোনো মায়ের সন্তান সিজার করে জন্মগ্রহণ করার পর মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো যাবে না)।
৬. HIV দ্বারা সংক্রমিত কোনো রোগীর সঙ্গে গভীর চুম্বনে আবদ্ধ হলে, যোনিপথে মুখ লাগালে বা চুষলে।
এইডস রোগ নির্ণয়ঃ
এইচআইভি সংক্রমিত কোনো রোগীর রোগ যদি কিছু Major (বড়) এবং কিছু Minor (ছোট) শর্ত পূরণ করে, তখন তাকে আমরা AIDS-এর রোগী বলব (নতুবা একে AIDS রোগী না বলে HIV পজেটিভ রোগী বলব)।
Major Criteria বা বড় শর্ত-
১. ১০ শতাংশের বেশি ওজন কমা,
২. এক মাসের বেশি সময় ধরে ডায়রিয়া,
৩. এক মাসের বেশি সময় ধরে জ্বর।
Minor Criteria বা ছোট শতর্-
১. এক মাসের বেশি সময় ধরে কাশি,
২. সারা শরীরে চুলকানি,
৩. মুখের ভেতর Candida নামক ছত্রাকের আক্রমণ,
৪. সারা শরীরে জ্বর ঠোসা,
৫. বারবার বা সারা শরীরে Herpes Zoster নামক ভাইরাসের সংক্রমণ,
৬. সারা শরীরে গুটি গুটি হয়ে ফুলে যাওয়া,
৭. Cryptococcal meningitis নামক মস্তিষ্কের প্রদাহ; Kaposis Sarcoma নামক ক্যানসার।
যে কোনো ২টি বড় শর্ত ও যে কোনো ১টি ছোট শর্ত পূরণ হলেই আমরা তাকে AIDS বলতে পারি।
এইডসের পরীক্ষাঃ
রোগীর শরীরে HIV ভাইরাস প্রবেশ করা মাত্রই রোগী সংক্রামক হয়ে ওঠে, অর্থাৎ অন্যের শরীরে HIV ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারে।
কিন্তু রোগী নিজে AID'S রোগী হতে ২ থেকে ১০ বছর সময় লাগে। AIDS হলো HIV ইনফেকশনের মারাত্মক বা চূড়ান্ত পর্যায়। HIV ভাইরাস শরীরে ঢুকে Antibody তৈরি করতে ৬ মাস (গড়ে ৩ মাস) সময় লাগে, এ সময় টেস্ট করে সাধারণত কোনো লাভ হয় না । এ সময়কে Window Period বলে। ফলে কেউ যদি মনে করেন যে, তিনি অনিরাপদ যৌন মিলন করেছেন, তাহলে তাকে সাধারণত তিন মাস অপেক্ষা করে রক্ত পরীক্ষা করতে হবে । (যদিও কিছু ক্ষেত্রে দুই সপ্তাহ পরই ফলাফল পজেটিভ আসতে পারে; আবার কিছু ক্ষেত্রে ৬ মাসের বেশি সময় লাগতে পারে)। আমাদের দেশে সাধারণত দুই ধরনের পরীক্ষা করা হয়-
১. ELISA- Screening টেস্ট-
২. Western Blot-Confirmatoryটেস্ট-
ELISA টেস্ট-এ নেগেটিভ ফলাফল এলে আর কোনো টেস্ট- করার প্রয়োজন নেই।
ELISA টেস্ট-এ পজেটিভ ফলাফল এলে Western Blot টেস্ট- অবশ্যই করতে হবে।
ডা. এস এম বখতিয়ার কামাল
সহকারী অধ্যাপক,
চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগ,
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
কামাল স্কিন সেন্টার
গ্রিন রোড, ঢাকা
প্রয়োজনে ০১৭১১৪৪০৫৫৮।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।