Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পদ-প্রার্থিতা চাই কর্মসূচিতে নেই

বিএনপির সুবিধাবাদী নেতাদের হালচাল

ফারুক হোসাইন | প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম

ক্ষমতার গর্ভে জন্ম দিলেও ১৩ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী দলটির সঙ্গে দেশের মাটি ও মানুষের হৃদয়ের সুনিবিড় সম্পর্ক। ১৯ দফা কর্মসূচির দলটির ব্যাপক সমর্থক, লাখ লাখ নিবেদিতপ্রাণ কর্মী এবং তৃতীয় সারির নেতারা সক্রিয় থাকলেও উপরের নেতাদের ‘সুবিধাবাদিতার মানসিকতা’ সাংগঠনিকভাবে দলটি মুখ থুবড়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে। দলের কমিটি গঠনের সময় দলটির নেতাদের দৌঁড়ঝাপ, গ্রæপিং লবিং নিজেদের মধ্যে সংঘাত সংঘর্ষ খবরের শিরোনাম হয়। নির্বাচনের সময় ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হওয়ার জন্য মহাসমারোহে নেমে পড়েন। কিন্তু দলের কর্মসূচি, দলীয় নেত্রীর মুক্তির দাবির আন্দোলন কর্মসূতিতে তাদের দেখা মেলে না। এক সময় দেশের জাতীয় ইস্যু নিয়ে কথা বলতে দেখা গেলেও এখন সীমান্ত হত্যা, তিস্তা চুক্তির মতো ইস্যুগুলো নিয়েও শব্দ উচ্চারণ করা হয় না। দলীয় প্রার্থিতা বাগিয়ে নিতে রক্তারক্তি পদ-পদবির জন্য সংঘাত-সংঘর্ষ এ যেন দলটির নেতাদের রীতিতে পরিণত হয়ে গেছে।

আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাতে গড়া দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি। ৯০’র পর থেকেই তিনবার নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে দলটি। দুইবার ছিল প্রধান বিরোধীদল। অনেকেই বিএনপির টিকেটে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন রাজনৈতিক জীবনে ও ব্যবসা ক্ষেত্রে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার হাত ধরে যাদের উত্থান হয়েছে তাদের অনেককেই এখন খুঁজে পাওয়া যায় না বেগম জিয়ার দুর্দিনে। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রæয়ারি কারাবন্দী হওয়ার পর থেকে তাকে মুক্ত করার জন্য নানারকম কর্মসূচি পালন করছে দলটি। এই দুই বছরে হাতে গোনা কয়েকজন নেতা ছাড়া বাকীদের দেখা মেলেনি এই আন্দোলনে। নির্বাচন আসলে কেউ কেউ সক্রিয় হলেও নির্বাচন শেষে অদৃশ্য হয়ে যান তারাও। দল পরিচালনা এবং কর্মীদের দিকনির্দেশনা দেয়ার দায়িত্ব যাদের, রাজপথে থেকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়ার কথা যেসব নেতাদের তাদের অনুপস্থিতির কারণেই বেগম জিয়ার কারাবরণ দুই বছর অতিক্রম করেছে বলে মনে করেন মধ্যম সারির নেতারা। তারা বলেন, কেন্দ্রীয় নেতারা হলেন সবচেয়ে দায়িত্বশীল। তাদের দেখে অন্যরা রাস্তায় নামবে। কিন্তু কর্মীরা যখন দেখে নেতারাই রাস্তায় নামে না, সভা-সমাবেশে হম্বিতম্বি ছেড়েই নিজেদের দায়িত্ব শেষ মনে করেন তাহলে কর্মীরা কেন ঝুঁকি নেবেন।
বিএনপির মধ্যম সারির নেতা ও কর্মীদের অভিযোগ- কেন্দ্র থেকে ওয়ার্ড-ইউনিয়ন পর্যন্ত কমিটি গঠনে পড়তে হয় না নেতার সঙ্কটে। অভাব হয় না জাতীয় সংসদ কিংবা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থী দিতে। বিএনপি কিংবা অঙ্গসংগঠনের কমিটি গঠনের সময় ভীড় লেগে যায় পদপ্রত্যাশী নেতাদের। যে কোন ধরণের নির্বাচনে একেকটি আসনে প্রার্থী হতে এবং কমিটিতে একটি পদের বিপরীতে বিপুল সংখ্যক নেতার থাকে জোর লবিং-তদবির। পদ ও প্রার্থিতা পেতে নেতাদের যতটা আগ্রহ দেখা যায় ততটাই অনাগ্রহ দেখা যায় আন্দোলন-সংগ্রামে। দলের প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন কিংবা সরকার বিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচিতে ঘুরে ফিরে দেখা মেলে হাতে গোনা কয়েকজন নেতাকেই। আবার কর্মসূচির অনুমতি না পেলে হারিয়ে যান তাদের মধ্য থেকেও। আন্দোলন-সংগ্রামে দলের পদধারী নেতাদের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা ও অনুপস্থিতির কারণে দুই বছরেও বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব হয়নি বলে মনে করেন তারা।

স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি গোলাম সরোয়ার বলেন, ওয়ার্ড-ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপি এবং অঙ্গ-সংগঠনগুলোর কমিটি নেই। এই কমিটিগুলো সংগঠনকে শক্তিশালী করে। আন্দোলন-সংগ্রাম সফল করে। যেহেতু নেতা নাই এই শক্তিকে কাজেও লাগানো যাচ্ছে না। আবার যারা আসে তারাও পুলিশ দেখলে কে কার আগে দৌড়ে পালাবে তার প্রতিযোগিতা চলে। তিনি বলেন, নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হতে চাইলেন সাড়ে ৪হাজারের বেশি, তাদের মধ্যে ৩০০জন মনোনয়ন পেলেন, নির্বাহী কমিটিতে আছেন প্রায় ৬জন। এদের মধ্যে যদি ১০০জন প্রার্থী ও ৩০০জন কেন্দ্রীয় নেতা রাজপথে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন তাহলে যেকোন আন্দোলন সফল হতে বাধ্য। সরোয়ার বলেন, দলের পক্ষ থেকে সার্কুলার জারি করা উচিত যাদেরকে পদ দেয়া হয়েছে তাদের প্রত্যেককে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে হবে। পদের যে দায়বদ্ধতা সেটি দৃশ্যমান হতে হবে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কারাবন্দী হওয়ার দুই বছর পূর্ণ হয়ে গেছে। এই সময়ে দলটি পুলিশের অনুমতি নিয়ে সভা-সমাবেশ, মানববন্ধন, অনশন, বিক্ষোভ, লিফলেট বিতরণ, আলোচনা সভা, দোয়া-মাহফিলসহ বেশ কিছু কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। অনুমতি না পেয়ে একটিই বিক্ষোভ কর্মসূচি করেছে নয়াপল্টনে। সেটিও দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর চতুরতায়। ওই কর্মসূচি পালনের আগে নেতাদের বুঝতেই দেননি পুলিশ অনুমতি দেয়নি।

অথচ যে কোন নির্বাচন এলেই দলের প্রার্থী হতে আগ্রহী নেতাদের অভাব হয়না। আবার কিছু নেতা রয়েছেন নির্বাচন এলেই সক্রিয় হয়ে উঠেন, নির্বাচন শেষে খবর নেন না নেতাকর্মীদের, দেখা মেলে না কোন কর্মসূচিতেও। সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০টি আসনে মনোনয়ন পেতে দলীয় ফরম কিনেছিলেন ৪ হাজার ৫৮০ জন নেতা। যাদের অনেকেই মনোনয়ন না পেয়ে নিষ্ক্রিয় হয়েছে। অনেককেই খুঁজে পাওয়া যায় না নির্বাচনের পর থেকে।

বিএনপির এক নেতা বলেন, স্থায়ী কমিটি, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান ও যুগ্ম মহাসচিবদের মধ্যে দু’চারজন বাদ দিয়ে প্রায় সবাই শারীরিক ও অর্থনৈতিকভাবে সক্ষম। কিন্তু তারা মনে করে চার দেয়ালের মধ্যে সেমিনার-সভা ও অনুমতি নিয়ে যে সমাবেশ হচ্ছে সেখানে বক্তব্য দিয়ে চলে গেলেই দায়িত্ব শেষ। তিনি বলেন, থানায় থানায় যে বিক্ষোভগুলো হচ্ছে এর কোনটিতেই আজ পর্যন্ত কোন নির্বাহী কমিটির নেতাকে দেখা যায় না। অনুমতি ছাড়া যে কিছু কর্মসূচি পালন করে সরকারকে চাপে ফেলতে হয়, সেটিও আমাদের নেতারা ভুলে গেছেন।

নিয়মিত কর্মসূচিতে যাদের দেখা যায়: বিএনপির নির্বাহী কমিটি ৫৯২ জনের। স্থায়ী কমিটির ১৯ সদস্যের মধ্যে চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাবন্দী, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে। লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান পদত্যাগ করেছেন। মৃত্যুবরণ করেছেন তরিকুল ইসলাম, আ স ম হান্নান শাহ ও এম কে আনোয়ার। ভারতে রয়েছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, রফিকুল ইসলাম মিয়া, অসুস্থ। এছাড়া ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে দেখা যায় প্রায় সব কর্মসূচিতেই। ৭৩জন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে- আবুল খায়ের ভূইয়া, হাবিবুর রহমান হাবিব, আব্দুস সালামের দেখা পাওয়া যায় সব কর্মসূচিতেই। মাঝে মাঝে দেখা মেলে আমানউল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, মশিউর রহমান, জয়নাল আবেদীন ফারুক, আতাউর রহমান ঢালী, তৈমুর আলম খন্দকারের। ৩৩জন ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে ঘুরে ফিরে দেখা যায়, আব্দুল্লাহ আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহাজাহান, খন্দকার মাহবুব হোসেন, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, আজমেদ আজম খান, জয়নাল আবেদীন, নিতাই রায় ও শওকত মাহমুদের। আর যুগ্ম মহাসচিবের মধ্যে- সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেলকে পাওয়া যায় প্রায় সব কর্মসূচিতে।
অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে- ফজলুল হক মিলন, মাহবুবুর রহমান শামীম, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, নজরুল ইসলাম মঞ্জু, আসাদুল হাবিব দুলু, শাখাওয়াত হোসেন জীবন, আনোয়ারুল আজীম, এমরান সালেহ প্রিন্স, বিলকিস জাহান শিরিন, শ্যামা ওবায়েদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, কামরুজ্জামান রতন, আমিনুল ইসলাম, এবিএম মোশাররফ হোসেন, মীর সরাফত আলী সপু, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, শিরিন সুলতানা, এড. আব্দুস সালাম আজাদ, শহীদুল ইসলাম বাবুল, শাহীন শওকত, অনিন্দ ইসলাম অমিত, জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, দিলদার হোসেন সেলিম, মাহাবুবুল হক নান্নু, আব্দুল আউয়াল খান, ওয়ারেছ আলী মামুন, শরীফুল আলম, সেলিমুজ্জামান সেলিম, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, আসাদুল করিম শাহিন, শামীমুর রহমান শামীম, হেলেন জেরিন খান, আবুল বাশার, মীর নেওয়াজ আলী, আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, ড. মোর্শেদ হাসান খান, রওনাকুল ইসলাম টিপু, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ডা. এসএম রফিকুল ইসলমা বাচ্চু, ডা. রফিকুল ইসলামসহ হাতেগোনা কয়েকজন নেতা উপস্থিত থাকেন কর্মসূচিতে।

এদিকে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪ হাজার ৫৮০জন এমপি প্রার্থী হওয়ার জন্য দলীয় মনোনয়ন কিনেছিলেন। এদের মধ্য থেকে ৩০০জনকে দল মনোনয়ন দিয়েছিল। যাদের মধ্যে অন্তত ২২০-২৫০ জন রাজধানীতে থাকেন বলে বিএনপি সূত্রে জানা যায়। অথচ দলের কর্মসূচিতে বিভিন্ন সময় ৩৫জনকে দেখা যায়। অন্যরা নির্বাচন শেষ হওয়ার পর থেকেই দল এবং নেতাকর্মীদের খোঁজ-খবরও নেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, সেলিম রেজা হাবিব, হাবিবুর রহমান হাবিব, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, নিতাই রায় চৌধুরী, নজরুল ইসলাম মঞ্জু, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, খন্দকার মাহবুব হোসেন, এবিএম মোশাররফ হোসেন, জয়নুল আবেদীন, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, লুৎফর রহমান আজাদ, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, মোঃ আনোয়ারুল হক, খোন্দকার আবু আসফাক, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, নবীউল্লাহ নবী, মির্জা আব্বাস, আফরোজা আব্বাস, আব্দুস সালাম, ফজলুল হক মিলন, খায়রুল কবির খোকন, ড. আবদুল মঈন খান, শামা ওবায়েদ ইসলাম, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বরকত উল্লাহ বুলু, মোঃ শাহাজাহান, আবুল খায়ের ভূইয়া, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, আব্দুল্লাহ আল নোমান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে কর্মসূচিগুলোতে নেতাকর্মীরা খুঁজে পান।
ছাত্রদল নেতা মামুন খান বলেন, আন্দোলন সফল করতে হলে স্থায়ী কমিটি, সাবেক এমপি, মন্ত্রী, ৩০০ আসনের প্রার্থী, নির্বাহী কমিটি (সাবেক ও বর্তমান), ড্যাব, এ্যাব, কৃষক দল, শ্রমিক দল, তাঁতী দল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, জাসাস, মহিলাদল, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের শুধু কমিটির লোকজন, সিটির মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীগণকে উপস্থিত থাকতে হবে। এসব নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হয়ে যে কর্মসূচি পালন করবে সেটিই সফল হতে বাধ্য।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, গত ১৩ বছর ধরে আমাদের ওপর অত্যাচারের মাত্রা যেভাবে হয়েছে সেভাবে আমাদের মধ্যে বিশুদ্ধতা আসেনি। দলে কচ্ছপের মানসিকতার কিছু লোক থাকে। কচ্ছপ যেমন বিপদ দেখলে নিজের মাথা ঢুকিয়ে রক্ষা পেতে চায় এবং যখন দেখে বিপদ কেটে গেছে তখন সবার আগে যেতে চায়, এই দলেও তেমন লোক আছে। এটা স্বাভাবিক।

তিনি বলেন, দলে যাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তাদের জবাবদিহিতার কোন উদ্যোগ নেই। যারা নেবেন তারাও কতটা সামনে আছেন? বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের অনুপস্থিতিতে সিনিয়র নেতাদের দায়িত্ব ছিল সকলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা, কিন্তু তারা নিজেরাই অনাগ্রহী। কিছু অভিযোগ করা এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যা বলেন সেটি পালন করা ছাড়া নিজেরা উদ্যোগী হয়ে দলের জন্য কেউ কোন কাজ করেন না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

বিএনপির সমাবেশ আজ: বেগম খালেদা জিয়ার কারবন্দীর দুই বছরপূর্তি উপলক্ষে আজ দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে বিএনপি। গতকাল এই সমাবেশের জন্য পুলিশের মৌখিক অনুমতি পাওয়ার কথা জানান বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী।

 



 

Show all comments
  • Md Tarif Ha ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৫৪ এএম says : 0
    কি করবো যেদিগের বাতাস সে দিকের ছাতি ধরতে হবে....? এখন আর আগের মতো সেই দিন গুলো নেই....
    Total Reply(0) Reply
  • M.A. Rahim Bisal ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৫৪ এএম says : 0
    খুব সুন্দর ও সত্যি কথা গুলো লিখেছেন সেজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ,এখনো কিছু নেতা আছেন যারা নিজের সংসার, পরিবার,ব্যাবসা, সুখ, শান্তি সব কিছু বিসর্জন দিয়ে সব সময় দল ও দেশের জন্য কাজ করে জাচ্ছেন
    Total Reply(0) Reply
  • Hedayet Ullah Piyas ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৫৪ এএম says : 0
    অনেক সুন্দর ও বাস্তবিক কথা।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Alam ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৫৫ এএম says : 0
    ভাই তোমার কথাগুলা 100% কারেট আমরা কি করার আছে আমরা জিয়া পোরি ভারের পোতি আমাদের ভালো বাসা আছে তাই আমরা বি এন পি কোরি
    Total Reply(0) Reply
  • মেহেদী ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৫৬ এএম says : 0
    এইসব সুবিধাবাদী নেতাদের জন্যই আজ বিএনপির এই অবস্থা।
    Total Reply(0) Reply
  • জোহেব শাহরিয়ার ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৫৭ এএম says : 0
    এখন আর কেউ সম্পদ ও শারীরিক কষ্ট করতে রাজি নয়। এমনি এমনি যা হয় তাই করে।
    Total Reply(0) Reply
  • জাবের পিনটু ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৫৭ এএম says : 0
    বিএনপির ত্যাগি নেতাদের সামনে আনতে হবে, দল নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ