বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির (৪০ দিনের) কাজ শেষ হলেও শ্রমিকরা তাদের পারিশ্রমিক পায়নি। বরাদ্দকৃত টাকার এক টাকাও ছাড় করা হয়নি। ফলে শ্রমিকরা অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছেন।
জানা গেছে, অতি দরিদ্রদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য সরকারিভাবে ৪০ দিন কাজের কর্মসূচি প্রকল্প চালু করে।এ উপজেলায় প্রকল্পের কাজ শুরু হয় গত বছরের ৩০ নভেম্বর। গত ২২ জানুয়ারি শ্রমিকদের ৪০ দিনের কাজ শেষ হয়। পাঁচ হাজার ৬৩১ জন উপকারভোগির জন্য ৪ কোটি ৫০ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় মন্ত্রণালয়। এ উপজেলায় প্রতি ইউনিয়নে ৯ টি করে ১৫ ইউনিয়নে মোট ১৩৫টি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়। কাজ শেষেও পারিশ্রমিক না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন শ্রমিকরা।
তারাপুর ইউয়িনের কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিক কাওছারসহ কয়েকজন শ্রমিক জানান পারিশ্রমিক না পেয়ে অভাব-অনটনে আছি। এ ব্যাপারে বামনডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান নজমুল হুদা জানান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বিল দাখিল করলেও সেই চেকে স্বাক্ষর হয়নি। ধোপাডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান রাজু জানান, শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে যন্ত্রণায় পড়েছি। শ্রমিকরা চেয়ারম্যানের বাড়ি ঘেরাও করতে চাচ্ছে। তিনি আরো জানান, আইনগত জটিলতা থাকায় ইউএনও চেকে স্বাক্ষর করেননি বলে জেনেছি। ছাপড়হাটী ইউপি চেয়ারম্যান কনক কুমার গোস্বামী জানান,বর্তমানে এ উপজেলায় দুইজন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রয়েছেন। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নুরুন্নবী সরকার এখানে আগে থেকেই দায়িত্ব পালন করতে ছিলেন। নুরুন্নবী সরকারকে বদলীর আদেশ দিয়ে মোশাররফ হোসেন নামে একজন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে সুন্দরগঞ্জে যোগদানের আদেশ দেয় মন্ত্রণালয়। মোশাররফ হোসেন যোগদান করে দায়িত্ব বুঝে নেয়ার আগেই উচ্চ আদালতের আদেশের বলে পুনরায় বহাল হয়েছেন নুরুন্নবী সরকার। এখন এ দুইজন কর্মকর্তার মধ্যে কার মাধ্যমে শ্রমিকদের পারিশ্রমিকের টাকা দিবেন তা নিয়ে আইনি জটিলতা দেখা দেয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার চেকে সই করেননি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোলেমান আলী জানান, বর্তমানে দুইজন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রয়েছেন। এ কারণে আইনি জটিলতা রয়েছে। একজন মন্ত্রণালয়ের আদেশে যোগদান করেছেন। আর একজন আদালতের আদেশে এসেছেন। আসলে এখানে কে দায়িত্ব পালন করবেন তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে পত্র লেখা হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাজ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।