মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রতিবাদীদের জন্য ভারত বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। শনিবারের (১ ফেব্রুয়ারি) ওই বিবৃতিতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতাদের বিদ্বেষী বক্তব্যের (হেইট স্টেটমেন্ট) সমালোচনা করা হয়। বলা হয়, ‘সহিংসতা থেকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে কর্তৃপক্ষ।’
ব্রিটিশ ওই মানবাধিকার সংস্থার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতজুড়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ-প্রতিবাদ চলছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ার (এআইআই) নির্বাহী পরিচালক অভিনাশ কুমার বলেছেন, অধিকাংশ বিক্ষোভকারী শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে ‘বিদ্বেষী বক্তব্য’ দিচ্ছে রাজনৈতিক নেতারা।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাস করে ভারত। এতে ধর্মীয় কারণে নির্যাতনের শিকার হয়ে ভারতে গেলে তাকে নাগরিকত্ব দেওয়ার বিধান রাখা হয়। তবে ওই তালিকায় মুসলিমদের বাদ দেওয়া হয়। একারণে একে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে দেশজুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। উত্তর প্রদেশে বিক্ষোভে অংশ নিয়ে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২৩ জন। ওই বিক্ষোভকারীদের দেশবিরোধী আখ্যা দিয়ে গুলি করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরসহ ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন নেতা। এরপরই দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহিনবাগে সিএএ বিরোধী গুলি চালায় বন্দুকধারীরা। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি।
সম্প্রতি ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বারানসিতে তথ্য অনুসন্ধান চালিয়েছে এআইআই’র ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। এতে দেখা গেছে, অনেক বিক্ষোভকারী আহত হলেও নিকটবর্তী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ভয় পাচ্ছে। আটক হওয়ার আশঙ্কায় তারা দূরবর্তী এলাকায় চিকিৎসা নিচ্ছে।
অভিনাশ কুমার বলেন, ‘নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিদের পাস করা বিভাজনমূলক আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে। এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তারা। এমন অবস্থায় ওইসব উসকানিমূলক বক্তব্য সুনির্দিষ্টভাবে শাস্তিযোগ্য।’
অ্যামনেস্টি আশঙ্কা করছে, এই আইনের ফলে ভারতজুড়ে অনেক মানুষ রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়তে পারে। অভিনাশ কুমার বলেন, ‘দেশের নাগরিকের শান্তিপ্র্ণূভাবে প্রতিবাদের অধিকার রয়েছে। তবে ওই আইন পাস হওয়ার পর থেকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ভীতি প্রদর্শন, তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, দেশবিরোধী আখ্যা, গ্রেফতার ও সহিংসতা ঘটছে। এইগুলো ক্রমেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।