পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কৃষাণ রেড্ডি বলেছেন, যদি ভারতের নাগরিকত্ব দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয় তাহলে বাংলাদেশের অর্ধেক মানুষ ভারতে চলে আসবেন। এর দায় কে নেবেন? তেলাঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও নাকি রাহুল গান্ধী?
গত রোববার হায়দরাবাদে সান্ট রবিদাস জয়ন্তির অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেছেন। এ সময় তিনি তেলাঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাওকে চ্যালেঞ্জ দেন। বলেন, প্রমাণ করুন কিভাবে ভারতে বসবাসকারী ১৩০ কোটি মানুষের বিরুদ্ধে যায় নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ)। ওই অনুষ্ঠানে জি কৃষাণ রেড্ডি আরও বলেন, যদি তাদের (বাংলাদেশি) ভারতের নাগরিকত্ব প্রস্তাব করা হয় তাহলে বাংলাদেশের অর্ধেকই ফাঁকা হয়ে যাবে। তাদেরকে নাগরিকত্ব দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হলে অর্ধেক বাংলাদেশি ভারতে চলে আসবে।
মানবিক কারণে নিপীড়িত সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য নাগরিকত্ব আইন প্রণয়ন করা হয়েছে দাবি করে রেড্ডি অভিযোগ করেন, চন্দ্রশেখর রাও-এর তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টিআরএস) ও তাদের মিত্র দল অল ইন্ডিয়া মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) ভোট ব্যাংকের রাজনীতি করছে। তিনি বলেন, আমি টিআরএসকে অনুরোধ করছি। আমি মুখ্যমন্ত্রীকেও অনুরোধ করছি। এমনকি আমি মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি যে প্রয়োজনে তিনি প্রমাণ করে দেখান, দেশের ১৩০ কোটি নাগরিকের মধ্যে একজন ব্যক্তিও সিএএ-এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শরণার্থী ও অনুপ্রবেশকারীরা এক নয় জানিয়ে জে কিষাণ রেড্ডি বলেন, কংগ্রেসের মতো দলগুলো বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের নাগরিকত্ব দিতে চায়। তিনি দাবি করেন, কোনও কোনও শরণার্থী ন্যূনতম কোনও সুযোগ-সুবিধা ছাড়াই গত ৪০ বছর ধরে ভারতে বসবাস করছে।
ভারতের মন্ত্রীর এমন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। তাদের মতে, নিজ দেশে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে বাংলাদেশ নিয়ে উল্টা-পাল্টা মন্তব্য করছে ভারতের দায়ত্বশীল পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতারা। ভারতের নেতাদের অদায়িত্বশীল, কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের বাস্তব কোন ভিত্তি নেই। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এসব বিষয়ে সুষ্পষ্ট প্রতিবাদ না করাটা সরকারের দুর্বলতা।
সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার ইনকিলাবকে বলেন, বন্ধু রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে এমন বক্তব্য আসাটা অনাকাক্সিক্ষত। আরেক দেশ ও জনগণকে হেয় করে, ছোট করে বক্তব্য করা শিষ্টাচার বহির্ভূত। তাদের এটা করা উচিত নয়।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে ভাল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশ। অর্থনীতির দিক থেকেও বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে। ক্রিকেটেও ভারতকে হারিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বজয় করেছে। ভারতের কোন মন্ত্রী কি বললো তা তে কিছুই যায় আসে না; বাংলাদেশ থেকে একজন দেশপ্রেমিক জনতাও ভারতে যাবে না। দায়িত্বশীল কিছু লোক বাংলাদেশ নিয়ে খোঁচানোর চেষ্টা করে যা অনাকাক্সিক্ষত।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি ইনকিলাবকে বলেন, নিজ দেশের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য কয়েকদিন পরপর ভারতের দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে সাম্প্রদায়িক উস্কানি মূলক বক্তব্য দেয়া হয় যা খুবই অনাকাক্সিক্ষত। তাদের এসব কথার কোন ভিত্তি নেই, অথচ ভারতের সাড়ে চার লাখ নাগরিক বাংলাদেশে বিনা অনুমতিতে কাজ করছে। যা ভারতের বৈদেশিক আয়ের অন্যতম উৎস।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে ভারতের অনেক প্রদেশ থেকে এগিয়ে। ভারতে বাংলাদেশিদের যাওয়ার কোন কারণ নেই। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে তেমন কোন প্রতিবাদ জানানো হয় না এসব উল্টা-পাল্টা বক্তব্যের বিষয়ে। এটা সরকারের দুর্বলতা। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।