পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর মিরপুর পুলিশ লাইনে পুলিশের নায়েক শাহ মো. আবদুল কুদ্দুস আত্মহত্যার ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মা সৈয়দা হেলেনা খাতুন। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম ইলিয়াস মিয়ার আদালতে আবদুল কুদ্দুসের মা এই মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন-আবদুল কুদ্দুসের স্ত্রী সৈয়দা হাবিবুন্নাহার ওরফে নাহিন এবং শাশুড়ি রুনিয়া বেগম। শুনানি শেষে বিচারক পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ২৪ ফেব্রæয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীপক্ষে অ্যাডভোকেট ইশরাক হাসান শুনানি করেন।
আইনজীবী ইশরাক হাসান সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ সদস্য আবদুল কুদ্দুসের স্ত্রী সৈয়দা হাবিবুন্নাহার ওরফে নাহিন পরকীয়ায় আসক্ত ছিলেন। সারাক্ষণ ফোনে কথা বলতেন। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে সালিশ হয়। পরে সমঝোতা হয়। কিন্তু নাহিন এরপরও পরকীয়া চালিয়ে যান। আবদুল কুদ্দুস তার শাশুড়িকে এ বিষয়ে জানালে ভিকটিমের পরিবারকে নারী নির্যাতনের মামলা এবং চাকরি হারানোর ভয় দেখান। মূলত তাদের কারণে আবদুল কুদ্দুস আত্মহত্যায় প্ররোচিত হন।নিহত আবদুল কুদ্দুস একজন পুলিশ সদস্য হলেও কাফরুল থানায় মামলা না নেয়ায় আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ জানুয়ারি ভোরে রাজধানীর মিরপুর পুলিশলাইনে আবদুল কুদ্দুস নিজের রাইফেল দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ভোর সোয়া ৫টার দিকে তিনি অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র নিয়ে ডিউটির জন্য বের হন। পরে পুলিশলাইনের মাঠের এক পাশে দাঁড়িয়ে আত্মহত্যা করেন। তার গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের রসুলপুরে। বাবার মৃত শাহ মো. আবদুল ওয়াহাব। মৃত্যুর আগে ওই পুলিশ সদস্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি লেখেন, আমার মৃত্যুুর জন্য কাউকে দায়ী করব না। আমার ভেতরের যন্ত্রণাগুলো বড় হয়ে গেছে, আমি আর সহ্য করতে পারছি না। প্রাণটা পালাই পালাই করছে। তবে অবিবাহিতদের প্রতি আমার আকুল আবেদন আপনারা পাত্রী পছন্দ করার আগে পাত্রীর মা ভালো কি না তা আগে খবর নেবেন। কারণ পাত্রীর মা ভালো না হলে পাত্রী কখনই ভালো হবে না। ফলে আপনার সংসারটা হবে দোজখের মতো। সুতরাং সকল সম্মানিত অভিভাবকদের প্রতি আমার শেষ অনুরোধ, বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেবেন। আল্লাহ হাফেজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।