মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এরই মধ্যে স্বেচ্ছায় কিছ সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী ফিরে গেছেন মিয়ানমারে। কিন্তু সেখানে গিয়ে তারা হতাশ। কারণ, সেখানে তাদের জন্য তেমন কিছুই নেই। এখনও তারা তাদের নিজ গ্রামে ফিরে যেতে সক্ষম হননি। নানা দুর্দশার মধ্যে কঠোর অবস্থার মুখোমুখি হচ্ছেন তারা। এ খবর দিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রেডিও ফ্রি এশিয়া। তাতে বলা হয়েছে, ছবি নামের একজন রোহিঙ্গা শরণার্থী ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে তুংবাইও সীমান্ত অতিক্রম করে স্বেচ্ছায় ফিরে গেছেন মিয়ানমারে। ২০১৭ সালের আগস্টে নৃশংসতা চলাকালে ৩৫ বছর বয়সী ছবি পালিয়েছিলেন তার ওডুং গ্রাম থেকে। তিনি ওডুংয়ে ফিরতে পেরেছেন। তবে দেখতে পেয়েছেন তার সেই গ্রাম এখন মরুভ‚মির রূপ নিয়েছে। বাড়ি ভাড়া করে থাকার সক্ষমতা নেই তার। তাই এখন অন্য রোহিঙ্গাদের সংগঠিত করার চেষ্টা করছেন, তাদের আসল স¤প্রদায় গড়ে তোলার জন্য। তিনি বলেছেন, যখনই ওডুং গ্রামে যাই তখনই আমার পিছনের দিনগুলোর কথা মনে পড়ে। এখন ওই গ্রামে কোনো বাড়ি নেই। এখনও ওই গ্রামে ফিরতে চাই আমি। তিনি বলেন, যদি ৫ থেকে ১০টি বাড়ির মালিককে বোঝাতে পারি গ্রামে ফিরে যাওয়ার জন্য, তবে ওডুংকে নতুন করে গড়ে তুলবো। ছবি বলেন, এখন আমরা একটি বাড়ি ভাড়া করে অবস্থান করছি। ভাড়া অনেক বেশি। তাই মিয়ানমারে ফেরার পর আমরা খুব কঠিন অবস্থা মোকাবিলা করছি। উল্লেখ্য, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নৃশংসতার হাত থেকে বাঁচতে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে দলে দলে রোহিঙ্গারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় খুঁজতে থাকেন। তাদের সংখ্যা কমপক্ষে ৭ লাখ ৪০ হাজার। মংডু প্রশাসনিক অফিসের মতে, দমনপীড়ন থেকে রক্ষা পেতে বুথিডাং ও মংডুর কমপক্ষে ৫ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম পালিয়ে গিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তারা এ পর্যন্ত ৬২৫ জন শরণার্থীকে ফেরত নিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। মংডুর জেলা প্রশাসক সোয়ে অং বলেছেন, যেসব শরণার্থী এভাবে স্বেচ্ছায় ফেরত যাচ্ছেন তারা প্রত্যাবর্তন বিষয়ক বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকারের স্বাক্ষরিত চুক্তির অধীনে নন। তারা স্বেচ্ছায় যাচ্ছেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে সমুদ্রে বোট থেকে মিয়ানমারের নৌবাহিনী উদ্ধার করেছে প্রায় ২৫০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে। সরকার দাবি করেছে, যারা ফেরত গেছেন তাদেরকে খাদ্য ও অন্যান্য সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে কেউ কেই আত্মীয়দের সঙ্গে বসবাস করছেন। অন্যরা শহরে বাড়ি ভাড়া করে থাকেন। মিয়ানমারে ফিরে যাওয়া আরেকজন রোহিঙ্গা শরণার্থী মোহাম্মদ শাওরি। তিনি বলেছেন, নৃশংসতা শুরুর পর তিনি পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন। এখানে এক বছরের বেশি সময় অবস্থান করেন শরণার্থী শিবিরে। মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে এক বছর আগে তিনি নিজে ফিরে গেছেন মিয়ানমারে। আগে তিনি মেটিকি গ্রামে বসবাস করতেন। এখন তিনি মংডু শহরে একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকেন। মাসিক এক লাখ কিয়াত (৬৭ ডলার) এই ভাড়া। মোহাম্মদ শাওরি বলেন, এত ভাড়া বহন করতে পারছি না আর। স্ত্রীর গহনা বিক্রি করে বাসা ভাড়া দিচ্ছি। এখন আমাদের হাতে আর কোনো অর্থ নেই। রেডিও ফ্রি এশিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।