Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আমাদেরকে ভাবতে হবে -আলোচনা সভায় আমীর খসরু

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম


নির্বাচন-কর্মসূচি কাজে আসেনি
আগামীর জন্য
বিএনপি চেয়ারপারন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কোন আন্দোলনই কাজে আসেনি বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের মাকে মুক্ত করার যে আন্দোলন, আমরা নির্বাচনকে বলেছি, আন্দোলনের অংশ হিসেবে। কিন্তু নির্বাচন শেষ হয়ে গেছে। এখন আমরা কি করবো? সেই আন্দোলনকে এমন জায়গায় নিয়ে যেতে হবে, গণতন্ত্রের মা এবং গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হবে। মানুষের বাক-স্বাধীনতা এবং মৌলিক অধিকারকে ফিরে পেতে হবে। তার জন্য বিভিন্ন সময় আমরা কর্মসূচি দিয়েছি এবং নির্বাচনও করেছি। এর কোনটাই আজ পর্যন্ত কাজে আসে নাই। সুতরাং আগামীর জন্য আমাদেরকে ভাবতে হবে।
গতকাল শুক্রবার প্রেসক্লাবে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান। ‘সিটি নির্বাচনের অভিজ্ঞতা বনাম ভোটের অধিকার শীর্ষক’ এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
খালেদা জিয়ার কারাবন্দীর দুই বছরপূর্তির সমাবেশে বড় ম্যাসেজ দেয়া হবে জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, কর্মসূচি দেয়া হয়েছে। আমি আশা করবো, আপনারা (বিএনপির কর্মী) জনসভায় শক্তিশালীভাবে উপস্থিত হবেন। কারণ আন্দোলন তো চলছে, এটা চলমান আন্দোলন। আর নির্বাচন শেষ করেছি। এখন আন্দোলনের ধারায় নতুন রূপ নেবে। এই আন্দোলনের যে নতুন রূপ নেবে, সেখানে আমাদের সবাইকে সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে। আর জনসভার অনুমতি দিয়ে থাকলে ভালো। আপনাদের কি করতে হবে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমরা এটা এমন একটা জনসভায় পরিণত করবো যে, জনসভা থেকে যে ম্যাসেজ যাবে- সমস্ত দেশে এবং বিদেশে দেশনেত্রীর মুক্তি যাতে অতি সহসা হয়, জনসভা থেকে সেই ধরণের বড় ম্যাসেজ আমরা দিতে চাই।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে খসরু বলেন, আমাদের গণতন্ত্রের মা, আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জেলখানায় রয়েছেন। আগামীকাল দুই বছর হতে যাচ্ছে। এই যে, জনগণের ভোট, মৌলিক অধিকার, আইনের শাসন এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া- এসব কিছুর সাথে বেগম খালেদা জিয়ার জেলা থাকার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। উনার জেলা যাওয়ার পিছনের কারণ হচ্ছে, ভোট, মৌলিক অধিকার, বাক স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমে স্বাধীনতা তারা কেড়ে নেবে। সুতরাং যতদিন গণতন্ত্রের মা জেলে থাকবে ততদিন বাংলাদেশের মুক্তি মিলবে না। ততদিন ভোটাধিকার, বাক-স্বাধীনতা, মৌলিক অধিকার, আইনের শাসন এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরে পাবেন না।
বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশনের আর কোন প্রয়োজনীয়তা নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, যে পদ্ধতিতে ভোট হচ্ছে, বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশনের কোন প্রয়োজনীয়তা নাই। নির্বাচন কমিশন তো ভোট করছে না। ভোটের সাথে নির্বাচন কমিশনের কোন সম্পর্ক নাই। ভোট করছে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে, ভোট করছে আমাদের সরকারি কর্মচারীরা এবং ভোট করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি অংশ। সুতরাং শুধু শুধু এই নির্বাচন কমিশনের কি প্রয়োজনীয়তা আছে?
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আলালসহ (সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল) আমরা যতবার নির্বাচন কমিশনে গিয়েছি, তাদের অবস্থা তো দেখেছি। যখন কথা বলি, মনে হয়েছে তাদের মাথার ওপর একটি তলোয়ার ঝুলানো আছে। এমন একটা ভাব... আর তাদের সাথে কথা বলে যা বুঝলাম যে, দেয়ালের সাথে কথা বলা আর তাদের সঙ্গে কথা বলার মধ্যে কোন ব্যবধান নাই। সুতরাং এই সরকার যে দিকে যাচ্ছে, এই ইসিকে বিলুপ্তি করলে নির্বাচনে ভোটের কোন ব্যবধান হবে না। কারণ এই নির্বাচন কমিশনের কোন ভূমিকা নাই।
ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএমে কারচুপির কথা উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, আমি আগে বলেছিলাম, ইভিএম বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেয়ার জন্য। এখন আর সেটা বলছি না। কারণ পরিবেশ দূষিত হবে। এখন বলবো, এগুলো সেরপ্রতি, মন দরে বন্দরে ও স্টিল মিলগুলোতে দিয়ে দেন। অত্যন্ত কিছু রড তৈরি হবে। আর কিছুটা হলেও দেশের অর্থনীতি ভূমিকা রাখবে।
আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য বিলকিস ইসলাম প্রমুখ বক্তব্যে রাখেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ