পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফরিদপুর-বরিশাল-কুয়াকাটা জাতীয় মহাসড়কের বরিশাল-ফরিদপুর অংশের ১২৪ কিলোমিটার ৪ লেনে উন্নীতকরন প্রকল্পে আবারো সংশোধনী আসছে। তবে এ মহাসড়ক ৪ লেনে নির্মাণে ভূমি অধিগ্রহনের কাজ জুন মাসের মধ্যে শেষ করতে চাচ্ছে সড়ক অধিদফতর। ইতোমধ্যে মহাসড়ক ৪ লেনে সম্প্রসারণে ফরিদপুর থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত ৩০৫ একর জমি অধিগ্রহনে ১ হাজার ৮শ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ঐ কর্মসূচির আওতায় ফরিদপুরে ৭১ একর, মাদারীপুরে ৪৬ একর, বরিশালে ৯১ একর ও পটুয়াখালীতে ৯৬ একর ভূমি হুকুম দখল কাজ আগামী জুনের মধ্যে শেষ করতে হবে।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সহায়তায় ‘টেকনিক্যাল এসিস্ট্যান্স ফর সাব-রিজিওনাল রোড ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট প্রিপারেটরি ফেসিলিটিজ প্রজেক্ট’এর আওতায় কুয়াকাটা থেকে ফরিদপুর পর্যন্ত ২৩২ কিলোমিটার মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীত করা হবে। এ লক্ষে ইতোমধ্যে সম্ভাব্যতা সমিক্ষাসহ বিস্তারিত নকশা প্রনয়ন সম্পন্ন হলেও প্রকল্পে বরিশাল মহাগরী থেকে ৪ লেন মহাসড়ক নির্মাণ পরিহার করে বাইপাস নির্মাণের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি প্রস্তাবিত ৪ লেন মহাসড়কের মূল ‘ক্যারেজওয়ে’টি ৩.৬ মিটারের চেয়ে আরো প্রশস্ত করে নির্মাণে পুনরায় সমিক্ষা ও নকশায় পরিবর্তণ আনতে হচ্ছে। আগামী ৫০ বছর দেশের ৮ নম্বর এ জাতীয় মহাসড়কে যানবাহন চলাচলের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই সড়ক অধিদফতর নতুন এ সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে যাচ্ছে। এর ফলে ২০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত ৪ লেন প্রকল্প ব্যয় কত দাঁড়াবে তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি সংশ্লিষ্টমহল। সবকিছুই নির্ভর করছে সংশোধিত নকশার ওপর। মহাসড়কের ফরিদপুর-বরিশাল অংশে শিকারপুর ও দোয়ারিকায় বিদ্যমান দুটি বড় মাপের সেতু প্রশস্ত করা হবে, না তদস্থলে ৪ লেনের নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে সেসব সিদ্ধান্তের ওপর প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণ নির্ভর করছে।
অপরদিকে গত দুই দশকে বরিশাল-ফরিদপুর মহাসড়কে যানবাহনের চাপ দ্বিগুনেরও বেশি বৃদ্ধির পাশাপাশি আগামী বছরের মধ্যে পায়রা বন্দরের বানিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হলে এ মহাসড়কে ভাড়ি যানবাহনের সংখ্যা আরো বেড়ে যাবে। ফলে বরিশাল মহানগরীর মধ্য দিয়ে এসব যানবাহন চলাচলে জানমালের ঝুঁকি আরো বাড়বে। এ বিবেচনায় নগরীর রূপাতলী থেকে নথুল্লাবাদ হয়ে গড়িয়ার পাড় পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার রাস্তায় তীব্র যানযট পরিহারে বরিশাল বাইপাস নির্মাণে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক।
এসব বিবেচনায় বরিশাল মহানগরীর গড়িয়ারপাড় থেকে দপদপিয়া সেতুর সংযোগ সড়ক পর্যন্ত বিদ্যমান মহাসড়কের পাশে নতুন জমি অধিগ্রহনের পরিবর্তে পূর্বের হুকুম দখল করা ১২০ ফুট প্রশস্ত জমিতেই মহাসড়ক উন্নয়ন করা হবে। তবে নগরীর যানজট নিরসন ও নিরাপদ চলাচল নিশ্চিতে নথুল্লাবাদ, নবগ্রাম রোড, চৌমুহনী ও আমতলা মোড়ে ৩টি ফ্লাইওভার নির্মাণে যে দাবি ছিল, সড়ক অধিদফতর আপতত: তা করছে না।
পাাশাপাশি যানজটমূক্ত বরিশাল মহানগরীর জন্য বাইপাস নির্মাণে ইতোমধ্যে প্রাথমিক জরিপ সম্পন্ন হয়েছে। খুব শিগগিরই বরিশাল বাইপাসের চুড়ান্ত নকশা প্রনয়ন করে মূল ডিপিপি’র অন্তর্ভূক্ত করা হবে। ২০০২ সালে বরিশাল-ফরিদপুর মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। অথচ ১৯৯৮ সালে বরিশাল বাইপাস নির্মাণে একটি ডিপিপি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হলেও তা আর বাস্তবায়িত হয়নি।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সহায়তায় ফরিদপুর থেকে বরিশাল হয়ে কুয়াকাটা পর্যন্ত ২৩২ কিলোমিটার মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীত করার সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও বিস্তারিত নকশা প্রনয়ন সম্পন্ন হয়েছে। তবে প্রকল্প বাস্তবায়নে আর্থিক সহায়তা লাভসহ নানা কারণ বিবেচনায় প্রাথমিক পর্যায়ে বরিশাল থেকে ফরিদপুর পর্যন্ত ১২৬ কিলোমিটার মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীত করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি’র আর্থিক সহায়তার চেষ্টা চলছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে বরিশাল-কুয়াকাটা ১০৮ কিলোমিটার মহাসড়ক একই প্রকল্পের আওতায় আসবে। ঐ মহাসড়কের কলাপাড়া থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক বন্দরের নিজস্ব অর্থে আরসিসি প্রযুক্তিতে ৪ লেন-এ উন্নীত করনের কাজ প্রায় শেষ করেছে বাংলাদেশ নৌ বাহিনী।
তবে বরিশাল মহানগরীর সাড়ে ১১ কিলোমিটার অংশে নতুন ভূমি অধিগ্রহন ও ৪ লেন নির্মিত না হলেও ১৯৬০ সালে অধিগ্রহন করা ১২০ ফুট প্রশস্ত ভূমি পুনরুদ্ধার করে সীমানা চিহ্নিতকরণ সম্পন্ন হয়েছে ইতোমধ্যে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এ জরিপ সম্পন্ন হয় বলে দাবি করে ৬০ বছর আগে অধিগ্রহন করা সেসব ভূমি পুনরুদ্ধারে খুব শিগগিরই কার্যক্রম শুরুর কথাও জানিয়েছে বরিশাল সড়ক বিভাগ। পাশাপাশি একই প্রকল্পের আওতায় মহানগরীর এ মহাসড়ক উন্নয়নের কথাও জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।