Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ঢাকা আসছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১০:৩২ এএম

আগামী মে মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এমটাই আভাস দিয়েছে ঢাকা ও ইসলামাবাদের দায়িত্বশীল কূটনৈতিক সূত্রগুলো। জানানো হয়েছে- আট মুসলিম রাষ্ট্রের জোট ডি-৮ এর শীর্ষ সম্মেলনে ইমরান খানকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে ঢাকা।

৩০ এবং ৩১ মে ঢাকায় দু'দিনের ওই সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তাব করা হয়েছে। শীর্ষ সম্মলেনের আয়োজক হিসাবে ঢাকা ডি-৮ সেক্রেটারিয়েটের সঙ্গে পরামর্শক্রমে প্রস্তাবিত তারিখে সদস্য রাষ্ট্রের শীর্ষ নেতৃত্বের ব্যস্ততা বা আপত্তি আছে কি-না? জানতে চেয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর মতামত জানতে ইসলামাবাদস্থ বাংলাদেশ মিশনের মাধ্যমে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এখনও পাকিস্তান কিংবা ডি-৮ এর অন্য সব সদস্য রাষ্ট্রের জবাব আসেনি দাবি করে সেগুনবাগিচার সংশ্লিষ্ট ডেস্কের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা রাতে মানবজমিনকে বলেন, সামিটের হোস্ট হিসাবে বাংলাদেশ শীর্ষ নেতাদের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানাবো- এটাই রেওয়াজ। আমরা সে মতে একটি সম্ভাব্য তারিখ প্রস্তাব করেছি এবং এ নিয়ে পাকিস্তানের সরকারের মতামত চেয়েছি।

তাদের ডেলিগেশন সম্পর্কে ধারণা পেতে প্রস্তাবটি শেয়ার করা হয়েছে। করাচিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-হাই কমিশনার নুর-ই হেলাল সাইফুর রহমান গত সপ্তাহে করাচির এক সেমিনারে বলেছেন- ঢাকায় ডি এইট শীর্ষ সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রিত। ইমরান খান সেই সম্মেলনে অংশ নেবেন এবং এই সফরের মধ্যদিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। ওই সেমিনারের বরাতে পাকিস্তানের এক্সপ্রেস ট্রিবিউন একটি রিপোর্ট করেছে।

রিপোর্টে প্রকাশ- বাংলাদেশে পাকিস্তানের বড় বিনিয়োগ আসছে। বাংলাদেশে যে ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে সেখানে পাকিস্তানের ওই বিনিয়োগ আসবে। বিনিয়োগটি এতটাই আকর্ষণীয় যে পাকিস্তানের গণমাধ্যম এটাকে 'ঐতিহাসিক বিনিয়োগ' বলে উল্লেখ করেছে। সেমিনারের আয়োজক ছিল করাচিস্থ বাংলাদেশ উপ-হাই কমিশন। উপ-হাই কমিশনার সাইফুর রহমানকে উদ্বৃত করে এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানায়- বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ ও সম্ভাবনা বিষয়ে পাকিস্তানী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে বন্দর নগরীততে সেমিনাটির আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ মিশন। সেমিনারে ইসলামাবাদে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার তারিক আহসানও বক্তব্য রাখেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।

১৯৭১ সালে ৩০ লক্ষ শহীদ আর ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে সেই দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন না হওয়ায় হাই কমিশনার হতাশা ব্যক্ত করেছেন জানিয়ে ট্রিবিউন তার রিপোর্টে বলেছে, হাই কমিশনারও আশা করেছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আসন্ন ঢাকা সফর দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়ন তথা সার্বিকভাবে ঘনিষ্ঠতায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে। রাতে ঢাকা থেকে হাই কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ডি-৮ সম্মেলনে অংশগ্রহণ বিষয়ে ইমরান খানের দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগে কথা স্বীকার করেন। বলেন, ইসলামাবাদকে শীর্ষ সম্মেলনে সম্ভাব্য তারিখটি শেয়ার করা হয়েছে এবং ওই সময়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর অন্য ব্যস্ততা আছে কি-না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।



 

Show all comments
  • Amir ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১১:২৬ এএম says : 4
    ১৯৭১ সালে ৩০ লক্ষ শহীদ আর ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে সেই দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন না হওয়ায় হাই কমিশনার হতাশা ব্যক্ত করেছেন------------হত্যাযজ্ঞের জন্য, যুদ্ধাপরাধের জন্য ওরা ক্ষমা চায়নি; তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানের হাজার হাজার কোটি টাকা, সম্পদ ও অন্যান্য পাওনা ভাগাভাগি হয়নি,পাকিস্তানী নাগরিকদের ফিরিয়ে নেয় নি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে অনধিকার চর্চা করেছে। আমাদের হাই কমিশনার সাহেবের বয়স কত ?ঐ যুদ্ধসম্পর্ক কতটুকু জানেন আপনি? বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ যখন ওদের সাথে সম্পর্কোন্নয়নে হতাশা প্রকাশ করেনি সেখানে আপনি কর্মচারী হয়ে আগবাড়িয়ে কোন কথা বলবেন না এটাই জনগণের আশা, প্রটোকল অনুযায়ী সম্মেলনের জন্য যেটা দরকার কর্মচারী হিসেবে ওইটুকুই করবেন আশা করি ,জনগণের মনের কথা বোঝার চেষ্টা করবেন।বাস্তবতার কাছে আবেগের কোন স্থান নেই।
    Total Reply(0) Reply
  • Faruk ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৩৩ পিএম says : 0
    আলহামদুলিল্লাহ। খুবই ভালো সিদ্ধান্ত । পাকিস্তান/বাংলাদেশ এগিয়ে যাক এই কামনা করছি।
    Total Reply(0) Reply
  • Shahin ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৩৮ পিএম says : 0
    বাংলাদেশের সময় এসেছে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিষয়ে নতুন করে ভাবার। জার্মানি ফ্রান্স বা আমেরিকা জাপান এক সাথে চলতে পারলে আমরা পাকিস্তানের সাথে কেন চলতে পারবোনা। বৃটিশরা আমাদের দুইশত বছর শোষণ করেছে তাদের সাথে তো আমরা চলছি, তবে পাকিস্তানের সাথে কেন নয়? ভারত বাংলাদেশের সাথে যেমন ব্যবহার করছে তা পৃথিবীর কোনো শত্রু রাষ্ট্রও করে না। ১৯৯৮এর মায়ানমারের সাথে সীমান্ত যুদ্ধে শত্রু পাকিস্তানই সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে আর ভারত স্বাধীনতার পর থেকেই মুলা দেখিয়েছে, বন্ধুত্বের প্রতিক ফেলানীরা কাঁটাতারে ঝুলে। কুটনীতিতে স্থায়ী বন্ধু বা শত্রু বলে কিছু নেই,এক সময়ের আমেরিকার বন্ধু তালেবান এখন চরম শত্রু। পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক করে যদি বাংলাদেশ লাভবান হয় তবে তাই করা উচিত, যদি লাভবান না হয় তাহলে দুরে থাকাই স্রেয়। যদিও ভারতের দালালদের জ্বালা উঠবে, তার পরও যেখানে দেশের স্বার্থ আছে সেখানেই আমাদের যাওয়া উচিত।
    Total Reply(0) Reply
  • Shahin ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৩৮ পিএম says : 0
    বাংলাদেশের সময় এসেছে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিষয়ে নতুন করে ভাবার। জার্মানি ফ্রান্স বা আমেরিকা জাপান এক সাথে চলতে পারলে আমরা পাকিস্তানের সাথে কেন চলতে পারবোনা। বৃটিশরা আমাদের দুইশত বছর শোষণ করেছে তাদের সাথে তো আমরা চলছি, তবে পাকিস্তানের সাথে কেন নয়? ভারত বাংলাদেশের সাথে যেমন ব্যবহার করছে তা পৃথিবীর কোনো শত্রু রাষ্ট্রও করে না। ১৯৯৮এর মায়ানমারের সাথে সীমান্ত যুদ্ধে শত্রু পাকিস্তানই সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে আর ভারত স্বাধীনতার পর থেকেই মুলা দেখিয়েছে, বন্ধুত্বের প্রতিক ফেলানীরা কাঁটাতারে ঝুলে। কুটনীতিতে স্থায়ী বন্ধু বা শত্রু বলে কিছু নেই,এক সময়ের আমেরিকার বন্ধু তালেবান এখন চরম শত্রু। পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক করে যদি বাংলাদেশ লাভবান হয় তবে তাই করা উচিত, যদি লাভবান না হয় তাহলে দুরে থাকাই স্রেয়। যদিও ভারতের দালালদের জ্বালা উঠবে, তার পরও যেখানে দেশের স্বার্থ আছে সেখানেই আমাদের যাওয়া উচিত।
    Total Reply(0) Reply
  • Shahin ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৩৮ পিএম says : 0
    বাংলাদেশের সময় এসেছে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিষয়ে নতুন করে ভাবার। জার্মানি ফ্রান্স বা আমেরিকা জাপান এক সাথে চলতে পারলে আমরা পাকিস্তানের সাথে কেন চলতে পারবোনা। বৃটিশরা আমাদের দুইশত বছর শোষণ করেছে তাদের সাথে তো আমরা চলছি, তবে পাকিস্তানের সাথে কেন নয়? ভারত বাংলাদেশের সাথে যেমন ব্যবহার করছে তা পৃথিবীর কোনো শত্রু রাষ্ট্রও করে না। ১৯৯৮এর মায়ানমারের সাথে সীমান্ত যুদ্ধে শত্রু পাকিস্তানই সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে আর ভারত স্বাধীনতার পর থেকেই মুলা দেখিয়েছে, বন্ধুত্বের প্রতিক ফেলানীরা কাঁটাতারে ঝুলে। কুটনীতিতে স্থায়ী বন্ধু বা শত্রু বলে কিছু নেই,এক সময়ের আমেরিকার বন্ধু তালেবান এখন চরম শত্রু। পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক করে যদি বাংলাদেশ লাভবান হয় তবে তাই করা উচিত, যদি লাভবান না হয় তাহলে দুরে থাকাই স্রেয়। যদিও ভারতের দালালদের জ্বালা উঠবে, তার পরও যেখানে দেশের স্বার্থ আছে সেখানেই আমাদের যাওয়া উচিত।
    Total Reply(0) Reply
  • Rafiqul islam ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:১৭ পিএম says : 0
    Yes we want good relashionship with pakistan and the whole muslim ummah.because crocodile india is our dead enemy.
    Total Reply(0) Reply
  • আব্দুল হান্নান (হান্নান মিয়া) ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ২:৫৮ পিএম says : 0
    রাজনীতিতে স্হায়ী শত্রুতা নেই ,জাতীয় সার্থে পলিসি করতে হবে। তবে পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিত,এই সমস্যাটিকে জিইয়ে রাখা উচিত নয়। যত সম্ভব তাড়াতাড়ি সমাধান করা উচিত এতে করে দুটি জাতিরই মঙ্গল। ক্ষমা চাইলে অন্য সমস্যার সমাধান হতেবেশ সমস্যা হবে না বর্তমানে পাকিস্তানে একজন বিজ্ঞ প্রধান মন্ত্রী আছেন তার তা বুজা উচিত পৃথিবীতে স্বাধীনতা নিয়ে অনেক জাতির মধ্যেই যোদ্ধ হয়। যোদ্ধাপরাধে জন্যএক জাতি ওপর জাতির কাছকাছে প্রতিনিয়তই ক্ষমাচাইছে তাদের জাতীয় সার্থ রক্ষার্থে।
    Total Reply(0) Reply
  • আব্দুল হান্নান (হান্নান মিয়া) ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ২:৫৯ পিএম says : 0
    রাজনীতিতে স্হায়ী শত্রুতা নেই ,জাতীয় সার্থে পলিসি করতে হবে। তবে পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিত,এই সমস্যাটিকে জিইয়ে রাখা উচিত নয়। যত সম্ভব তাড়াতাড়ি সমাধান করা উচিত এতে করে দুটি জাতিরই মঙ্গল। ক্ষমা চাইলে অন্য সমস্যার সমাধান হতেবেশ সমস্যা হবে না বর্তমানে পাকিস্তানে একজন বিজ্ঞ প্রধান মন্ত্রী আছেন তার তা বুজা উচিত পৃথিবীতে স্বাধীনতা নিয়ে অনেক জাতির মধ্যেই যোদ্ধ হয়। যোদ্ধাপরাধে জন্যএক জাতি ওপর জাতির কাছকাছে প্রতিনিয়তই ক্ষমাচাইছে তাদের জাতীয় সার্থ রক্ষার্থে।
    Total Reply(0) Reply
  • আব্দুল হান্নান (হান্নান মিয়া) ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ২:৫৯ পিএম says : 0
    রাজনীতিতে স্হায়ী শত্রুতা নেই ,জাতীয় সার্থে পলিসি করতে হবে। তবে পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিত,এই সমস্যাটিকে জিইয়ে রাখা উচিত নয়। যত সম্ভব তাড়াতাড়ি সমাধান করা উচিত এতে করে দুটি জাতিরই মঙ্গল। ক্ষমা চাইলে অন্য সমস্যার সমাধান হতেবেশ সমস্যা হবে না বর্তমানে পাকিস্তানে একজন বিজ্ঞ প্রধান মন্ত্রী আছেন তার তা বুজা উচিত পৃথিবীতে স্বাধীনতা নিয়ে অনেক জাতির মধ্যেই যোদ্ধ হয়। যোদ্ধাপরাধে জন্যএক জাতি ওপর জাতির কাছকাছে প্রতিনিয়তই ক্ষমাচাইছে তাদের জাতীয় সার্থ রক্ষার্থে।
    Total Reply(0) Reply
  • gil ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৫:৩৬ পিএম says : 0
    রাজনীতিতে স্হায়ী শত্রু বলে কিছু নাই। ভারত আমাদের বর্তমান শত্রু।এরা এই দেশের অনেক ক্ষতি করছে।পাকিস্তানের সাথে এখনই সম্পর্ক উন্নত করার সময়।পুরান সময়ের কথা চিন্তা করার সময় এখন না।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইমরান খান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ