বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশ বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ‘ষড়যন্ত্রমূলক অপতৎপরতা’ শুরু করেছে এমন অভিযোগ চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দের। তারা বলেছেন, বিএনপির বলিষ্ঠ নেতাকর্মীরা যাতে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাজ করতে না পারেন এরজন্য গ্রেফতার অভিযান চলছে। এভাবে নেতাকর্মীদের যদি মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হয় তাহলে আসন্ন চসিক নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে।
আজ শনিবার চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন। নাসিমন ভবনে দলের মহানগর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগে যেভাবে গায়েবী মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছিল একইভাবে কিছু অতিউৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তা আবারও গ্রেফতার নির্যাতন শুরু করেছেন। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেতনভোগী পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি অনুরোধ করব, জনবান্ধব পুলিশ হউন। কোন গোষ্ঠির স্বার্থ রক্ষাকারী পেটোয়া বাহিনী হিসেবে চিিহ্নত হবেন না। তিনি ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করে গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানান।
এ প্রসঙ্গে ডা. শাহাদাত বলেন, গত ২৮ জানুয়ারি চট্টগ্রামে সফরে আসা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ে মহানগর ও দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল কর্মসূচিতে কোতোয়ালী থানা ও ডিবি পুলিশ বিনা কারণে দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে নেতাকর্মীদের ওপর বর্বর হামলা চালায়। পুলিশ মারমুখী হয়ে নেতাকর্মীদের লাঠিচার্জ এবং গুলি চালায়। এতে ১০ জন নেতাকর্মী আহত হন।
সংবাদ সম্মেলনে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আসন্ন চসিক নির্বাচনে বিএনপি যাতে অংশ নিতে না পারে এরজন্য এখন থেকে নানামুখী ষড়যন্ত্র, হামলা-মামলার মাধ্যমে নেতাকর্মীদের কারাগারে আটকে রাখছে প্রশাসন। যেনতেন ভাবে ২০১৮ সালের মতো নীল নকশার নির্বাচন বাস্তবায়নের কাজ চলছে।
নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, আগামী চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের নীল নকশা বাস্তবায়নে সিএমপির অতিউৎসাহী কিছু পুলিশ কর্মকর্তা এখন থেকে মাঠে নেমেছেন। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের আগে গায়েবী মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। আবারও সে ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।