বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাকার সাভারে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ৩টি বেসরকারী হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ সিলগালা করে বন্ধ করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসাথে প্রতিষ্ঠানগুলোকে অর্থদন্ড করে সতর্ক করা হয়েছে। অভিযানের সময় মালিকরা পলাতক থাকায় তাদের নাগাল পায়নি ভ্রাম্যমান আদালত।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চলা অভিযানে পৌর এলাকা গেন্ডায় অবস্থিত ল্যাবস্টার হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারকে ৫হাজার টাকা, কর্ণপাড়া এলাকার যমুনা ডিজিটাল হাসপাতলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া নামা গেন্ডা এলাকায় অবস্থিত সদ্য চালু হওয়া নিউ লাইফ কেয়ার হাসপাতাল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন যাবত কোন প্রকার অনুমোদন ছাড়াই নিয়মনীতি উপেক্ষা করে বিভিন্ন আবাসিক ভবনে হাসপাতাল খুলে রোগীদের সাথে প্রতারনা করে আসছিলো। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানগুলোতে পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি নেই। তাই ওই সকল পতিষ্ঠানের অপারেশন থিয়েটার, এক্সরেসহ বিভিন্ন বিভাগ সিলগালা করে অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, অভিযান চলাকালীন সাভারের বনগ্রাম ইউনিয়নে অবস্থিত সাসকো এনার্জি বিডি নামে একটি টায়ার পুড়িয়ে মবিল তৈরীর কারখানায় অভিযান চালিয়ে পরিবেশ দূষনসহ অনুমোদন ছাড়া ঝুকিপূর্ণভাবে কারখানা পরিচালনার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক আবু তালেবকে (৩০) এক মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
অভিযানে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ সায়েমুল হুদা, সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার নুসরাত জাহান সাথী ও স্থানীয় থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ সায়েমুল হুদা বলেন, ল্যাবস্টার হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে মোহনা হক নামে এক চিকিৎসক সম্প্রতি জেলা সিভিল সার্জনের দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছিলেন হাসপাতালের মালিক মিজানুর রহমান, তার স্ত্রী সালমা রহমান ও ম্যানেজার মাসুদ রানা ডাক্তার না হয়েও নিজেরাই বিভিন্ন অপারেশন, ডিএনসি, এমআর করতেন। অভিযোগটি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ার পর এ অভিযান চালনা হয়। তবে দুই মাস আগে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে হাসপাতালটি উদ্বোধনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছিল তাই অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলাম।
যমুনা ডিজিটাল হাসপাতালের মালিক মোঃ আরিফ বিল্লাহ চিকিৎসক না হয়েও ভিজিটিং কার্ডে প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর ছবি ব্যবহার করে চিকিৎসক পদবী ব্যবহার করেছেন। তার স্ত্রী চিকিৎসক না হয়েও রোগীদের ডিএনসি করাসহ বিভিন্ন গাইনী চিকিৎসা প্রদান করছে। তারা হাসপাতাল অনুমোদনের কোন কাগজপত্র দেখাতে না পারায় হাসপাতালের ল্যাব ও অপারেশন থিয়েটার সিলগালা করা হয়েছে।
এছাড়া অনুমোদন না থাকায় নিউ লাইফ কেয়ার হাসপাতাল সিলগালা করেছে ভ্র্যাম্যমান আদালত।
এদিকে হাসপাতাল মালিকদের সংগঠন প্রাইভেট হাসপাতাল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব সাভারের সাধারন সম্পাদক গোবিন্দ আচার্য্য বলেন, যে তিন হাসপাতালের অভিযান চলেছে সেগুলো তাদের সংগঠনের সদস্য নয়। তিনি বলেন, এধরনের নিয়মবহির্ভত ভাবে যে সকল হাসপাতাল পরিচালিত হচ্ছে সংগঠনের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।