গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে। হরতালকে কেন্দ্র করে রোববার সকাল ৭টা থেকে নয়াপল্টনে বিক্ষোভ করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। সকাল সাড়ে ৯টায় নেতাকর্মীদের সাথে যোগ দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় প্রতীকী ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পুড়িয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।
এদিকে হরতাল ঘিরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। নির্বাচনী দায়িত্বের অংশ হিসেবে মাঠে রয়েছে বিজিবিও।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘হরতাল গণতন্ত্রের অন্যতম অস্ত্র। গণতন্ত্রের এই অস্ত্রের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের দাবি আদায় করবো। হরতাল মানে কোনও বিধ্বংসী কাজ নয়, হরতাল মানে আগুন দিয়ে পোড়ানো নয়। হরতালে শান্তিপূর্ণভাবে আমরা মানুষকে বলবো- গাড়ি চালাবেন না, দোকানপাট খুলবেন না।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটাকে ভিন্নখাতে চিহ্নিত করেছেন, আমরা ওই খাতে যাবো না। আমরা শান্তি অস্ত্র প্রয়োগ করবো। আমাদের এখানে যত নেতাকর্মী আছে প্রত্যেকেই শান্তিপ্রিয়। আমরা গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য প্রয়োজনে নিজের শার্টের বোতাম খুলে গুলি বরণ করবো। তবু অশান্তির সৃষ্টি করবো না। আমাদের রক্ত ঝরবে কিন্তু আমরা অন্য কারো রক্ত ঝরাবো না।’
দুপুর সোয়া ১২টার দিকে নয়াপল্টনে আসেন ঢাকা দক্ষিণে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। তিনি এসেই নেতাকর্মীদের নিয়ে স্লোগান শুরু করেন। একপর্যায়ে তিনি মাটিতেই বসে পড়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে স্লোগান দেন।
এরপর রুহুল কবির রিজভী বিক্ষোভ কর্মসূচির বিরতি ঘোষণা করে জানান, বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা নাগাদ আবারও এই কর্মসূচি চলবে।
এদিকে হরতালকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবীব-উন-নবী খান সোহেল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরীসহ অঙ্গসংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।