পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সংঘর্ষ, পুলিশের লাঠিচার্জ এবং জল কামান ব্যবহারের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা অর্ধদিবস হরতাল। দ্রব্যমূল ও তেল, গ্যাসসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ঢাকা এ হরতাল গতকাল ভোর থেকেই শান্তিপূর্ণভাবে রাজধানীসহ সারাদেশে শুরু হয়। তবে হরতালে রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকাতেই যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
হরতালে পিকেটিংয়ের অংশ হিসেবে ভোর থেকেই রাজধানীর পুরানা পল্টন, প্রেসক্লাব, মিরপুর, মুহাম্মদপুর, শাহবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় জোটের নেতারা অবস্থান নেন। এছাড়া বাম দলগুলোর সহযোগী ছাত্র সংগঠনগুলোও রাজপথে অবস্থান নেয়। পল্টন ময়দানে সকাল ৬টা থেকেই বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় নেতারা অবস্থান নিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে সরকারের সমালোচনামূলক বক্তব্য দেয়। এসময় পুলিশ তাদের ঘেরাও করে রেখে পরিস্থিতি শান্ত রাখে।
তবে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্র ইউনিয়নের একটি মিছিল পল্টন মোড়ে আসলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শুরুতে পুলিশ এবং ছাত্র ইউনিয়নসহ গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের কর্মীদের মাঝে ধাক্কাধাক্কি শুরু হলেও পরে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করলে এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এসময় পুলিশ এবং বাম কর্মীদের মাঝে ইট পাটকেল ছোড়ার ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ জল কামান, টিয়ারসেল গ্যাসসহ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে বাম জোটের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও বাম জোট দাবি করে।
আহতের ও গ্রেফতারের বিষয়ে গণসংহতির প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি জানান, পুলিশের হামলায় ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একজন সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন ৫০ জন।
এদিকে পুলিশের হামলার নিন্দা জানিয়ে গণতান্ত্রিক বাম জোটের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক আগামীকাল সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির ঘোষণা করেন।
হরতালের সমর্থনে গতকাল রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলো। দুটি ব্যানারে চলে এ সমাবেশ। একটি ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ), সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (বাসদ), সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্কসবাদী), বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, ছাত্র ফেডারেশন (গণসংহতি আন্দোলন), গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা বক্তব্য দেন। একই দাবিতে পাশেই পৃথক ব্যানারে ছাত্র ইউনিয়নের ফয়েজ উল্লাহ-দীপক শীল নেতৃত্বাধীন অংশের সমাবেশ চলে। কয়েক ফুট দূরত্বের মধ্যে চলা দুই সমাবেশে আলাদা মাইকে বক্তব্য দেওয়া হয়।
টায়ার জ্বালিয়ে ও রাস্তার পাশের ব্যানার-পোস্টারে অগ্নিসংযোগ করে ব্যারিকেড তৈরির মাধ্যমে সকাল পৌনে ৭টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চলে এ অবস্থান কর্মসূচি। এর ফলে সায়েন্সল্যাব থেকে শাহবাগ সড়কে (বিএসএমএমইউ-জাতীয় জাদুঘরের মধ্যবর্তী সড়ক), মতিঝিল থেকে শাহবাগগামী, ফার্মগেট থেকে শাহবাগগামী ও শাহবাগ থেকে টিএসসিগামী যান চলাচল তীব্র জটের সম্মুখীন হয়। কর্মজীবী মানুষদের অনেককেই হেঁটে কর্মস্থলে যেতে দেখা যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।