নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
টি-টোয়েন্টিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ হোয়াইটওয়াশ। অথচ সাদা বলের ক্রিকেটের দৈর্ঘ্য বাড়তেই অন্যরকম নিউজিল্যান্ড। টি-টোয়েন্টির হতাশা দ‚রদিগন্তে মিলিয়ে দিয়ে ভারতকে ওয়ানডে সিরিজে করলো হোয়াইটওয়াশ। এতে ৩১ বছর পর ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবেছে ভারত। ১৯৮৯ সালে শেষবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল তারা।
গতকাল মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের শেষ ওয়ানডেতে ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে কিউইরা। লোকেশ রাহুলের সেঞ্চুরিতে সফরকারীদের ৭ উইকেটে করা ২৯৬ রান ১৭ বল আগেই টপকে গেছে কেন উইলিয়ামসনরা। তাতে তিন ম্যাচের সবক’টি জিতে টি-টোয়েন্টির বদলা সেরেছে ওয়ানডে দিয়ে।
রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ানের অনুপস্থিতিতে আবারও ব্যর্থ ভারতের ওপেনিং জুটি। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ভারত ৮ রানে হারায় মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে (১)। অধিনায়ক বিরাট কোহলি আবারও ব্যর্থ। ৯ রানে থামেন তিনি হামিশ বেনেটের বলে কাইল জেমিসনের চমৎকার ক্যাচে। সফরকারীরা শুরুর ধাক্কা অবশ্য কাটিয়ে উঠেছিল পৃথ্বী শ ও শ্রেয়াস আইয়ারের ব্যাটে। কিন্তু কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের দুর্দান্ত থ্রোতে ৪০ রানে রান আউট পৃথ্বী।
পরের সময়টা ভারতের। আইয়ার ও রাহুল মিলে এগিয়ে নেন দলের রান। চতুর্থ উইকেটে গড়েন ১০০ রানের জুটি। জেমি নিশামের শিকার হয়ে আইয়ার ৬২ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরলেও রাহুল থামেননি। মনীশ পান্ডেকে নিয়ে দাঁড়িয়ে যান। পঞ্চম উইকেট জুটিতে যোগ করেন তারা ১০৭ রান। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে রাহুল তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। বেনেটের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরার আগে ১১৩ বলে ৯ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় খেলেন ১১২ রানের ইনিংস। তার বিদায়ের পরপরই বেনেটের আঘাতে ৪২ রানে মনীশও আউট। রান তাই শেষ দিকে খুব বেশি বাড়েনি। শার্দ‚ল ঠাকুর করেন ৭। রবীন্দ্র জাদেজা ও নবদীপ সাইনি দুজনই অপরাজিত থাকেন ৮ রানে। ভারতকে ৩০০’র নিচে আটকে রাখার পথে সবচেয়ে বড় অবদান বেনেটের। ১০ ওভারে ৬৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট পেয়েছেন ডানহাতি পেসার। একটি করে উইকেট নিয়েছেন জেমিসন ও নিশাম।
২৯৭ রানের লক্ষ্যে উড়ন্ত স‚চনা পায় কিউইরা। মার্টিন গাপটিলের ঝড়ে উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ১০৬ রান। ৪৬ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় গাপটিল খেলে যান ৬৬ রানের ঝড়ো ইনিংস। আরেক ওপেনার হেনরি নিকোলস খেলেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৮০ রান। শুরুর ভিত কাজে লাগিয়ে উইলিয়ামসন বড় ইনিংস খেলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। চোট কাটিয়ে মঙ্গানুইয়ের ম্যাচ দিয়েই ফিরেছিলেন কিউই অধিনায়ক। যদিও খুব বেশিদ‚র যেতে পারেননি, থামেন ২২ রানে।
আগের দুই ম্যাচের নায়ক রস টেইলর কিন্তু ব্যর্থ। রবীন্দ্র জাদেজার বলে ফিরতে হয় ১২ রানে। নিশাম ফেরেন ১৯ রানে। ২২০ রানে পঞ্চম উইকেট হারানো কিউইদের জিততে কোনও অসুবিধাই হয়নি টস ল্যাথামের সময়োপযোগী ব্যাটিং ও ডি গ্র্যান্ডহোমের তাÐবে। জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন তারা। ডি গ্র্যান্ডহোম ২৮ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৫৮ রানে। আর ল্যাথাম ৩৪ বলে ৩ বাউন্ডারিতে খেলেন হার না মানা ৩২ রানের ইনিংস। যুজবেন্দ্র চাহাল ১০ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। আর একটি করে উইকেট নিয়েছেন শার্দ‚ল ও জাদেজা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ভারত : ৫০ ওভারে ২৯৬/৭ (রাহুল ১১২, আইয়ার ৬২, মনিশ ৪২, পৃথ্বী ৪০; বেনেট ৪/৬৪)।
নিউজিল্যান্ড : ৪৭.১ ওভারে ৩০০/৫ (হেনরি নিকোলস ৮০, গাপটিল ৬৬, ডি গ্র্যান্ডহোম ৫৮*, ল্যাথাম ৩২*; চাহাল ৩/৪৭)।
ফল : নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ : তিন ম্যাচের ওয়ানডে নিউজিল্যান্ড ৩-০ তে জয়ী।
ম্যাচসেরা : হেনরি নিকোলস।
সিরিজসেরা : রস টেইলর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।