গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বাংলাদেশের মতো অন্যতম বৃহত্তম মুসলিম দেশের জাতীয় বইমেলায় জঙ্গি অপবাদের অজুহাতে ইসলামী প্রকাশনাগুলোর জন্য তেমন বরাদ্দ না দিয়ে বহুল সমালোচিত ও বিতর্কিত হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকনকে স্টল দেয়া হয়েছে। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র সমালোচনা ও প্রতিবাদের ঝড় বইছে।
বইমেলার ৭৪ নম্বর স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ইসকনকে। সংগঠনটির বিরুদ্ধে উগ্র সাম্প্রদায়িক মতবাদ প্রচারের অভিযোগ রয়েছে। যে বই মেলায় ইসলামী কোনো প্রকাশনীকে তেমন স্টল বরাদ্দ দেয়া হয় না, সেখানে কেন ইসকনকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হল এমন প্রশ্ন তুলেছেন দেশের বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। ফেইসবুকে এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছেন নেটিজেনরা।
প্রতিবাদ জানিয়ে নুর আহাম্মাদ লিখেছেন, ‘‘তীব্র নিন্দা জানাই! একুশের বইমেলায় ইসকনের কী কাজ? যে মেলায় ইসলামী কোন প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ দেয়া হয় না, সেখানে ইসকনকে কোন আইনে স্টল বরাদ্দ দেয়া হলো?’’
হিমেল খান বলেছেন, ‘‘ভারতীয় দালালি ছেড়ে দাও ভাই, আজ না হয় কাল দালালি ছাড়তেই হবে! বাংলাদেশকে ভারতীয় আখড়া বানিয়ে দিওনা ভাই! এমন সোনার দেশ আর কোথায়ও পাবেনা! ইসকনকে না বলুন সবাই।’’
এসএন নিরব লিখেছেন, ‘‘যেখানে মুসলিম দেশে বইমেলায় ইসলামিক স্টল যায়গা পায়না সেখানে কিভাবে বিধর্মীদের স্টল হয় তাও আবার ইসকন এর মতো উগ্রবাদীরা, দু:খজনক।’’
আব্দুল্লাহ আল মামুন লিখেছেন, ‘‘এসব বই মেলায় যায় কি করে আমার কাছে (সন্দেহ) লাগে যে, সরকারের কিছু লোক বাংলাদেশে ইসকনকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য ভালোভাবে কাজ করতেছে, তা না হলে এমন একটা সন্ত্রাসী সংগঠনকে কিভাবে তাদের কাজকর্ম করতে পারে বাংলাদেশ এ।’’
শাহাবুদ্দিন লিখেছেন, ‘‘মুসলিম দেশের একুশে বইমেলায় জঙ্গি অপবাদের অজুহাতে ইসলামী প্রকাশনাগুলো তেমন স্টল বরাদ্দ পায় না, বরাদ্দ পায় হিন্দুয়ানি ইসকন!’’
মুহাম্মাদ নাজমুল নোমান লিখেছেন, ‘‘যারা মিজানুর রহমান আল আজাহারীর তাফসির মাহফিল বন্ধ করেছে, তারা এখন কোথায়, তাদের তো দেখতে পারছি না, কারণটা কি,?’’
বজলু মিয়া লিখেছেন, ‘‘অত্যন্ত দুঃখের বিষয় ৯০% মুসলমানদের দেশে ইসলামী স্টল জায়গা পায়না। জায়গা পায় হিন্দুদের ইসকন মুসলমান সজাগ হউ জলদি। দেশটা যে কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে হায়রে হায়।’’
তবে লিটন মজুমদার লিখেছেন, ‘‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি, যাহারা ইসকনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। কারণ ইসকন কোন উগ্র জঙ্গী বা সন্ত্রাসী সংগঠন নয় যে, তাদের নাম প্রচার করতে বাধা দিতে হবে। তারা সারা বিশ্বে কৃষ্ণ নাম প্রচার করে।’’
এদিকে, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ইসকনকে স্টল বরাদ্দের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার প্রথম মেয়াদ থেকেই আমরা দেখে আসছি দু-একটা প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাংলা একাডেমিতে ইসলামী প্রকাশকদের অংশগ্রহণ অঘোষিতভাবে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। তা ছাড়া ব্যাপক পাঠকচাহিদা থাকায় যেসব স্টল ইসলামী বই-পুস্তক বিক্রি করতে চায়, তাদেরকেও নানাভাবে হয়রানি করে আসছে। অথচ হিন্দুত্ববাদেরপ্রচার-প্রসারে জড়িত একটা বিতর্কিত সংগঠনকে মেলায় জায়গা করে দিতে সরকার এতটা দরদি হয়ে উঠল কেন, এমন প্রশ্ন সামনে এসেছে।
জমিয়ত মহাসচিব বলেন, বাংলা একাডেমি বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় একটা প্রতিষ্ঠান। বইমেলা আয়োজিত হয় বাংলাদেশের জনগণের করের টাকায় বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উন্নয়ন ও প্রসারের লক্ষ্যে। এরকম বিতর্কিত একটা সংগঠনের সাথে বইমেলার কোনো যোগসূত্র থাকতে পারে না।
তিনি বলেন, আমরা অবিলম্বে ইসকনের স্টল বরাদ্দ বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। কারণ, বাংলাদেশের শান্তি-শৃঙ্খলা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং বহু মতের মানুষের সামাজিক সহাবস্থান অটুট ও হুমকিমুক্ত রাখার জন্য এটা অত্যন্ত জরুরি। অন্যথায় এই উসকানিমূলক পদক্ষেপের জন্য জনগণের যেকোনো ক্ষোভের প্রকাশ ঘটলে তার দায় বাংলা একাডেমির ওপরই বর্তাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।