Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নতুন বাজেটের তীব্র সমালোচনায় অমিত মিত্র, চিদম্বরমের উপহাস

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম

চলতি বছরের নতুন বাজেট নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। বাজেট প্রতিক্রিয়ায় পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের দাবি, আগে ভারতীয় অর্থনীতি আইসিইউতে ছিল এবার অবশ্যই ভেন্টিলেশনে যাবে। অন্যদিকে, সাবেক কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম উপহাস করে বাজেটের নম্বর দিয়েছেন দশে ০ অথবা ১।

বাজেট প্রতিক্রিয়ায় শনিবার অমিত মিত্র বলেন, ‘জনগণ-বিরোধী, ভাবনাহীন এই বাজেট মানুষকে সবদিক দিয়ে পিরামিডের একদম নীচে ঠেলে দেবে।’ তিনি দাবি করেছেন, ভারতীয় অর্থনীতি বিপন্ন হওয়ার যে কারণ, সেই কারণগুলো সমধান করার দিশা দেখানো হয়নি এই বাজেটে। তিনি বলেছেন, জিডিপি'র হার ১১ বছরে সর্বনিম্ন, বিনিয়োগ স‚চক ১১ বছরে সর্বনিম্ন, উৎপাদন ক্ষেত্রের হাল ১৫ বছরে সর্বোচ্চ খারাপ। কৃষি ক্ষেত্রের অবস্থাও খারাপ। এই সব ক্ষেত্রে কীভাবে উন্নতি সম্ভব বলা হয়নি বাজেটে।
আয়কর প্রদান ব্যবস্থা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অমিত মিত্র বলেন, ‘পুরোটাই ধোঁকাবাজি। আপনাকে এক হাতে দেয়া হচ্ছে, অন্য হাতে সব নিয়ে নেয়া হছে।’ তিনি বলেছেন, ‘তৃণম‚ল কংগ্রেস দলের তরফে আমি দাবি করতে পারি, এই বাজেট দিশাহীন, ভাবনাহীন এবং দীর্ঘ চিন্তার ওপর ভিত্তি করে পেশ করা হয়নি। যার মূল্য চোকাতে হবে সাধারণ মানুষকে।’ এলআইসি’র বিলগ্নিকরণ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘অলাভজনক সম্পদ হিসেবে জীবন বীমা নিগম ইতিমধ্যে আইসিইউ-তে ঢুকে গিয়েছে। এবার একে বেসরকারি হাতে তুলে দিয়ে গ্রাস করানো হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বাজেট পরিকল্পনা থেকে কিছুটা ভাবনা দত্তক নিতে পারতেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।’
অন্যদিকে, বাজেট নিয়ে দুরন্ত প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এক থেকে দশের মধ্যে তিনি নির্মলা সীতারমণের বাজেটকে কত নম্বর দেবেন? জবাবে উপহাস করে চিদম্বরম বলেন, ‘দশে দুইটি সংখ্যা থাকে। ১ এবং ০। আপনাদের যেটা পছন্দ বসিয়ে নিন।’
বিরোধী দলের নেতা হিসেবে তিনি কেন্দ্রীয় বাজেটের সমালোচনা করবেন, সেটা প্রত্যাশিতই। কিন্তু চিদম্বরমের এই উক্তি থেকেই পরিষ্কার, এবারের বাজেট নিয়ে ঠিক কী মনোভাব পোষণ করছেন তিনি। তার দাবি, পর পর ছ’টি ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার কমে যাওয়ার পরেও সরকার স্বীকার করছে না যে অর্থনীতি কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে। চিদম্বরম বলেন, ‘এই বাজেট এমন কিছুই নেই যা থেকে বিশ্বাস করা যায় যে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে। তার পরেও সরকার যে ৬ থেকে ৬.৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধির কথা বলছে তা শুধু আশ্চর্যজনই নয়, দায়িত্বজ্ঞানহীনতারও পরিচয়।’ এই মুহ‚র্তে ভারতীয় অর্থনীতিতে যেমন চাহিদার সংকোচন ঘটেছে, সেরকমই বিনিয়োগেরও খরা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী যে এই দুটো প্রধান সমস্যার কথা স্বীকারই করছেন না, সেটাই দুর্ভাগ্যের। শুধু তাই নয়, এই সমস্যা সমাধানেও তিনি কোনও পদক্ষেপও করেননি। যদি এই দু’টি চ্যালেঞ্জ থেকেই যায়, তাহলে অর্থনীতি তো ঘুরে দাঁড়াবেই না উল্টো গরিব এবং মধ্যবিত্তের স্বস্তি পাওয়ার সম্ভাবনাও কমবে।’ সূত্র : নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, এনডিটিভি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ