পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অযোধ্যায় রাম মন্দির বানানোর জন্য ট্রাস্ট গঠন করল ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকার। এর পাশাপাশি উত্তর প্রদেশ সরকারও ঘোষণা করেছে, অযোধ্যা জেলার ধন্নিপুর গ্রামে পাঁচ একর জমি মসজিদ বানানোর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
অযোধ্যায় রাম মন্দির বানানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। মসজিদ বানানোর জন্যও জমি বরাদ্দ করা হল। বুধবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী মোদি ঘোষণা করেন, রামমন্দির বানানোর জন্য পনেরো সদস্যের ট্রাস্ট গঠন করেছে সরকার। তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘শ্রী রাম জন্মভ‚মি তীর্থযাত্রা ট্রাস্ট’। এই ট্রাস্ট তৈরির জন্য সুপ্রিম কোর্ট তিন মাস সময় দিয়েছিল। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার কথা ছিল। তার চার দিন আগে নরেন্দ্র মোদি এই ট্রাস্ট গঠন করলেন। ঘটনাচক্রে দুই দিন পরেই দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন।
বিরোধীদের অভিযোগ, ধর্মীয় মেরুকরণ করে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে হারানোর মরিয়া চেষ্টা করছে বিজেপি। রাম মন্দির নিয়ে ট্রাস্ট ঘোষণার দিনও তাই এমন ভাবে রাখা হয়েছে, যাতে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে এর প্রভাব পড়ে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল অবশ্য কোনওরকম বিতর্কের মধ্যে না গিয়ে ট্রাস্ট গঠনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই সময়ে ঘোষণা করা নিয়েও আমার কোনও আপত্তি নেই। চাইলে কাল বা পরশুও কেন্দ্রীয় সরকার বড় কোনও ঘোষণা করতেই পারে।’ নির্বাচন কমিশনের যুক্তি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সরকার এই ঘোষণা করেছে। এতে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ হয়নি। বিজেপির মুখপাত্র সুদেশ বর্মা ডয়চে বলেছেন, ‘রামলালা বা রামমন্দির তো ভোটের বিষয় নয়। একটা সময়সীমার মধ্য়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে হত। সরকার সেটাই করেছে।’
ট্রাস্টে কোন পনেরোজন সদস্য থাকবেন তা জানাননি প্রধানমন্ত্রী। পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, ট্রাস্টের ১৫ জন সদস্যের মধ্যে একজন দলিতকে রাখতেই হবে। সামাজিক সৌহার্দ্যের জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী লোকসভায় জানিয়েছিলেন, মসজিদের জন্য সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে পাঁচ একর জমি দেয়ার জন্য উত্তর প্রদেশ সরকারকে বলা হয়েছে, তারা জমি দিতে সম্মত হয়েছে। এর কিছুক্ষণ পরেই উত্তর প্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে অযোধ্যায় জেলা সদর অফিস থেকে ১৮ কিলোমিটার দ‚রে সোহাবলের ধন্নিপুর গ্রামে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে পাঁচ একর জমি দেওয়া হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আসার পর বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দাবি ছিল, অযোধ্যার চৌহদ্দিতে মসজিদ বানানোর জমি দেয়া যাবে না। যেখানে মসজিদ বানানোর জমি দেয়া হয়েছে, সেই ধন্নিপুর রাম মন্দির পরিসর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে।
তবে মুসলিম নেতারা দাবি করেছেন, তারা ওই জমিতে মসজিদ বানাতে চান না। মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সদস্য কাশিম রসুল ইলিয়াস ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘আমরা সুপ্রিম কোর্টে নিজেদের দাবি জানাতে গিয়েছিলাম। আমাদের দাবি খারিজ করে দেয়া হয়েছে। তাই আমাদের মসজিদের জন্য আলাদা জমি চাই না। উত্তর প্রদেশের সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড রাজ্য সরকারের অধীনে। ওরা কী করবে তা বলতে পারছি না।’ এআইএমআইএম নেতা আসাদুদ্দিন ওয়েইসিও বলেছেন, ‘আমি সরকারের দেয়া জমিতে মসজিদ বানানোর বিপক্ষে।’ বিজেপির পক্ষে সুদেশ বর্মার যুক্তি, ‘সরকার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পালন করেছে। সুপ্রিম কোর্ট মসজিদ বানানোর জন্য পাঁচ একর জমি দিতে বলেছিল। সরকার দিচ্ছে। এর বাইরে কে কী বললেন, সেটা আমাদের কাছে অর্থহীন।’
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই ট্রাস্ট স্বাধীনভাবে রাম মন্দির নির্মাণ করবে। বিজেপি সূত্র জানাচ্ছে, ট্রাস্টের সদস্যদের নাম ঘোষণার পর উদ্বোধনের দিন স্থির হবে। তারপর রাম মন্দির কবে থেকে তৈরি হবে, কীভাবে তৈরি হবে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ রামমন্দির বানানোর জন্য যে পাথর কাটার কাজ করছে, তার কী হবে, সেই সব প্রশ্নের জবাব পাওয়া যাবে। সূত্র : ডয়চে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।