Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পরকীয়া প্রেম ও পরিণতি!

বগুড়া ব্যুরো ও দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

হত্যার ২ দিনেই উদ্ঘাটিত হলো দুপচাঁচিয়া উপজেলার চামরুল ইউনিয়নের বড়কোলে পাওয়া পোড়া লাশের পরিচয় এবং নির্মমভাবে পুড়িয়ে মারার রহস্য। পরিচয় উদঘাটন হওয়া ব্যক্তির নাম সেলিম প্রামানিক (৩২)। অপরদিকে গ্রেফতারকৃত ঘাতকরা হল রুপালী বেগম (২৫) ও তার বাবা আব্দুর রহমান । গতকাল শনিবার দুপুরে বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভ‚ঁঞা এক প্রেস ব্রিফিং এ হত্যার রহস্য উদঘাটনের বিবরণ দেন। তিনি জানান, উপজেলার জিয়ানগর ইউনিয়নের খিদিরপাড়া গ্রামের কফির উদ্দীনের ছেলে রং মিস্ত্রি সেলিম হোসেনের (৩০) পাশ্ববর্তী জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার সুহেলী গ্রামের সউদি প্রবাসী ইকরামুল হকের স্ত্রী রুপালী আক্তার (২৪) এর সাথে ছোটবেলা থেকে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

রুপালীর স্বামী বিদেশে যাওয়ার পর তাদের দুজনের পরকীয়া সম্পর্ক আরো গভীর ধারণ করে। তারা বিভিন্ন সময় একত্রে মিলিত হয়। সম্পর্কের এক পর্যায়ে সেলিম বিয়ের প্রস্তাব দিলে রুপালী তা প্রত্যাখান করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সেলিম তাদের দৈহিক সম্পর্কের ধারণকৃত ভিডিও রুপালীর প্রবাসী স্বামীর মোবাইলে পাঠিয়ে দেয়। স্বামী ইকরামুল বিষয়গুলো জানান পর সংসারে অশান্তি নেমে আসে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রুপালী ও তার বাবা সেলিমকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। গত বুধবার রাতে রুপালী মোবাইল ফোনে সেলিমকে গোপনে পালিয়ে বিয়ে করার কথা বলে নিজের কাছে ডেকে নেয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী রাতে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বেরুজ গ্রামে নিয়ে যায়। পরে তার বাবা ও অপর ৩ ভাড়াটে খুনিদের হাতে সোপর্দ করে রুপালী বাসায় ফিরে আসে। খুনিরা নির্জন মাঠে সেলিমকে বেঁধে তার মুখ স্কচ টেপ দিয়ে পেঁচিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। এরপর তার গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে লাশ পুড়িয়ে ফেলে । লাশ পোড়ানোর আগে সেলিমের মোবাইল ফোনসহ জিনিসপত্র তার বুকের ওপর রেখে দেয় যাতে সব প্রমাণ মুছে যায়। ঘটনার মোড় অন্যদিকে প্রবাহিত করতে লাশের কাছে কনডমের প্যাকেট ফেলে রাখা হয়। মাঝরাতেই হত্যা মিশন শেষ করে ঘাতকরা নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যায় । মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শহিদুল জানান, গ্রেফতারকৃত প্রেমিকা ও তার বাবা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কারণ এবং নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রেম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ